Tag Archives: tokyo olympic 2021

Madhuri Dixit at Tokyo Olympics: ‘আজা নাচলে’ নিয়ে অলিম্পিকে ‘পৌঁছলেন’ মাধুরী দীক্ষিত, ভিডিও ভাইরাল

#টোকিও: টোকিও অলিম্পিকে সম্প্রতি নজর কেড়েছে বলিউডের প্রভাব (Tokyo Olympics)। আর্টিস্টিক সুইমিং ডুয়েট ফ্রি রুটিনে ইজরায়েলের দুই মহিলা সাঁতারু ইডেন ব্লেচার ও শেলি ববরিতস্কিকে দেখা গিয়েছে বলিউডের গানে পারফর্ম করতে। সেখানে তাঁরা মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dixit at Tokyo Olympics) জনপ্রিয় গান ‘আজা নাচলে’-তে প্রদর্শন করেন। টোকিও অ্যাকোয়াটিক সেন্টারে বলিউডের গানে ইজরায়েলের সাঁতারুদের প্রদর্শের ভিডিও নজর কেড়েছে নেটিজেনের।

গত ৩০ নভেম্বর মাধুরীর এই ‘আজা নাচলে’ ১৩ বছর পূর্ণ করেছে। এই ছবি মাধুরীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রায় ৫ বছরের বিরতি নিয়ে এই ছবিতেই বলিউডে কামব্যাক করেছিলেন মাধুরী। এবার সেই ছবির টাইটেল ট্র্যাকেই টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি সাঁতারুদের পারফর্মেন্স স্বাভাবিক ভাবেই নজর কেড়েছে বলিউডপ্রেমীদের। তবে মাধুরী দীক্ষিত এই ভিডিও দেখেছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

অলিম্পিকে এভাবে বলিউডের গানে বিদেশিনির পারফর্মেন্সে দারুণ উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে পোস্ট করেছেন অনেকেই। যদিও আর্টিস্টিক সুইমিং ডুয়েট ফ্রি রুটিনের ফাইনালে পৌঁছতে পারেননি দুই মহিলা সাঁতারু ইডেন ব্লেচার ও শেলি ববরিতস্কি। তবে ভারতীয়দের মন জয় করেছেন দুই সাঁতারু। অনেকেই তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এভাবে বলিউডকে বিশ্বের দরবারে পরিবেশন করার জন্য।

কাজের দিক থেকে মাধুরী দীক্ষিতের এই ছবির পরিচালক ছিলেন অনিল মেহতা। এই ছবিতে মাধুরীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কোঙ্কনা সেন শর্মা, যুগল হংসরাজ, অক্ষয় খান্না ও কুণাল কাপুরকে।

Anu Malik Trolled: ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘চুরি’ করে ৯৬ সালে ব্যবহার করেছেন অনু মালিক! ট্যুইটারে সমালোচনার ঝড়

#নয়াদিল্লি: কী কাণ্ড! টোকিও অলিম্পিকে সোনা পেল ইজরায়েলের জিমন্যাস্ট। আর তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার শিকার (Anu Malik Trolled) বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক (Anu Malik)। কিন্তু কী কারণে অনু মালিককে ট্রোল করা হচ্ছে? কী সংযোগ রয়েছে দুই ঘটনার? অনু মালিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ যে, তিনি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতের সুর চুরি করে সেটি ১৯৯৬ সালে অজয় দেবগণের ছবি ‘দিলজালে’-তে ব্যবহার করেছেন। সেই ছবির ‘মেরা দেশ মেরা মুলক’ গানটির সুর হুবহু মিলে যাচ্ছে ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘হাতিকভাহ’-এর সঙ্গে।

কী ভাবে ঘটনাটি সামনে এল নেটিজেনের? টোকিওতে বসেছে ২০২০ অলিম্পিকের আসর। সেখানে রবিবার ইজরায়েলের জিমন্যাস্ট আর্টেম দলগোপেট দেশের হয়ে দ্বিতীয় সোনার মেডেল পান। সেই সময় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সেটি শুনেই বহু ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি আক্রমণ করতে শুরু করেন অনু মালিককে। কারণ ‘দিলজালে’ ছবির ওই গানটি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতের সুরের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। ১৯ শতকে ‘হাতিকভাহ’ গানটি তৈরি হয়েছিল, এবং ১৯৪৮ সাল থেকে এটি ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত।

এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে শুরু করেছেন অনু মালিক। অনেকেরই প্রশ্ন, ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতকেও নকল করতে ছাড়লেন না অনু মালিক? অনেকেই হতাশার সঙ্গে লিখেছেন, একটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে বলিউডের গান বানিয়ে দিলেন অনু মালিক? অনেকেই বলিউডপ্রেমী দর্শকদের ঠকানোর অভিযোগ তুলেছেন অনু মালিকের বিরুদ্ধে। প্রায় ৪০ বছর ধরে বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন অনু মালিক। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অন্য সঙ্গীত পরিচালকদের গান ও সুর চুরির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন অনু মালিক। তাঁর ঝুলিতে অসংখ্য হিট গান ও ছবি রয়েছে। দিল মেরা চুরায়া কিউ, নিন্দ চুরাই মেরি, নশা ইয়ে পেয়ার কা নশার মতো গান তৈরি করেছেন তিনি। আজনাবি, অশোকা, ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হু, ট্যাঙ্গো চার্লি, ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি-র মতো বহু ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অনু মালিক।