Tag Archives: SWP

Money Making Tips: ৬৫ লাখ টাকা থেকে দশ বছর ধরে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ রিটার্ন! রইল সেরা স্কিম

এসআইপিতে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে হয়। এসডব্লিউপি এর উল্টো। এতে প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। অবসর গ্রহণের পর মাসিক আয়ের জন্য এসডব্লিউপিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
এসআইপিতে প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে হয়। এসডব্লিউপি এর উল্টো। এতে প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। অবসর গ্রহণের পর মাসিক আয়ের জন্য এসডব্লিউপিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
ইক্যুইটি, হাইব্রিড বা ডেট মিউচুয়াল ফান্ডে এসডব্লিউপি করা যায়। ইক্যুইটি বাজার অস্থির, সবসময়ই ওঠানামা করে। তাই মাসিক আয়ের জন্য ডেট এবং হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডই পছন্দ করেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। এখানে ৭টি সেরা এসডব্লিউপি ফান্ডের তালিকা দেওয়া হল।
ইক্যুইটি, হাইব্রিড বা ডেট মিউচুয়াল ফান্ডে এসডব্লিউপি করা যায়। ইক্যুইটি বাজার অস্থির, সবসময়ই ওঠানামা করে। তাই মাসিক আয়ের জন্য ডেট এবং হাইব্রিড মিউচুয়াল ফান্ডই পছন্দ করেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। এখানে ৭টি সেরা এসডব্লিউপি ফান্ডের তালিকা দেওয়া হল।
এসবিআই স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার- গ্রোথ: এসবিআই স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে বার্ষিক ২৩.৪২ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা লাম্পসাম বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পর ফান্ডে ব্যালেন্স রয়েছে ১,১৮,৯৪,১৪২ টাকা।
এসবিআই স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার- গ্রোথ: এসবিআই স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে বার্ষিক ২৩.৪২ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা লাম্পসাম বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পর ফান্ডে ব্যালেন্স রয়েছে ১,১৮,৯৪,১৪২ টাকা।
নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ প্ল্যান – গ্রোথ অপশন: নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ১৯.৮৪ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা তো মিলেছেই, ১২০ কিস্তি তোলার পর ব্যালেন্স রয়েছে ৫৫,৯৫,০১১ টাকা।
নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ প্ল্যান – গ্রোথ অপশন: নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ১৯.৮৪ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা তো মিলেছেই, ১২০ কিস্তি তোলার পর ব্যালেন্স রয়েছে ৫৫,৯৫,০১১ টাকা।
ডিএসপি স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার – গ্রোথ: গত দশ বছরে ডিএসপি স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে ১৯.২৪ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ থেকে মাসিক আয় হিসেবে হাতে এসেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পরেও ফান্ডে এখনও ৪৭,৪৪,৩৩৫ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
ডিএসপি স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার – গ্রোথ: গত দশ বছরে ডিএসপি স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে ১৯.২৪ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ থেকে মাসিক আয় হিসেবে হাতে এসেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পরেও ফান্ডে এখনও ৪৭,৪৪,৩৩৫ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
এইচএসবিসি স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার গ্রোথ: এইচএসবিসি স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে ১৮.০৩ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগ কারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা রিটার্ন মিলেছে। ১২০ কিস্তি তোলার পরেও ৩১,৬৬,৬০৯ টাকার ব্যালেন্স রয়েছে ফান্ডে।
এইচএসবিসি স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার গ্রোথ: এইচএসবিসি স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে গত দশ বছরে ১৮.০৩ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগ কারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা রিটার্ন মিলেছে। ১২০ কিস্তি তোলার পরেও ৩১,৬৬,৬০৯ টাকার ব্যালেন্স রয়েছে ফান্ডে।
কোটাক স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ: দশ বছরে ১৬.৫৬ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। তারপরেও ফান্ডে ১৫,০৪,০১৯ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
কোটাক স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ: দশ বছরে ১৬.৫৬ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। তারপরেও ফান্ডে ১৫,০৪,০১৯ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
অ্যাক্সিস স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার প্ল্যান – গ্রোথ: অ্যাক্সিস স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে ১৫.৬০ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পারেও ফান্ডে এখনও ১৪,৩৭,৪৬৪ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
অ্যাক্সিস স্মল ক্যাপ ফান্ড – রেগুলার প্ল্যান – গ্রোথ: অ্যাক্সিস স্মল ক্যাপ ফান্ড থেকে ১৫.৬০ শতাংশ হারে বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে মিলেছে ১ লাখ টাকা। ১২০ কিস্তি তোলার পারেও ফান্ডে এখনও ১৪,৩৭,৪৬৪ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
এইচডিএফসি স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ অপশন: এই ফান্ড থেকে গত দশ বছরে ১৫.০৯ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা মিলেছে। তারপরেও ফান্ডে ১৫,০৪,০১৯ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।
এইচডিএফসি স্মল ক্যাপ ফান্ড – গ্রোথ অপশন: এই ফান্ড থেকে গত দশ বছরে ১৫.০৯ শতাংশ হারে রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ৬৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা মিলেছে। তারপরেও ফান্ডে ১৫,০৪,০১৯ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে।

Investment Tips: প্রতি মাসে মিলবে বাম্পার টাকা, SIP-র থেকেও কি ভাল এই স্কিম ?

মিউচুয়াল ফান্ডে নিজেদের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত আয় করা যেতে পারে। এর জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানে (SWP) বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, এই SWP কী? এটি কীভাবে নিয়মিত আয় দেবে? এবং কখন SWP করা উপকারী? এটি কি সত্যিই SIP-র চেয়ে ভাল পরিকল্পনা? আমরা আজ এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
মিউচুয়াল ফান্ডে নিজেদের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত আয় করা যেতে পারে। এর জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানে (SWP) বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, এই SWP কী? এটি কীভাবে নিয়মিত আয় দেবে? এবং কখন SWP করা উপকারী? এটি কি সত্যিই SIP-র চেয়ে ভাল পরিকল্পনা? আমরা আজ এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) কী -সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) হল এক ধরনের সুবিধা। এর মাধ্যমে, বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত পায়। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই বেছে নেয় কত টাকা এবং কোন সময়ে তুলতে হবে। তারা মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই কাজ করতে পারে। তবে মাসিক বিকল্প (নিয়মিত মাসিক আয়) বেশি জনপ্রিয়। বিনিয়োগকারীরা চাইলে, তারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারে বা যদি তারা চায়, তারা বিনিয়োগের উপর মূলধন লাভ প্রত্যাহার করতে পারে।
সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) কী –
সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) হল এক ধরনের সুবিধা। এর মাধ্যমে, বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফেরত পায়। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই বেছে নেয় কত টাকা এবং কোন সময়ে তুলতে হবে। তারা মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই কাজ করতে পারে। তবে মাসিক বিকল্প (নিয়মিত মাসিক আয়) বেশি জনপ্রিয়। বিনিয়োগকারীরা চাইলে, তারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারে বা যদি তারা চায়, তারা বিনিয়োগের উপর মূলধন লাভ প্রত্যাহার করতে পারে।
কীভাবে SWP শুরু করা যাবে -SWP যে কোনও সময় শুরু করা যেতে পারে। প্রথম বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে এটি শুরু করা যেতে পারে। যদি কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করা হয়, তবে এতে SWP বিকল্পটি সক্রিয় করা যেতে পারে। নিয়মিত নগদ প্রবাহের প্রয়োজনে এটি যে কোনও সময় শুরু করা যেতে পারে। SWP সক্রিয় করতে, AMC-তে একটি স্লিপ পূরণ করতে হবে। যেখানে ফোলিও নম্বর, টাকা তোলার ফ্রিকোয়েন্সি, প্রথম তোলার তারিখ, টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করা আছে।
কীভাবে SWP শুরু করা যাবে –
SWP যে কোনও সময় শুরু করা যেতে পারে। প্রথম বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে এটি শুরু করা যেতে পারে। যদি কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করা হয়, তবে এতে SWP বিকল্পটি সক্রিয় করা যেতে পারে। নিয়মিত নগদ প্রবাহের প্রয়োজনে এটি যে কোনও সময় শুরু করা যেতে পারে। SWP সক্রিয় করতে, AMC-তে একটি স্লিপ পূরণ করতে হবে। যেখানে ফোলিও নম্বর, টাকা তোলার ফ্রিকোয়েন্সি, প্রথম তোলার তারিখ, টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করা আছে।
SWP কীভাবে কাজ করে -সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) একটি সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মতোই কাজ করে। পদ্ধতিগত প্রত্যাহার পরিকল্পনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুবিধা। এতে নিয়মিত টাকা তোলা যেতে পারবে। এই কারণে, বিনিয়োগকারী নগদ প্রবাহ বজায় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। কোনও লকইন পিরিয়ডের ঝামেলা নেই।
SWP কীভাবে কাজ করে –
সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) একটি সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মতোই কাজ করে। পদ্ধতিগত প্রত্যাহার পরিকল্পনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুবিধা। এতে নিয়মিত টাকা তোলা যেতে পারবে। এই কারণে, বিনিয়োগকারী নগদ প্রবাহ বজায় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। কোনও লকইন পিরিয়ডের ঝামেলা নেই।
প্রতি মাসে নিয়মিত আয় -SWP-র মাধ্যমে নিয়মিত বিরতিতে টাকা তোলা যায়। এতে, মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে কখন অর্থের প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা যেতে পারে। NAV-র ভিত্তিতে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার বিকল্প রয়েছে। এই অর্থ MF-এ পুনঃবিনিয়োগ বা ব্যয় করা যেতে পারে। SWP বিশেষভাবে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এতে সিনিয়র সিটিজেনরা বেশি উপকৃত হচ্ছে। তাদের আয়ের ওপর কম কর দিতে হয়।
প্রতি মাসে নিয়মিত আয় –
SWP-র মাধ্যমে নিয়মিত বিরতিতে টাকা তোলা যায়। এতে, মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে কখন অর্থের প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা যেতে পারে। NAV-র ভিত্তিতে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার বিকল্প রয়েছে। এই অর্থ MF-এ পুনঃবিনিয়োগ বা ব্যয় করা যেতে পারে। SWP বিশেষভাবে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এতে সিনিয়র সিটিজেনরা বেশি উপকৃত হচ্ছে। তাদের আয়ের ওপর কম কর দিতে হয়।
SWP -SWP এর বিনিয়োগ যদি ডেট ফান্ডে থাকে তাতে যদি ৮% রিটার্ন পাওয়া যায় এবং এতে যদি বার্ষিক ১০% টাকা উত্তোলন করা হয়, তবে মূলধন ব্যয় করা হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকৃত মূলধন কমে যেতে পারে। ৫ বছরে ঋণ তহবিলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিনিয়োগ করা উচিত। হাইব্রিড ফান্ডে অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত।
SWP –
SWP এর বিনিয়োগ যদি ডেট ফান্ডে থাকে তাতে যদি ৮% রিটার্ন পাওয়া যায় এবং এতে যদি বার্ষিক ১০% টাকা উত্তোলন করা হয়, তবে মূলধন ব্যয় করা হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকৃত মূলধন কমে যেতে পারে। ৫ বছরে ঋণ তহবিলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিনিয়োগ করা উচিত। হাইব্রিড ফান্ডে অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত।
প্রতি মাসে কি অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে -- নিজেদের SWP-এর পরিমাণ/তারিখ/কাল উল্লেখ করতে হবে।

- প্রতি মাসে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে।

- ইউনিট বিক্রি করে নিজেদের তহবিল থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে।

- তহবিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে SWP বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতি মাসে কি অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে –
– নিজেদের SWP-এর পরিমাণ/তারিখ/কাল উল্লেখ করতে হবে।
– প্রতি মাসে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে।
– ইউনিট বিক্রি করে নিজেদের তহবিল থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে।
– তহবিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে SWP বন্ধ হয়ে যাবে।
কীভাবে এই স্কিমটি এসআইপির চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে -- এসআইপি-তে, নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

- অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা পরিমাণ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য যায়।

- SWP-তে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে।

- SWP-র পরিমাণ মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট বিক্রি থেকে আসে।
কীভাবে এই স্কিমটি এসআইপির চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে –
– এসআইপি-তে, নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
– অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা পরিমাণ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য যায়।
– SWP-তে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে।
– SWP-র পরিমাণ মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট বিক্রি থেকে আসে।ম
এতে কী সতর্কতা প্রয়োজন -- ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে কখনও SWP চালানো উচিত নয়।

- যখন বাজার পড়ে, নিজেদের তহবিল প্রভাবিত হয়।

- নির্দিষ্ট পরিমাণে আরও ইউনিট বিক্রি করতে হবে।

- এতে করে পোর্টফোলিও খুব দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে।

- SWP-র জন্য ঋণ/তরল তহবিল আরও ভাল বিকল্প।
এতে কী সতর্কতা প্রয়োজন –
– ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে কখনও SWP চালানো উচিত নয়।
– যখন বাজার পড়ে, নিজেদের তহবিল প্রভাবিত হয়।
– নির্দিষ্ট পরিমাণে আরও ইউনিট বিক্রি করতে হবে।
– এতে করে পোর্টফোলিও খুব দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে।
– SWP-র জন্য ঋণ/তরল তহবিল আরও ভাল বিকল্প।
অন্য কী সুবিধা পাওয়া যাবে -- বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টাকার পরিমাণ নির্বাচন করতে পারে।

- বাজারে বিনিয়োগ থেকে ভাল আয়ের প্রত্যাশা।

- মূল্যস্ফীতির সময় ভাল বিকল্প।

- বাজারের ওঠানামা সহ্য করতে পারে।
অন্য কী সুবিধা পাওয়া যাবে –
– বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টাকার পরিমাণ নির্বাচন করতে পারে।
– বাজারে বিনিয়োগ থেকে ভাল আয়ের প্রত্যাশা।
– মূল্যস্ফীতির সময় ভাল বিকল্প।
– বাজারের ওঠানামা সহ্য করতে পারে।
SWP-তে ট্যাক্স কত হবে -- STCG ১ বছরের কম সময়ের জন্য ইক্যুইটিতে প্রযোজ্য।

- ৩ বছরের কম ঋণের উপর STCG

- ইক্যুইটিতে ১ লাখ টাকার বেশি লাভের উপর ট্যাক্স ধার্য করা হবে।

- ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের খালাসের উপর ট্যাক্স ধার্য করা হবে।

- SWP করার সময়, ট্যাক্স দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে।
SWP-তে ট্যাক্স কত হবে –
– STCG ১ বছরের কম সময়ের জন্য ইক্যুইটিতে প্রযোজ্য।
– ৩ বছরের কম ঋণের উপর STCG
– ইক্যুইটিতে ১ লাখ টাকার বেশি লাভের উপর ট্যাক্স ধার্য করা হবে।
– ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের খালাসের উপর ট্যাক্স ধার্য করা হবে।
– SWP করার সময়, ট্যাক্স দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে।
প্রতিটি প্রত্যাহার একটি খালাস হিসাবে বিবেচিত হয় -- এমন পরিস্থিতিতে, এইগুলির উপর মূলধন লাভ কর দিতে হবে।

- নির্দিষ্ট ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী মূলধন লাভ চার্জ করা হয়।
প্রতিটি প্রত্যাহার একটি খালাস হিসাবে বিবেচিত হয় –
– এমন পরিস্থিতিতে, এইগুলির উপর মূলধন লাভ কর দিতে হবে।
– নির্দিষ্ট ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী মূলধন লাভ চার্জ করা হয়।

SIP+SWP-র স্ট্র্যাটেজি মেনে বিনিয়োগ করুন, পায়ের উপর পা তুলে কাটবে অবসর জীবন

নিশ্চিন্তে অবসর কাটানোর জন্য চাই প্রচুর অর্থ। দৈনন্দিন খরচ তো বটেই, চিকিৎসা এবং জরুরী প্রয়োজনের টাকাও হাতে রাখতে হয়। সঙ্গে সঞ্চয়। কিন্তু এত টাকা আসবে কোথা থেকে? এর সহজ উত্তর হল এসআইপি + এসডব্লিউপি। কর্মজীবনের শুরু থেকেই এর প্রস্তুতি নিলে অবসর নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
নিশ্চিন্তে অবসর কাটানোর জন্য চাই প্রচুর অর্থ। দৈনন্দিন খরচ তো বটেই, চিকিৎসা এবং জরুরী প্রয়োজনের টাকাও হাতে রাখতে হয়। সঙ্গে সঞ্চয়। কিন্তু এত টাকা আসবে কোথা থেকে? এর সহজ উত্তর হল এসআইপি + এসডব্লিউপি। কর্মজীবনের শুরু থেকেই এর প্রস্তুতি নিলে অবসর নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
SIP এবং SWP কী? আগে এটা বুঝতে হবে: এসআইপি মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। এভাবে দীর্ঘমেয়াদে মোটা টাকা জমাতে পারেন বিনিয়োগকারী। অন্য দিকে, এসডব্লিউপি হল সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান। এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট বিক্রি করে মেলে এই টাকা। মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক এসডব্লিউপি করা যায়।
SIP এবং SWP কী? আগে এটা বুঝতে হবে: এসআইপি মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। এভাবে দীর্ঘমেয়াদে মোটা টাকা জমাতে পারেন বিনিয়োগকারী। অন্য দিকে, এসডব্লিউপি হল সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান। এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট বিক্রি করে মেলে এই টাকা। মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক এসডব্লিউপি করা যায়।
এসআইপি + এসডব্লিউপি স্ট্র্যাটেজি কী: এই স্ট্র্যাটেজিতে বিনিয়োগকারী তাঁর কর্মজীবনে এসআইপি-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করেন। যদিও বাজার সংযুক্ত হওয়ায় এতে ঝুঁকি রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। যে কোনও ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের তুলনায় অনেক বেশি। এসআইপিতে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। ২০ থেকে ৩০ বছর টানা বিনিয়োগ করলে খুব সহজেই মোটা তহবিল তৈরি হয়ে যায়।
এসআইপি + এসডব্লিউপি স্ট্র্যাটেজি কী: এই স্ট্র্যাটেজিতে বিনিয়োগকারী তাঁর কর্মজীবনে এসআইপি-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করেন। যদিও বাজার সংযুক্ত হওয়ায় এতে ঝুঁকি রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। যে কোনও ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের তুলনায় অনেক বেশি। এসআইপিতে কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। ২০ থেকে ৩০ বছর টানা বিনিয়োগ করলে খুব সহজেই মোটা তহবিল তৈরি হয়ে যায়।
এরপর অবসরের সময় বেছে নিতে হবে এসডব্লিউপি। ফলে নিয়মিত আয় হাতে আসতে থাকবে। এসডব্লিউপি-তে আনুমানিক ৮ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। বিনিয়োগকারী তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা তোলার পরিমাণ এবং মেয়াদ বেছে নিতে পারেন। যেমন ১০ বছর, ২০ বছর বা তার বেশি। কিন্তু এই আয় ততক্ষণই আসতে থাকবে যতক্ষণ ফান্ডে টাকা থাকবে। বিনিয়োগ করা টাকা যদি ২০ বছর বা মেয়াদের পর থাকে তাহলে বিনিয়োগকারী এসডব্লিউপি চালিয়ে যেতে পারবেন।
এরপর অবসরের সময় বেছে নিতে হবে এসডব্লিউপি। ফলে নিয়মিত আয় হাতে আসতে থাকবে। এসডব্লিউপি-তে আনুমানিক ৮ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। বিনিয়োগকারী তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা তোলার পরিমাণ এবং মেয়াদ বেছে নিতে পারেন। যেমন ১০ বছর, ২০ বছর বা তার বেশি। কিন্তু এই আয় ততক্ষণই আসতে থাকবে যতক্ষণ ফান্ডে টাকা থাকবে। বিনিয়োগ করা টাকা যদি ২০ বছর বা মেয়াদের পর থাকে তাহলে বিনিয়োগকারী এসডব্লিউপি চালিয়ে যেতে পারবেন।
যে কোনও সময় এসডব্লিউপি শুরু করা যায়, এসআইপি ছাড়াই। রিটায়ারমেন্টের সময় পাওয়া টাকা দিয়েও এসডব্লিউপি শুরু করতে পারেন বিনিয়োগকারী। এর জন্য এএমসি-তে ফর্ম জমা দিতে হয়। সেখানে ফোলিও নম্বর, টাকা তোলার মেয়াদ, প্রথম টাকা পাওয়ার তারিখ, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে তার নম্বর ইত্যাদি দিতে হয়।
যে কোনও সময় এসডব্লিউপি শুরু করা যায়, এসআইপি ছাড়াই। রিটায়ারমেন্টের সময় পাওয়া টাকা দিয়েও এসডব্লিউপি শুরু করতে পারেন বিনিয়োগকারী। এর জন্য এএমসি-তে ফর্ম জমা দিতে হয়। সেখানে ফোলিও নম্বর, টাকা তোলার মেয়াদ, প্রথম টাকা পাওয়ার তারিখ, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে তার নম্বর ইত্যাদি দিতে হয়।

SWP-তে কি SIP-র চেয়ে বেশি লাভ মেলে? কোনটা আপনার জন্য লাভজনক দেখুন

গত কয়েক বছর ধরে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যাঁদের বিনিয়োগ সম্পর্কে ন্যূনতম আগ্রহ আছে, তাঁরা বিষয়টা বোঝেন। এসআইপি কী, কীভাবে কাজ করে, সব খুঁটিনাটি কন্ঠস্থ। কিন্তু সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান বা এসডব্লিউপি সম্পর্কে তাঁদের অনেকেই জানেন না।
গত কয়েক বছর ধরে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যাঁদের বিনিয়োগ সম্পর্কে ন্যূনতম আগ্রহ আছে, তাঁরা বিষয়টা বোঝেন। এসআইপি কী, কীভাবে কাজ করে, সব খুঁটিনাটি কন্ঠস্থ। কিন্তু সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান বা এসডব্লিউপি সম্পর্কে তাঁদের অনেকেই জানেন না।
এসডব্লিউপি হল কৌশলগত প্রত্যাহার বিকল্প। এসআইপিতে বিনিয়োগকারীর হাতে একসঙ্গে মোটা টাকা থাকে না। তাই তিনি প্রতি মাসে বিনিয়োগ করেন। এসডব্লিউপি-তে উল্টোটা। এখানে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর প্রতি মাসে সুদ এবং আসলের একটা অংশ বিনিয়োগকারীর হাতে আসে। অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এটা আদর্শ।
এসডব্লিউপি হল কৌশলগত প্রত্যাহার বিকল্প। এসআইপিতে বিনিয়োগকারীর হাতে একসঙ্গে মোটা টাকা থাকে না। তাই তিনি প্রতি মাসে বিনিয়োগ করেন। এসডব্লিউপি-তে উল্টোটা। এখানে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর প্রতি মাসে সুদ এবং আসলের একটা অংশ বিনিয়োগকারীর হাতে আসে। অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এটা আদর্শ।
এসডব্লিউপি কেন লাভজনক: অবসর পরিকল্পনায় এসডব্লিউপি-কে আদর্শ মনে করা হয়। কারণ নিয়মিত আয় পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারী প্রত্যাহারের পরিমাণ এবং সময়কাল ঠিক করতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে আসে।
এসডব্লিউপি কেন লাভজনক: অবসর পরিকল্পনায় এসডব্লিউপি-কে আদর্শ মনে করা হয়। কারণ নিয়মিত আয় পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারী প্রত্যাহারের পরিমাণ এবং সময়কাল ঠিক করতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে আসে।
এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত আয়ের পাশাপাশি অবশিষ্ট বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। অর্থাৎ টাকা তোলার পরেও মেয়াদ শেষে মোটা কর্পাস জমা হয়। এসআইপিতে ইউনিট কেনার খরচ গড়ে ধরা হয়, এসডব্লিউপি-তে টাকা তোলার খরচকে গড় ধর হয়। তবে মাথায় রাখতে হবে, মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে রিটার্নের হার পরিবর্তিত হতে পারে।
এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত আয়ের পাশাপাশি অবশিষ্ট বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। অর্থাৎ টাকা তোলার পরেও মেয়াদ শেষে মোটা কর্পাস জমা হয়। এসআইপিতে ইউনিট কেনার খরচ গড়ে ধরা হয়, এসডব্লিউপি-তে টাকা তোলার খরচকে গড় ধর হয়। তবে মাথায় রাখতে হবে, মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে রিটার্নের হার পরিবর্তিত হতে পারে।
বিনিয়োগের সময়কালের উপর ভিত্তি করে এসডব্লিউপি থেকে প্রাপ্ত লাভকে স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ হিসেবে ধরা হয়। দীর্ঘমেয়াদি লাভে করের হার অনুকূল থাকে। ফলে বিনিয়োগকারীদের আয় বাড়ে।
বিনিয়োগের সময়কালের উপর ভিত্তি করে এসডব্লিউপি থেকে প্রাপ্ত লাভকে স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ হিসেবে ধরা হয়। দীর্ঘমেয়াদি লাভে করের হার অনুকূল থাকে। ফলে বিনিয়োগকারীদের আয় বাড়ে।
স্টক থেকে লভ্যাংশের বিপরীতে এসডব্লিউপি-র আওতায় মিউচুয়াল ফান্ড থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সম্পূর্ণ করমুক্ত। চয়েস ওয়েলথ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকুঞ্জ সরফ বলেন, “আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি এবং এসডব্লিউপি, দুটি স্বতন্ত্র বিনিয়োগ কৌশল। এসআইপিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করা হয়। সম্পদ তৈরির জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ। অন্যদিকে এসডব্লিউপিতে বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তুলতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত আয় চান, তাঁদের জন্য উপযুক্ত। অন্য দিকে, যাঁরা সম্পদ বানাতে চান, নিয়মিত আয়ের প্রয়োজন নেই, তাঁদের জন্য আদর্শ হল এসআইপি”।
স্টক থেকে লভ্যাংশের বিপরীতে এসডব্লিউপি-র আওতায় মিউচুয়াল ফান্ড থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সম্পূর্ণ করমুক্ত। চয়েস ওয়েলথ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকুঞ্জ সরফ বলেন, “আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি এবং এসডব্লিউপি, দুটি স্বতন্ত্র বিনিয়োগ কৌশল। এসআইপিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করা হয়। সম্পদ তৈরির জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ। অন্যদিকে এসডব্লিউপিতে বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তুলতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত আয় চান, তাঁদের জন্য উপযুক্ত। অন্য দিকে, যাঁরা সম্পদ বানাতে চান, নিয়মিত আয়ের প্রয়োজন নেই, তাঁদের জন্য আদর্শ হল এসআইপি”।

Investment Tips: এই স্কিম থেকে মিলবে মাসে ৭৫ হাজার টাকা পেনশন, থাকবে ২২.৭৬ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স !

SWP হল একটি জনপ্রিয় মিউচুয়াল ফান্ড, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রতি মাসে বিনিয়োগ করার পর একটি নির্দিষ্ট মাসিক আয় পান। এই স্কিমটি সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়, যাঁদের একটি মাসিক আয়/পেনশন প্রয়োজন। কারণ তাঁদের আয়ের উৎস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেতে পারে। যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে SWP শুধুমাত্র একটি মাসিক আয় প্রদান করে না, কর্পাসও বাড়াতে পারে।
SWP হল একটি জনপ্রিয় মিউচুয়াল ফান্ড, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রতি মাসে বিনিয়োগ করার পর একটি নির্দিষ্ট মাসিক আয় পান। এই স্কিমটি সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়, যাঁদের একটি মাসিক আয়/পেনশন প্রয়োজন। কারণ তাঁদের আয়ের উৎস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেতে পারে। যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে SWP শুধুমাত্র একটি মাসিক আয় প্রদান করে না, কর্পাসও বাড়াতে পারে।
রিটার্নের হার যে পেনশন উত্তোলন করছেন তার থেকে বেশি হলে এটি করা যেতে পারে। যেমন, কেউ যদি তাঁর বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন অর্জন করেন এবং ৭ শতাংশ টাকা উত্তোলন করে, তাহলে ভাল পরিমাণ পেনশন তোলার পরেও সেই তহবিল বৃদ্ধি পাবে।
রিটার্নের হার যে পেনশন উত্তোলন করছেন তার থেকে বেশি হলে এটি করা যেতে পারে। যেমন, কেউ যদি তাঁর বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন অর্জন করেন এবং ৭ শতাংশ টাকা উত্তোলন করে, তাহলে ভাল পরিমাণ পেনশন তোলার পরেও সেই তহবিল বৃদ্ধি পাবে।
জেনে নেওয়া যাক বিগত এক দশকে শীর্ষস্থানীয় কিছু SWP ফান্ড সম্পর্কে -
জেনে নেওয়া যাক বিগত এক দশকে শীর্ষস্থানীয় কিছু SWP ফান্ড সম্পর্কে –
Quant Absolute Fund - Growth Option - Regular Plan -এটি চার্টের শীর্ষে থাকার জন্য বিগত ১০ বছরে ১৭.১৩ শতাংশের CAGR দিয়েছে। এখানে, আমরা শীর্ষ ৭টি SWP মিউচুয়াল ফান্ডের তালিকা দিচ্ছি যেগুলি ৫০ লক্ষ টাকার একক বিনিয়োগে প্রত্যেককে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন দিয়েছে এবং এর পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি (মোট ৯০ লক্ষ টাকা) তোলার পরে ২২.৭৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স।
Quant Absolute Fund – Growth Option – Regular Plan –
এটি চার্টের শীর্ষে থাকার জন্য বিগত ১০ বছরে ১৭.১৩ শতাংশের CAGR দিয়েছে। এখানে, আমরা শীর্ষ ৭টি SWP মিউচুয়াল ফান্ডের তালিকা দিচ্ছি যেগুলি ৫০ লক্ষ টাকার একক বিনিয়োগে প্রত্যেককে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন দিয়েছে এবং এর পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি (মোট ৯০ লক্ষ টাকা) তোলার পরে ২২.৭৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স।
ICICI Prudential Equity & Debt Fund - Growth -২ নং পজিশনে থাকা ফান্ডটির বার্ষিক রিটার্ন ১৬.৮৮ শতাংশ। বিগত ১০ বছরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তির পরে, এই স্কিমে বিনিয়োগের সঙ্গে এখনও তহবিলে ব্যালেন্স হিসাবে ২০,৫৫,০৭৯ টাকা রয়েছে৷
ICICI Prudential Equity & Debt Fund – Growth –
২ নং পজিশনে থাকা ফান্ডটির বার্ষিক রিটার্ন ১৬.৮৮ শতাংশ। বিগত ১০ বছরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তির পরে, এই স্কিমে বিনিয়োগের সঙ্গে এখনও তহবিলে ব্যালেন্স হিসাবে ২০,৫৫,০৭৯ টাকা রয়েছে৷
DSP Equity & Bond Fund- Regular Plan - Growth -৩ নম্বর অবস্থানে থাকা ফান্ডটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.২১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে সেই সময়ের মধ্যে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন উত্তোলনের পরেও অ্যাকাউন্টে এখনও ১৪,৯১,৬০৪ টাকা রয়েছে৷
DSP Equity & Bond Fund- Regular Plan – Growth –
৩ নম্বর অবস্থানে থাকা ফান্ডটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.২১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে সেই সময়ের মধ্যে ৭৫,০০০ টাকা মাসিক পেনশন উত্তোলনের পরেও অ্যাকাউন্টে এখনও ১৪,৯১,৬০৪ টাকা রয়েছে৷
Canara Robeco Equity Hybrid Fund - Regular Plan - Growth Option -ফান্ডটি বিগত ১০ বছরে ১৬.১৩ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি তোলার পরে, এখনও বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে ১৪,৩১,১১০ টাকা রয়েছে৷
Canara Robeco Equity Hybrid Fund – Regular Plan – Growth Option –
ফান্ডটি বিগত ১০ বছরে ১৬.১৩ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন দিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পরে প্রতিটি ৭৫,০০০ টাকার ১২০টি কিস্তি তোলার পরে, এখনও বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে ১৪,৩১,১১০ টাকা রয়েছে৷
HDFC Hybrid Equity Fund - Growth Plan -এটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.০৯ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। বিনিয়োগকারী, ১০ বছরের জন্য তার মাসিক পেনশন থেকে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরে, এখনও ১৩,৯৮,৩৮৫ টাকা বাকি আছে৷
HDFC Hybrid Equity Fund – Growth Plan –
এটি ১০ বছরের মেয়াদে ১৬.০৯ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। বিনিয়োগকারী, ১০ বছরের জন্য তার মাসিক পেনশন থেকে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরে, এখনও ১৩,৯৮,৩৮৫ টাকা বাকি আছে৷
HSBC Aggressive Hybrid Fund - Regular Growth -HSBC থেকে মিউচুয়াল ফান্ড ১০ বছরের মেয়াদে ১৫.৪৫ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ১২০ মাসের জন্য মাসিক পেনশনে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে ৯,১১,০৩৮ টাকার ব্যালেন্স রয়েছে৷
HSBC Aggressive Hybrid Fund – Regular Growth –
HSBC থেকে মিউচুয়াল ফান্ড ১০ বছরের মেয়াদে ১৫.৪৫ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ১২০ মাসের জন্য মাসিক পেনশনে ৭৫,০০০ টাকা তোলার পরেও বিনিয়োগকারীর কাছে ৯,১১,০৩৮ টাকার ব্যালেন্স রয়েছে৷

Investment Tips: SWP-র নাম শুনেছেন? এখানে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বিপুল টাকা

জিনিসপত্রের দাম নিয়ম করে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে কমছে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে সুদের হার। এই পরিস্থিতিতে অবসরকালের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু মোটা টাকা জমানো নয়, সেই টাকা কীভাবে তোলা হবে সেই নিয়েও আগাম পরিকল্পনা ছকে রাখা দরকার।
জিনিসপত্রের দাম নিয়ম করে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে কমছে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে সুদের হার। এই পরিস্থিতিতে অবসরকালের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু মোটা টাকা জমানো নয়, সেই টাকা কীভাবে তোলা হবে সেই নিয়েও আগাম পরিকল্পনা ছকে রাখা দরকার।
এ জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানকে সেরা বিকল্প বলে মনে করেন স্ক্রিপবক্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনুপ বনসল। তাঁর কথায়, ‘এটা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের উল্টো। সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের সাহায্যে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা করা মোট টাকার একটা অংশ তুলতে পারেন’।
এ জন্য সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানকে সেরা বিকল্প বলে মনে করেন স্ক্রিপবক্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনুপ বনসল। তাঁর কথায়, ‘এটা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের উল্টো। সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের সাহায্যে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা করা মোট টাকার একটা অংশ তুলতে পারেন’।
এটা কীভাবে কাজ করে? এসডব্লিউপি-তে বিনিয়োগকারীকে প্রথমে এক লপ্তে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে তিনি নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ নিরাপদ।
এটা কীভাবে কাজ করে? এসডব্লিউপি-তে বিনিয়োগকারীকে প্রথমে এক লপ্তে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে তিনি নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ নিরাপদ।
যাঁরা অবসর নিচ্ছেন বা প্রবীণ নাগরিক, মাসিক আয়ের একটা সহজ উৎস খুঁজছেন তাঁদের জন্য এসডব্লিউপি আদর্শ বিকল্প। বনসলের কথায়, ‘আমার মতে, অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের জুড়ি নেই’।
যাঁরা অবসর নিচ্ছেন বা প্রবীণ নাগরিক, মাসিক আয়ের একটা সহজ উৎস খুঁজছেন তাঁদের জন্য এসডব্লিউপি আদর্শ বিকল্প। বনসলের কথায়, ‘আমার মতে, অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের জুড়ি নেই’।
এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে, তিন মাস অন্তর বা বছরে একবার নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বনসাল বলছেন, ‘কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা তুলতে দেওয়া হয় তা একজনের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে, জীবনযাত্রার ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ বদলে নেওয়া যায়’।
এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে, তিন মাস অন্তর বা বছরে একবার নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলতে পারেন। বনসাল বলছেন, ‘কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা তুলতে দেওয়া হয় তা একজনের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে, জীবনযাত্রার ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ বদলে নেওয়া যায়’।
তবে প্রতি মাসে তোলা টাকার পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মোট মূলধনের উপর কত টাকা সুদ মিলছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। যদি ৭ শতাংশ সুদ মেলে তাহলে মাসিক কিস্তিতে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তবে প্রতি মাসে তোলা টাকার পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মোট মূলধনের উপর কত টাকা সুদ মিলছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। যদি ৭ শতাংশ সুদ মেলে তাহলে মাসিক কিস্তিতে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
কারণ এর ফলে সঞ্চিত মূলধনে হাত পড়বে না। যাই হোক, আয় এবং খরচের তুলনা করেই মাসিক কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ ঠিক করা উচিত। এই প্রসঙ্গে বনসল বলছেন, ‘এটা কীভাবে একটা পরিবারের খরচ চালানোর জন্য বাজেট ঠিক করতে হয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়’।
কারণ এর ফলে সঞ্চিত মূলধনে হাত পড়বে না। যাই হোক, আয় এবং খরচের তুলনা করেই মাসিক কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ ঠিক করা উচিত। এই প্রসঙ্গে বনসল বলছেন, ‘এটা কীভাবে একটা পরিবারের খরচ চালানোর জন্য বাজেট ঠিক করতে হয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়’।
তাছাড়া চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের সুবিধা পাওয়ার জন্যও এক লপ্তে মোটা টাকা তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বনসাল। তাঁর কথায়, ‘অবসরকালের জন্য এসডব্লিউপি একটা দুর্দান্ত বিকল্প। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে প্রথমে মোটা অঙ্কের টাকা জমাতে হবে। তারপর সেখান থেকেই মাসিক আয়ের নিরাপদ রাস্তা খুঁজে নিতে পারবেন তিনি’।
তাছাড়া চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের সুবিধা পাওয়ার জন্যও এক লপ্তে মোটা টাকা তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বনসাল। তাঁর কথায়, ‘অবসরকালের জন্য এসডব্লিউপি একটা দুর্দান্ত বিকল্প। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে প্রথমে মোটা অঙ্কের টাকা জমাতে হবে। তারপর সেখান থেকেই মাসিক আয়ের নিরাপদ রাস্তা খুঁজে নিতে পারবেন তিনি’।

প্রতি মাসে পেনশন চান? এই ৪ SWP-তে বিনিয়োগ করুন, কোনও দিন টাকার চিন্তা থাকবে না

সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান বা এসডব্লিউপি হল মিউচুয়াল ফান্ডের উইথড্রয়াল পদ্ধতি। এই স্কিমে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতি মাসে সুদ সমেত সেই টাকা রিটার্ন হিসেবে হাতে আসে। অনেকটা পেনশনের মতো। এই স্কিমে উইথড্রয়াল হার যদি বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম হয়, তাহলে বিনিয়োগকারী আজীবন টাকা পেতে পারেন।
সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান বা এসডব্লিউপি হল মিউচুয়াল ফান্ডের উইথড্রয়াল পদ্ধতি। এই স্কিমে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতি মাসে সুদ সমেত সেই টাকা রিটার্ন হিসেবে হাতে আসে। অনেকটা পেনশনের মতো। এই স্কিমে উইথড্রয়াল হার যদি বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম হয়, তাহলে বিনিয়োগকারী আজীবন টাকা পেতে পারেন।
হাইব্রিড ফান্ড ক্যাটেগরির গ্রোথ প্ল্যানের এসডব্লিউপি গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করছে। এর মধ্যে কোয়ান্ট, আইসিআইসিআই প্রু, এইচডিএফসি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডিএসপি ফান্ড অন্যতম। যাইহোক, ১০ বছর আগে যদি কোনও বিনিয়োগকারী এসডব্লিউপিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে আজ কত রিটার্ন আসত?
হাইব্রিড ফান্ড ক্যাটেগরির গ্রোথ প্ল্যানের এসডব্লিউপি গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করছে। এর মধ্যে কোয়ান্ট, আইসিআইসিআই প্রু, এইচডিএফসি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডিএসপি ফান্ড অন্যতম। যাইহোক, ১০ বছর আগে যদি কোনও বিনিয়োগকারী এসডব্লিউপিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে আজ কত রিটার্ন আসত?
কোয়ান্ট অ্যাবসোলিউট ফান্ড গ্রোথ, ডিরেক্ট প্ল্যান: গত ১০ বছরে ১৯.১৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মিক্সড অ্যাসেট হাইব্রিড অ্যাগ্রেসিভ ফান্ডের মোট এইউএম ১,৭৮৭.৭৭ এবং এনএভি ৪৩৪.৫১৮৪ টাকা। ১০ বছর আগে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৯১,০৩,৪১৮ টাকা।
কোয়ান্ট অ্যাবসোলিউট ফান্ড গ্রোথ, ডিরেক্ট প্ল্যান: গত ১০ বছরে ১৯.১৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মিক্সড অ্যাসেট হাইব্রিড অ্যাগ্রেসিভ ফান্ডের মোট এইউএম ১,৭৮৭.৭৭ এবং এনএভি ৪৩৪.৫১৮৪ টাকা। ১০ বছর আগে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৯১,০৩,৪১৮ টাকা।
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল ইক্যুইটি এবং ঋণ তহবিল, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে ১৮.৪১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৩২,৪২৯.১৭ কোটি এবং এনএভি ৩৭৩.০৩ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন এবং অবশিষ্ট ব্যালেন্স ৮১,৩০,৭৫৬ টাকা।
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল ইক্যুইটি এবং ঋণ তহবিল, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে ১৮.৪১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৩২,৪২৯.১৭ কোটি এবং এনএভি ৩৭৩.০৩ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন এবং অবশিষ্ট ব্যালেন্স ৮১,৩০,৭৫৬ টাকা।
কানাড়া রোবেকো ইক্যুইটি হাইব্রিড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ অপশন: গত ১০ বছরে ১৬.৯০ শতাংশ গড় রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউমের পরিমাণ ৯৮০৮.৫৬ কোটি এবং এনএভি ৩৪৮.৯২ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পেনশন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৬৩,৬৬,৯৩৮ টাকা।
কানাড়া রোবেকো ইক্যুইটি হাইব্রিড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ অপশন: গত ১০ বছরে ১৬.৯০ শতাংশ গড় রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউমের পরিমাণ ৯৮০৮.৫৬ কোটি এবং এনএভি ৩৪৮.৯২ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পেনশন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৬৩,৬৬,৯৩৮ টাকা।
ডিএসপি ইক্যুইটি এবং বন্ড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে গড় ১৬.৮৭ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৮,৮০৪.২২ কোটি, এনএভি ৩২৭.০০৮ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৬০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ৬৩,৩১,৮৫৩ টাকা।
ডিএসপি ইক্যুইটি এবং বন্ড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে গড় ১৬.৮৭ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৮,৮০৪.২২ কোটি, এনএভি ৩২৭.০০৮ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৬০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ৬৩,৩১,৮৫৩ টাকা।