Tag Archives: Shiva Temple

Ancient Shiva Temple: এখানেই নাকি ছিল চন্দ্রকেতুগড়, গাছগাছালির সবুজের মাঝে প্রাচীন শিবমন্দির, ঘুরে আসুন ছোট্ট ছুটিতে

রঞ্জন চন্দ, ঝাড়গ্রাম: বাংলার আনাচেকানাচে লুকিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। শুধু ইতিহাস নয়, এই নিদর্শনের শিল্পরীতি এবং কারুকার্য নজর কাড়ে সকলের। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় রয়েছে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন।ওড়িশা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। রয়েছে রাজা রাজড়াদের কাহিনী। যা আপনাকে নিয়ে যাবে সুদুর অতীতে। ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। ভক্তি এবং সৃজনশীলতা এক হয়েছে এখানে। তাই পরিবার, প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা। ওড়িশা সীমানায়, এ বাংলায় রয়েছে বেশ প্রাচীন এক শিবের মন্দির, যা হয়তো অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না।

চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা। মাঝ দিয়ে গিয়েছে পিচের রাস্তা। ঝাড়গ্রাম ব্লকের এক প্রান্তে ওড়িশা সীমানা এলাকায় রয়েছে এই শিব মন্দির। জেলার নয়াগ্রাম ব্লকে রয়েছে এই প্রাচীন মন্দির। যা পুরানো দিনের ইতিহাসের সাক্ষী। তিরিশ ফুট উঁচু প্রাচীন মন্দিরের ভেতরে শিব লিঙ্গের অবস্থান। তবে একটি নয়। সহস্রলিঙ্গের অবস্থান। এই মন্দিরের নাম সহস্রলিঙ্গ শিব মন্দির।ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের চন্দ্ররেখা পঞ্চায়েতের সাতপৌটিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মন্দির।

মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রতিদিনই এই মন্দিরে আসেন ভক্তরা। মাকড়া পাথরে তৈরি এই মন্দির। চূড়ায় আছে বিশাল আমলক। তবে ওড়িয়া রীতিতে তৈরি এই মন্দির দেখতে আপনার চোখ জুড়াবে। এই মন্দিরে নিত্যপুজো প্রচলিত। তবে শিবচতুর্দশীর সময় এখানে বড় মেলা বসে। বহু ভক্তসমাগম হয়। তবে সহস্রলিঙ্গ এক অত্যাশ্চর্য বিষয়। জানা যায়, আর কোথাও এমন শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন : AC Room-এ যোগব্যায়াম করলে ঝাঁঝরা শরীর? দিনের কখন ব্যায়াম করা সেরা? সুস্থ থাকতে জানুন এখনই

মন্দিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত চন্দ্রকেতুগড়। পরিখা ও মাকড়া পাথরের প্রাচীন প্রাচীর এখনও মাটির তলায় উঁকি দিচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি এখানেই গড় ছিল রাজা চন্দ্রকেতুর। আর সকালে উঠেই মন্দির দেখবেন বলেই পশ্চিমমুখী এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছেন।

মন্দির থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ওড়িশা। মনস্কামনা পূরণের আশায় শুধু এ বাংলার নয় ওড়িশা থেকে বহু ভক্ত আসেন এখানে। ছুটির একটি দিনে ঘুরে আসতে পারেন সহস্র লিঙ্গ শিব মন্দিরে। সঙ্গে পাবেন জঙ্গলমহলের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

Highest Shiv Temple: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির কোথায় রয়েছে বলুন তো?…উত্তরটা কেদারনাথ বা অমরনাথ নয় কিন্তু, কীভাবেই বা যায় সেখানে?

ভারত তো বটেই, সারা পৃথিবী জুড়েই নানা স্থানে নানা যুগে, নানা সময়ে শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠিত রয়েছে৷ যার কোনও কোনওটা বহু প্রাচীন কালে তৈরি৷ এমনকি, তার মধ্যে কয়েকটি তো পাণ্ডবদের হাতে তৈরি বলেও পুরাণে কথিত আছে৷ প্রাচীন প্রায় প্রতিটি শিবমন্দিরের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে কোনও না কোনও পৌরাণিক কাহিনি বা ইতিহাস৷
ভারত তো বটেই, সারা পৃথিবী জুড়েই নানা স্থানে নানা যুগে, নানা সময়ে শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠিত রয়েছে৷ যার কোনও কোনওটা বহু প্রাচীন কালে তৈরি৷ এমনকি, তার মধ্যে কয়েকটি তো পাণ্ডবদের হাতে তৈরি বলেও পুরাণে কথিত আছে৷ প্রাচীন প্রায় প্রতিটি শিবমন্দিরের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে কোনও না কোনও পৌরাণিক কাহিনি বা ইতিহাস৷
ভারতের প্রাচীন শিবমন্দিরগুলির মধ্যে অধিকাংশই হিমালয়ের কোলে অবস্থিত৷ চির তুষারাবৃত শৃঙ্গের মাঝখানে ভোলা মহেশ্বরের অবস্থান৷ সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ দুর্গম কঠিন পথ অতিক্রান্ত করে পৌঁছতেন তাঁদের আরাধ্য দেবতার কাছে৷ অর্পণ করতেন তাঁদের অর্ঘ্য৷
ভারতের প্রাচীন শিবমন্দিরগুলির মধ্যে অধিকাংশই হিমালয়ের কোলে অবস্থিত৷ চির তুষারাবৃত শৃঙ্গের মাঝখানে ভোলা মহেশ্বরের অবস্থান৷ সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ দুর্গম কঠিন পথ অতিক্রান্ত করে পৌঁছতেন তাঁদের আরাধ্য দেবতার কাছে৷ অর্পণ করতেন তাঁদের অর্ঘ্য৷
এই ধরনের মন্দিরের দরজা তুষারপাতের মরসুমের আগে বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। অমরনাথের যাত্রাপথও বছরের শুধুমাত্র কয়েকটা দিনই খোলা থাকে৷ কিন্তু, কেদারনাথ কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির নয়৷ আর অমরনাথে গুহা থাকলেও, প্রথাগত ভাবে কোনও মন্দির সেখানে নেই৷ তাহলে, বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির কোথায় রয়েছে, জানেন?
ই ধরনের মন্দিরের দরজা তুষারপাতের মরসুমের আগে বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। অমরনাথের যাত্রাপথও বছরের শুধুমাত্র কয়েকটা দিনই খোলা থাকে৷ কিন্তু, কেদারনাথ কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির নয়৷ আর অমরনাথে গুহা থাকলেও, প্রথাগত ভাবে কোনও মন্দির সেখানে নেই৷ তাহলে, বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির কোথায় রয়েছে, জানেন?
ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, মরিশাস সহ বিশ্বের অনেক দেশেই ভগবান শিবের মন্দির রয়েছে। ভারতে, উত্তর থেকে দক্ষিণে ভগবান শিবের অনেক বড় এবং সুন্দর মন্দির রয়েছে। দেশে ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করা অনেক পরিবারের জীবনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে। অনেক পরিবার এমন রয়েছে, যেখানে প্রতি বছরের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য চার ধাম দর্শনে যান৷
ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, মরিশাস সহ বিশ্বের অনেক দেশেই ভগবান শিবের মন্দির রয়েছে। ভারতে, উত্তর থেকে দক্ষিণে ভগবান শিবের অনেক বড় এবং সুন্দর মন্দির রয়েছে। দেশে ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করা অনেক পরিবারের জীবনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে। অনেক পরিবার এমন রয়েছে, যেখানে প্রতি বছরের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য চার ধাম দর্শনে যান৷
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দিরটি মহাভারতের সাহসী তিরন্দাজ অর্জুন এবং পুরুষোত্তম রামের নামের সাথেও যুক্ত। এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত। শিবের এই মন্দিরটিকে ভক্তেরা চেনেন তুঙ্গনাথ মন্দির নামে।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দিরটি মহাভারতের সাহসী তিরন্দাজ অর্জুন এবং পুরুষোত্তম রামের নামের সাথেও যুক্ত। এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত। শিবের এই মন্দিরটিকে ভক্তেরা চেনেন তুঙ্গনাথ মন্দির নামে।
তুঙ্গনাথ মন্দিরটি চন্দ্রনাথ পর্বতে ৩,৬৮০ মিটার অর্থাৎ ১২,০৭৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তুঙ্গনাথের আভিধানিক অর্থ হল 'পর্বতের প্রভু'। তুঙ্গনাথ মন্দিরে যেতে হলে প্রথমে যেতে হয় সোনপ্রয়াগ। এর পরে গুপ্তকাশী, উখিমঠ, চোপ্তা হয়ে তুঙ্গনাথ মন্দিরে পৌঁছনো যায়। শেষের পথটি অবশ্যই পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয়৷
তুঙ্গনাথ মন্দিরটি চন্দ্রনাথ পর্বতে ৩,৬৮০ মিটার অর্থাৎ ১২,০৭৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তুঙ্গনাথের আভিধানিক অর্থ হল ‘পর্বতের প্রভু’। তুঙ্গনাথ মন্দিরে যেতে হলে প্রথমে যেতে হয় সোনপ্রয়াগ। এর পরে গুপ্তকাশী, উখিমঠ, চোপ্তা হয়ে তুঙ্গনাথ মন্দিরে পৌঁছনো যায়। শেষের পথটি অবশ্যই পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয়৷
স্থানীয় লোকজনের মতে, তুঙ্গনাথ মন্দিরটি মহাভারত আমলে নির্মিত হয়েছিল। তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বলে কথিত রয়েছে। ধারণা করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে শিবকে খুশি করার জন্য পাণ্ডবরা এই মন্দির তৈরি করেছিলেন।
স্থানীয় লোকজনের মতে, তুঙ্গনাথ মন্দিরটি মহাভারত আমলে নির্মিত হয়েছিল। তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বলে কথিত রয়েছে। ধারণা করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে শিবকে খুশি করার জন্য পাণ্ডবরা এই মন্দির তৈরি করেছিলেন।
আসলে মহাভারতের যুদ্ধে পাণ্ডবরা তাঁদের ভাই ও গুরুদের হত্যা করেছিলেন। তাই ঋষি ব্যাস পাণ্ডবদের বলেন, যে ভগবান শিব যদি তাঁদের ক্ষমা করেন, তবেই তাঁরা তাঁদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
আসলে মহাভারতের যুদ্ধে পাণ্ডবরা তাঁদের ভাই ও গুরুদের হত্যা করেছিলেন। তাই ঋষি ব্যাস পাণ্ডবদের বলেন, যে ভগবান শিব যদি তাঁদের ক্ষমা করেন, তবেই তাঁরা তাঁদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
 ঋষি ব্যাসের নির্দেশ অনুসারে তারপরে, পঞ্চ পাণ্ডব ভগবান শিবের সন্ধানে হিমালয় যাত্রা করেন। পুরাণে কথিত আছে, হিমালয়ে বিভিন্ন অংশে পাণ্ডবরা পাঁচটি শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন। পাণ্ডবদের দ্বারা নির্মিত এই পাঁচটি মন্দিরকে আজ 'পঞ্চ কেদার' বলা হয়।
ঋষি ব্যাসের নির্দেশ অনুসারে তারপরে, পঞ্চ পাণ্ডব ভগবান শিবের সন্ধানে হিমালয় যাত্রা করেন। পুরাণে কথিত আছে, হিমালয়ে বিভিন্ন অংশে পাণ্ডবরা পাঁচটি শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন। পাণ্ডবদের দ্বারা নির্মিত এই পাঁচটি মন্দিরকে আজ ‘পঞ্চ কেদার’ বলা হয়।
তুঙ্গনাথ হল 'পঞ্চ কেদার'-এর তৃতীয় মন্দির। তাই পাণ্ডবদের মধ্যে অর্জুন এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। পঞ্চ কেদারে তুঙ্গনাথ মন্দির ছাড়াও রয়েছে কেদারনাথ, রুদ্রনাথ, মদমহেশ্বর এবং কল্পেশ্বর মন্দির।
তুঙ্গনাথ হল ‘পঞ্চ কেদার’-এর তৃতীয় মন্দির। তাই পাণ্ডবদের মধ্যে অর্জুন এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। পঞ্চ কেদারে তুঙ্গনাথ মন্দির ছাড়াও রয়েছে কেদারনাথ, রুদ্রনাথ, মদমহেশ্বর এবং কল্পেশ্বর মন্দির।
পুরাণ অনুসারে, তুঙ্গনাথ ভগবান রামের সাথেও সম্পর্কিত। কথিত আছে, তুঙ্গনাথ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে চন্দ্রশিলায় ভগবান রাম তপস্যা করেছিলেন। বিশ্বাস অনুসারে, রাবণকে হত্যা করার পরে এই পাপ থেকে মুক্ত হতে তিনি চন্দ্রশিলা পাহাড়ে তপস্যা করেন। চন্দ্রশিলার চূড়াটি ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
পুরাণ অনুসারে, তুঙ্গনাথ ভগবান রামের সাথেও সম্পর্কিত। কথিত আছে, তুঙ্গনাথ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে চন্দ্রশিলায় ভগবান রাম তপস্যা করেছিলেন। বিশ্বাস অনুসারে, রাবণকে হত্যা করার পরে এই পাপ থেকে মুক্ত হতে তিনি চন্দ্রশিলা পাহাড়ে তপস্যা করেন। চন্দ্রশিলার চূড়াটি ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
শীতকালে তুঙ্গনাথ মন্দিরের গোটা চত্বরই বরফে ঢেকে যায়। মন্দিরও বন্ধ থাকে। দেবতার মূর্তি নিয়ে পুরোহিতেরা নেমে আসেন মুক্কুমতে। তুঙ্গনাথের এই মন্দিরটি কিছুটা হেলানোও৷
শীতকালে তুঙ্গনাথ মন্দিরের গোটা চত্বরই বরফে ঢেকে যায়। মন্দিরও বন্ধ থাকে। দেবতার মূর্তি নিয়ে পুরোহিতেরা নেমে আসেন মুক্কুমতে। তুঙ্গনাথের এই মন্দিরটি কিছুটা হেলানোও৷