লাইফস্টাইল Tilapia Fish: বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন Gallery August 18, 2024 Bangla Digital Desk মিষ্টি জলের মাছ হিসেবেই পরিচিত তেলাপিয়া। অতুলনীয় স্বাদের এই মাছ সারা দেশে এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও পাওয়া যায়। তবে এই মাছের বিষয়ে বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকদের মতে, অন্ধ্রপ্রদেশের দেবীপত্তনমের উপকূলে বাগজলাসন্ধি সাগরে মিষ্টি জলের তেলাপিয়া মাছের বসবাস করার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু মিষ্টি জলের মাছ কীভাবে সামুদ্রিক নোনা জলে বসবাস করছে, সেই বিষয়টা ভেবেই আশ্চর্য সকলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেলাপিয়া মাছ নদী, পুকুর, জলাধার এবং হ্রদের মতো জলাশয়ে বসবাস করে। এর মিষ্টি স্বাদের কারণে এটি মাছপ্রেমীদের কাছে সমাদৃত। এই মাছের প্রজাতি আফ্রিকায় উৎপন্ন হয়। আর সারা বিশ্বেই তা পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে এই মাছ রামানাথপুরম জেলার দেবীপত্তনম বাগজলাসন্ধি সাগরে বাড়ছে। মাদুরাইয়ের সামুদ্রিক অধ্যাপক মুথুস্বামী আনন্দ তেলাপিয়া মাছ সম্পর্কে বলেছিলেন যে, রামানাথপুরমের উচিপপুলির কাছে পুদুমাদম গ্রামে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় গবেষণা বিভাগ দ্বারা সামুদ্রিক ক্ষেত্র গবেষণা করা হয়েছিল। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা যখন গবেষণার জন্য দেবীপত্তনমের কাছে বাগজলাসন্ধির সমুদ্রের জল সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা দেখতে পাই যে, তিরিশটিরও বেশি তেলাপিয়া মাছের ঝাঁক সমুদ্রের মিষ্টি জলে বসবাস করছে। যখন আমরা সেই মাছগুলি ধরেছিলাম এবং তাদের বৃদ্ধি আর খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে অধ্যয়ন করতে শুরু করি, তখন সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করেছি। আমরা দেখেছি যে, সামুদ্রিক প্রাণী ও গাছপালা খেয়ে তারা বেঁচে থাকে। তেলাপিয়া মাছ আবার তামিলনাড়ুতে কার্পের মতো অনেক নামে পরিচিত। কুড়ির শতকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে ভারতে এসেছিল। ভারতে তেলাপিয়া মাছের জন্য আদর্শ মিষ্টি জল থাকে। এখান থেকে ধরা হয় প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন তেলাপিয়া। প্রায় তিরিশ হাজার মেট্রিক টন সমুদ্র থেকে এবং চল্লিশ হাজার মেট্রিক টন নদী ও পুকুর থেকে ধরা হয়। মিষ্টি জলে বসবাসকারী এই মাছ প্রাকৃতিক ভাবে নিজের বাসস্থানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্বল্প সমুদ্রের জল, স্বল্প মিষ্টি জল আর সমুদ্রের জলে বসবাস করা মাছ এখন সম্পূর্ণ রূপে সাগরের জলে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু মিষ্টি জলে এর প্রজনন বেশি হয়। তবে প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর বলে ১৯৫৮ সালে এই মাছকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে গবেষণা এবং ওষুধের মতো অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে এই মাছকে বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় এবং আবার এর ব্যবহার শুরু হয়। এমপিডিএ নামে একটি গবেষণা সংস্থাকে গবেষণার অনুমতি দেওয়া হয়। আর গবেষণা শেষ হওয়ার পর কৃষক ও তেলাপিয়া মাছের খামারকে কিছু বিধিনিষেধ-সহ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের জলে তেলাপিয়া মাছ জন্মালে তা সমুদ্রে বসবাসকারী অন্যান্য মাছের উপর প্রভাব ফেলবে। উচ্চ প্রজনন হারের কারণে তেলাপিয়া মাছের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং অন্য মাছের খাবার খেয়ে ফেলে তারা। ফলে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ না খেতে পেয়ে মারা যায়। তাই ওই গবেষক বলেন যে, দেবীপত্তনমের উপকূলে এই মাছ বেড়ে উঠলে আগামী দিনে স্থানীয় মাছের সরবরাহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।