নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড-এর অনুদান আর একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার পদক্ষেপের মধ্যে কোন-ও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার নিউজ ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরোদীদের দাবি নস্যাৎ করে স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তাঁর ভাষায়, ” ভবিষৎ বলবে বর্তমানে কী হচ্ছে। সময় বলবে আমরা নির্বাচনী বন্ড এনে কতটা সঠিক কাজ করেছি।”
১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানালয়, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প ‘অসাংবিধানিক’। তাই তা ‘বাতিল হওয়া উচিত’। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বন্ড তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করছে। নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি জানান, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (এসবিআই) এই ধরনের বন্ড দেওয়া বন্ধ করবে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জমা পড়া অনুদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দেবে।
এই প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং প্রশ্ন তোলেন, ” কোন সংস্থা কোন পার্টিকে অনুদান দিয়েছে, সেই তথ্য কি জনসমক্ষে আনা উচিৎ? পরবর্তীতে তো এও বলা হবে, কে কোন দলকে ভোট দিয়েছে, তাও সামনে আনা হোক। আপনারা কি এটা মেনে নেবেন? যে-কোনও দেশ যেখানে গণতন্ত্র সুস্থ, সেই দেশ কি এটা মেনে নেবে? কে কাকে ভোট দিচ্ছে, কোন দলকে ভোট দিচ্ছে, সেটাও কি সবার সামনে নিয়ে আসা যায়?”
প্রসঙ্গত,কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে প্রয়াত অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৭-র অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে মোদি সরকার ২০১৮ থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল। এর ফলে কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে হবে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যাবে। রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু কে, কত টাকা দিচ্ছেন, তা বোঝা যাবে না।