দক্ষিণবঙ্গ, পূর্ব মেদিনীপুর Digha News: দিঘার মোহনায় তুলকালাম কাণ্ড! ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ! দেখেই পিলে চমকাচ্ছে সকলের, বিরাট শোরগোল… Gallery September 2, 2024 Bangla Digital Desk দিঘা মোহনা মৎস নিলাম কেন্দ্রজুড়ে শোরগোল পড়ল। তবে এবার বৃহদাকৃতির তেলিয়া ভোলা বা কৈ ভোলা মাছের জন্য নয়, কিংবা ইলিশ উঠে আসার জন্য নয়। বিশাল আকৃতির দুটি শঙ্কর মাছ ঘিরে শোরগোল ছড়াল। বিশাল আকৃতির দুটি শঙ্কর মাছ এদিন দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসে মৎস্যজীবীরা। একটি একটি মাছের ওজন গড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কেজির বেশি। বৃহৎ আকৃতির ওই শঙ্কর মাছ দেখে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে শোরগোল পড়ে যায়। উৎসাহী স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা মাছটি দেখতে ভিড় জমায়। পরপর কয়েক বছর সামুদ্রিক মাছের খরা দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। ফলে ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখ দেখছিল। এবছর ব্যান পিরিয়ড শেষে শিকারে যাওয়ার সময় মৎস্যজীবীরা আশাবাদী ছিল এবার সামুদ্রিক মাছ ভাল পরিমাণউঠে আসবে জালে। মরশুমের শুরুর দিকে মৎস্যজীবীদের আশানুরূপ মাছ উঠে আসেনি জালে। কিন্তু আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেভাবে ইলিশের দেখা না মিললেও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ভাল পরিমাণ জালে জড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি তেলিয়া ভোলা ও কই ভলা মৎস্যজীবীদের খুশির মাত্রা দ্বিগুণ করেছে। তার ওপর বাড়তি পাওনা বিভিন্ন সময় বৃহৎ আকৃতির শঙ্কর মাছ। এদিন এই দুটি বিশালাকার শঙ্কর মাছ ঘিরে হইচই ছড়ায় দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। পূর্ব ভারতের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। বছরের এই সময়টা নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছের কেনা বেচা চলে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ট্রলার, ভুটভটি ও নৌকো থেকে মাছ আসার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা এই মাছ নিলাম কেন্দ্রে মাছ বিক্রির জন্য আসেন। এদিন দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসা এই বৃহৎ আকৃতির শঙ্কর মাছগুলি জেলারই এক মালিকের ট্রলারে ধরা পড়ে। সেখান থেকেই নিয়ে আসা হয় মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। মাছটি আনার সঙ্গে সঙ্গে শরগোল পড়ে যায়, মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে।এদিন দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে বৃহৎ আকৃতির দুটি শঙ্কর মাছ নিলামে ওঠে। এত বড় বড় মাছ দেখতে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড় লক্ষ্য করা যায় মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। শঙ্কর মাছ দুটি বৃহৎ আকৃতির হলেও দাম অত্যন্ত কম। মাছ দুটি মোট ৬০ হাজার টাকারও কম দামে বিক্রি হয়। মাছটির দাম যাই হোক না কেন মরশুমে আবারও এত বৃহৎ আকৃতির দুটি শঙ্কর মাছ জালে ওঠায় খুশি ওই ট্রলারের মালিক। আবহাওয়া অনুকূল থাকলেও সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছে না। এখনও আশা রয়েছে চলতি মরশুমে ইলিশ-সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের জোগান প্রচুর পরিমাণে হবে মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে।
লাইফস্টাইল Tilapia Fish: বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন Gallery August 18, 2024 Bangla Digital Desk মিষ্টি জলের মাছ হিসেবেই পরিচিত তেলাপিয়া। অতুলনীয় স্বাদের এই মাছ সারা দেশে এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও পাওয়া যায়। তবে এই মাছের বিষয়ে বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে। গবেষকদের মতে, অন্ধ্রপ্রদেশের দেবীপত্তনমের উপকূলে বাগজলাসন্ধি সাগরে মিষ্টি জলের তেলাপিয়া মাছের বসবাস করার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু মিষ্টি জলের মাছ কীভাবে সামুদ্রিক নোনা জলে বসবাস করছে, সেই বিষয়টা ভেবেই আশ্চর্য সকলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেলাপিয়া মাছ নদী, পুকুর, জলাধার এবং হ্রদের মতো জলাশয়ে বসবাস করে। এর মিষ্টি স্বাদের কারণে এটি মাছপ্রেমীদের কাছে সমাদৃত। এই মাছের প্রজাতি আফ্রিকায় উৎপন্ন হয়। আর সারা বিশ্বেই তা পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে এই মাছ রামানাথপুরম জেলার দেবীপত্তনম বাগজলাসন্ধি সাগরে বাড়ছে। মাদুরাইয়ের সামুদ্রিক অধ্যাপক মুথুস্বামী আনন্দ তেলাপিয়া মাছ সম্পর্কে বলেছিলেন যে, রামানাথপুরমের উচিপপুলির কাছে পুদুমাদম গ্রামে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় গবেষণা বিভাগ দ্বারা সামুদ্রিক ক্ষেত্র গবেষণা করা হয়েছিল। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা যখন গবেষণার জন্য দেবীপত্তনমের কাছে বাগজলাসন্ধির সমুদ্রের জল সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা দেখতে পাই যে, তিরিশটিরও বেশি তেলাপিয়া মাছের ঝাঁক সমুদ্রের মিষ্টি জলে বসবাস করছে। যখন আমরা সেই মাছগুলি ধরেছিলাম এবং তাদের বৃদ্ধি আর খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে অধ্যয়ন করতে শুরু করি, তখন সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করেছি। আমরা দেখেছি যে, সামুদ্রিক প্রাণী ও গাছপালা খেয়ে তারা বেঁচে থাকে। তেলাপিয়া মাছ আবার তামিলনাড়ুতে কার্পের মতো অনেক নামে পরিচিত। কুড়ির শতকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কা হয়ে ভারতে এসেছিল। ভারতে তেলাপিয়া মাছের জন্য আদর্শ মিষ্টি জল থাকে। এখান থেকে ধরা হয় প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন তেলাপিয়া। প্রায় তিরিশ হাজার মেট্রিক টন সমুদ্র থেকে এবং চল্লিশ হাজার মেট্রিক টন নদী ও পুকুর থেকে ধরা হয়। মিষ্টি জলে বসবাসকারী এই মাছ প্রাকৃতিক ভাবে নিজের বাসস্থানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্বল্প সমুদ্রের জল, স্বল্প মিষ্টি জল আর সমুদ্রের জলে বসবাস করা মাছ এখন সম্পূর্ণ রূপে সাগরের জলে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু মিষ্টি জলে এর প্রজনন বেশি হয়। তবে প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর বলে ১৯৫৮ সালে এই মাছকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে গবেষণা এবং ওষুধের মতো অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে এই মাছকে বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় এবং আবার এর ব্যবহার শুরু হয়। এমপিডিএ নামে একটি গবেষণা সংস্থাকে গবেষণার অনুমতি দেওয়া হয়। আর গবেষণা শেষ হওয়ার পর কৃষক ও তেলাপিয়া মাছের খামারকে কিছু বিধিনিষেধ-সহ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের জলে তেলাপিয়া মাছ জন্মালে তা সমুদ্রে বসবাসকারী অন্যান্য মাছের উপর প্রভাব ফেলবে। উচ্চ প্রজনন হারের কারণে তেলাপিয়া মাছের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং অন্য মাছের খাবার খেয়ে ফেলে তারা। ফলে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ না খেতে পেয়ে মারা যায়। তাই ওই গবেষক বলেন যে, দেবীপত্তনমের উপকূলে এই মাছ বেড়ে উঠলে আগামী দিনে স্থানীয় মাছের সরবরাহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাঁচমিশালি Prawn Malaikari: বিশ্বের সেরা ৫০ সামুদ্রিক খাবারের তালিকায় জায়গা পেল বাংলার এই পদ, শুনলেই গর্ব হবে-জিভে জলও আসবে! Gallery July 24, 2024 Bangla Digital Desk বাংলার অতি পরিচিত চিংড়ির পদ এখন বিশ্বসেরা সামুদ্রিক খাবারের তালিকায়। ভারত থেকে একমাত্র এই পদটিই জায়গা করে নিয়েছে এই ব়্যাঙ্কিংয়ে। চিংড়ি মাছের মালাইকারির নাম শুনলেই সে ছবি চোখে ভেসে ওঠে না বা জিভে জল চলে আসে না– এমন বাঙালি সংখ্যায় হয়তো কমই। বাংলার কয়েকটি আইকনিক রান্নার তালিকায় নাম রয়েছে চিংড়ির মালাইকারির। সেই চিংড়ির মালাইকারিই এবার বিশ্বের সেরা ৫০টি সি-ফুডের তালিকায় ৩১ নম্বরে নাম তুলে নিয়েছে। ভারত থেকে একমাত্র বাঙালির প্রিয় চিংড়ির মালাইকারিই এই সম্মান অর্জন করতে পেরেছে। বাঙালি চিরকালই ভোজনরসিক। ইলিশ বা চিংড়ি নিয়ে তর্ক বিতর্ক যতই থাকুক না কেন ইলিশ ভাপা হোক বা চিংড়ির মালাইকারি রসনাতৃপ্তিতে বাঙালি এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনওটার সঙ্গেই আপস করবে না তা প্রায় সকলেই একমত। তবে ইলিশ নয়, বিশ্বের সেরা সামুদ্রিক খাবারের তালিকায় নাম তুলেছে চিংড়ি। সম্প্রতি টেস্ট অ্যাটলাস নামক সংস্থা বিশ্বসেরা খাদ্য তালিকা প্রকাশ করেছে। এটি একটি পরীক্ষামূলক অনলাইন ভ্রমণ গাইড। যেখানে খাদ্যের রেসিপি খাদ্যের পর্যালোচনা এবং গবেষণা করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক খাদ্য গবেষণার মাধ্যমে এই বিশ্বসেরা খাদ্য তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। চিংড়ি মাছের মালাইকারি যে বিশ্বের সেরা খাবারের তালিকায় উঠে এসেছে তাই নয়। এর পিছনে রয়েছে এক রাজকীয় ইতিহাস। চিংড়ি মাছের মালাইকারি শুধু স্বাদেই সমৃদ্ধ নয়, বাঙালির ঐতিহ্যও বটে। এই ঐতিহ্য এবার নিজের গুণে বিশ্বের সেরা খাবার (সামুদ্রিক)-এর তালিকায় জায়গা পেয়েছে।