লাইফস্টাইল Weight Gain Tips: ভয়ানক বিকট চেহারা…! হাড় বেরিয়ে আসছে? কীভাবে বাড়াবেন ওজন? ১০-২০টা করে রোজ খান ‘এই’ জিনিস, ৩০ দিনেই ভোলবদল Gallery April 16, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বের এক বিশাল জনগোষ্ঠী যখন স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করছে, তখন কিছু মানুষ ওজন কমার সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, জামাকাপড় সঠিকভাবে ফিট না করার কারণেও রাস্তায় বেরতে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন৷ কিন্তু অনেকেই আবার কোনও কারণ ছাড়াই আচমকা রোগা হতে শুরু করেন৷ এতটাই ওজন কমতে থাকে যে শরীরের হাড়ও পর্যন্ত দেখা দিতে শুরু করে৷ যা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে৷ ওজন বাড়া নিয়ে যেমন চিন্তা হয় তেমনই আচমকা ওজন কমতে শুরু করলেও তা ভীষণই চিন্তার বিষয়৷ লখনউয়ের সরকারি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের ডা. সর্বেশ কুমার ওজন বাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই দিয়েছেন৷ ডা. সর্বেশ কুমার জানান, আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই কিশমিশ খাওয়া উচিত। ওজন বাড়াতে চাইলে নিয়মিত ডায়েটে কিছু কিশমিশ রাখুন। এতে শুধু শরীরের ওজনই বাড়বে না, আরও অনেক রোগ প্রতিরোধ হবে। জার্নাল ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন রিসার্চের মতে, ক্যালরি সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরের ওজন বাড়াতে বেশি উপকারী। ১০০ গ্রাম কিশমিশে প্রায় ২৯৯ ক্যালরি রয়েছে। ১০০ গ্রাম কিশমিশে উপস্থিত ২৯৯ ক্যালরি আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের প্রায় ১৫%। কিশমিশ খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং পুষ্টি গ্রহণেরও সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০টা করে কিশমিশ খেতে পারেন। এতে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি, যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেক উপকার করে। ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, অনেক ধরনের ভিটামিন, কপার, প্রোটিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। এটি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি খাবার৷ কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আসলে, আপনি যখন বেশি ক্যালরি সমৃদ্ধ জিনিস খান, তখন তা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে কিশমিশ ছাড়াও অন্যান্য ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবারও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বিশেষজ্ঞের মতে, আপনি যদি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান, তাহলে ১০-২০টি কিশমিশ এবং 1 গ্লাস দুধ খান। একই সময়ে, আপনি যদি কিশমিশের সমস্ত পুষ্টির সুবিধা নিতে চান, তবে এক কাপ ফুল ফ্যাট দুধে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন কিশমিশ এবং পরের দিন এটি খান। এছাড়া সারারাত জলে ভিজিয়ে পরদিন সকালেও কিশমিশ খেতে পারেন৷ চাইলে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন৷