Report: Hitendra Sharma
জয়পুর: চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বম্বে সুপারফাস্ট। মুম্বই থেকে সদ্য জয়পুরে পৌঁছেছিল ট্রেনটি। ফলে চলছিল পার্সেল কোচের চেকিং। আচমকাই তল্লাশি চলাকালীন উদ্ধার হয়েছে মোট ৫টি বাক্স। কিন্তু ওই বাক্স খুলতেই রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া সকলের।
রেল সূত্রে খবর, আরপিএফ আইজি জ্যোতি কুমার সতিজার উপস্থিতিতে বাক্সগুলি খোলা হয়েছিল। আর তা খুলতেই একে একে বেরিয়ে এল রৌপ্য মূর্তি, ব্রেসলেট এবং অন্যান্য গহনা। সব মিলিয়ে মোট ১৭৩ কেজি রুপো উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
যদিও কাগজপত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। আসলে শুধুমাত্র গয়না লিখেই মুম্বই থেকে ওই পার্সেলটি বুক করা হয়েছিল। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, পার্সেল বুকিংয়ের সময় বাক্সে থাকা সমস্ত জিনিস সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেওয়া উচিত। শুধু তা-ই নয়, কাগজে পার্সেলে থাকা জিনিসের যে ওজন উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। অনেকটাই কম ছিল বলে জানা গিয়েছিল।
আসলে বম্বে সুপারফাস্ট ট্রেনে প্রচুর পরিমাণে রুপো থাকার বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল আরপিএফ। সেই কারণে কমান্ড্যান্ট ভবপ্রীত সোনিকে মুম্বই রুটের ট্রেনগুলিতে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আইজি সতিজা।
আইপিএফ প্রদীপ কুমার, আইপিএফ (সিআইবি) নরেশ মীনা জয়পুর স্টেশনে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বম্বে সুপারফাস্ট জয়পুরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনের পিছনে লাগানো ২৪ টন ক্ষমতাসম্পন্ন পার্সেল কোচটির তল্লাশি করা হচ্ছিল। সেখানে দেখা যায়, ৪৮ বান্ডিল কাপড়ের মধ্যে পাঁচটি বাক্স রাখা। আর বাক্সগুলি যথেষ্ট ভারি ছিল। ফলে তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। তাই বাক্সগুলি আলাদা করে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।
এই বিষয়ে সেল ট্যাক্সকে জানানো হয়েছে আরপিএফ-এর তরফে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জিএসটি সহকারী কমিশনার অশ্বিনী শর্মা। একে একে সব বাক্স খুলতে শুরু করেন। রৌপ্য মূর্তি, পায়ের পাতা এবং অন্যান্য গহনা উদ্ধার হয়েছে বাক্সগুলি থেকে। যাঁরা রুপো নিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা ৯০ কেজি পরিমাণের বিল পেশ করেছিলেন। ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৩২ টাকার সামগ্রীর বিল পাওয়া যায়নি। জিএসটি কমিশনার ৩০ হাজার টাকা কর আরোপ করে পণ্যটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।