Tag Archives: Trina Saha

Milkshake Murders Trailer: ওটিটি-তে প্রথমবার একসঙ্গে নীল-তৃণা, জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুক্তি পেল ট্রেলার

কলকাতা: এক ব্যর্থ লেখক। থাকেন থাইল্যান্ডের পাট্টায়াতে। বড় প্রকাশককে দিয়ে বই ছাপানোর চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। হতাশায় ডুবে সকলের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য লেখক যান ফিফি দ্বীপে। সেখানে আকস্মিক ভাবে তাঁর দেখা হয়ে যায় এক বিচিত্র ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বাঙালি এই ভদ্রলোক আবার কিছুটা পাগলাটেও বটে! ফলে প্রবাসে দুই বাঙালির বন্ধুত্ব গড়ে উঠতেও বেশি সময় লাগেনি। কথায় কথায় লেখক জানতে পারেন যে, ওই পাগলাটে ভদ্রলোকের লেখা প্রথম বইটি এক নামজাদা প্রকাশনা একটা বড়সড় অঙ্ক দিয়ে ছাপছে। আর এখান থেকেই নতুন এক মোড় নেয় গল্পের প্রেক্ষাপট। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে যায় কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এই সমস্ত কিছুর উত্তরই মিলবে ক্লিক ওটিটি-র প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরের রহস্যময় ওয়েব সিরিজ ‘মিল্কশেক মার্ডার্স’ (Milkshake Murders)।

আরও পড়ুন– ‘মির্জাপুর সিজন ৩’-র সলোনি ভাবি এখন জাতীয় ক্রাশ; জানেন কি দাদ্দা ত্যাগীর পুত্রবধূর আসল পরিচয়?

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারধর্মী সিরিজের ট্রেলার। চলতি মাস, অর্থাৎ জুলাইতেই ক্লিকে এক্লক্লুসিভ স্ট্রিমিং হতে চলেছে এই সিরিজের। পরিচালনা করেছেন অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি গল্প, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, আবহ সঙ্গীত, সম্পাদনা, রং বিন্যাসের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এই সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন– সাসপেন্স, থ্রিলার ও রোম্যান্সে ভরপুর রবিনস কিচেনের ট্রেলার, ছবি রিলিজ হচ্ছে আগামী ১৯ জুলাই

এই সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে সৌরভ দাস, নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা এবং জয়ী দেব রায়কে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন অলোক সান্যাল, তপস্যা দাশগুপ্ত, জয়ন্ত মণ্ডল, রানা মুখোপাধ্যায়, অগ্নিভ জুন বন্দ্যোপাধ্যায়, অঙ্কিতা রায়, চয়ন দে এবং সহেলি মণ্ডল। এই সিরিজে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন প্রতীক রায়। আর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মণিশঙ্কর দেবনাথ এবং অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্ট ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন সুভারতী বিশ্বাস। সাউন্ড ডিজাইন এবং ভিএফএক্স করেছেন তীর্থঙ্কর মজুমদার এবং রজত দলুই। সিরিজের পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নন্দিনী সেনগুপ্ত। আর মেকআপের দায়িত্বে রয়েছেন রাজদীপ।

পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “মিল্কশেক মার্ডারস নতুন যুগের দ্রুত গতি সম্পন্ন এক ব্যতিক্রমী থ্রিলার। এর চরিত্রগুলি ভাগ্যের হাতে আকস্মিক সাফল্যের খেলায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নিরাশা আর নিদারুণ যন্ত্রণার জালে জড়িয়ে পড়ে চরিত্রগুলি। প্রথমবার ক্লিকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কাজটা করে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছি। এখানে অবশ্যই উল্লেখ করব কলাকুশলীদের কথা। তাঁরা এভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা না করলে এই কাজটা করা সম্ভব ছিল না।”

অভিনেতা সৌরভ দাস বলেন, “কাটাকুটি এবং পিকাসো-তে অভিনয় করার পরে এটি ক্লিকের সঙ্গে আমার তৃতীয় সিরিজ। আর প্রতিটি সিরিজেই আমার চরিত্রায়ন অনন্য, মৌলিক ভাবে ভিন্ন এবং আকর্ষণীয়। আউটডোর শ্যুটিং এর সময়সূচি খুব কঠিন ছিল। কিন্তু পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার প্রথম আউটডোরে শ্যুটিং যাওয়ার অভিজ্ঞতাটি অসাধারণ।”

অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের কথায়, “এই সিরিজটি খুবই স্পেশাল এবং বিভিন্ন কারণে আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। একজন অভিনেতা হিসেবে ছোট পর্দায় বেশ কয়েক বছর কাটানোর পর ওয়েব সিরিজে এটাই আমার প্রথম পদার্পণ। আমি আমাদের পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ক্লিকের কাছে কৃতজ্ঞ যে, তাঁরা আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং আমাকে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে তুলে ধরার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন।”

অভিনেত্রী তৃণা সাহার বক্তব্য, “এটি ক্লিকের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় সিরিজ। আর আমার উভয় কাজই প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের সঙ্গে ছিল। আন্তর্জাতিক লোকেশনে শ্যুট করা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এই ওয়েব সিরিজে আমার স্বামী নীলের সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ। আমি খুব উৎসুক ভাবে এর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি।”

প্রয়োজক ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রয়োজক ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রযোজক ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ক্লিক-এর সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় কাজ। গত দুই বছর ধরে তাঁরা আমার পাশে থেকেছেন। অভয় তাঁতিয়ার দৃঢ় সংকল্প এবং নীরজ তাঁতিয়ার প্রাণবন্ত প্রচেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে এই সিরিজের বিষয়বস্তুকে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করতে সহায়তা করেছে। রিঙ্গো বরাবরের মতো তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা উভয় দিয়েই এই সিরিজে তাঁর দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।”

ক্লিক ওটিটি-র ডিরেক্টর নীরজ তাঁতিয়া বলেন যে, “দর্শকদের কাছে থ্রিলার স্ক্রিপ্টের চাহিদার একটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। লেখক, পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার এবং সম্পাদক হিসেবে অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অসাধারণ সৃজনশীল কিউরেটর। জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস, নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা এবং জয়ী দেব রায়ের সঙ্গে এই সিরিজ বানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা এই সিরিজে দর্শকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। প্রেম, প্রতারণা, বিভ্রাট এবং দ্বিধার আবেগে বিস্তৃত ক্যানভাসকে চিত্রিত করবে এই সিরিজ।”

Trina Saha : পয়লা বৈশাখ মানেই বাহারি মিষ্টি, হালখাতা! আরও এক নতুন দায়িত্ব জুড়ে গেল এবার: তৃণা

ব্র্যান্ডের পুজো নিয়ে বেজায় ব্যস্ত তৃণা সাহা। ছোটোবেলার পয়লা বৈশাখের দিন পারিবারিক ব্যবসার সেই লক্ষ্মী-গনেশ পুজোর স্মৃতি এখনও তাঁর কাছে ভীষণ উজ্জ্বল। তাই নিউজ18 বাংলার জন্য কলম ধরলেন অভিনেত্রী।

এবছরের পয়লা বৈশাখটা আমার কাছে অনেকটা আলাদা, পাশাপাশি খুব বিশেষও বটে। এই প্রথমবার আমি আমার ব্র্যান্ডের জন্য পুজো করব, ঠিক যেমনটা আমার বাড়িতে হত। আসলে আমাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। ছেলেবেলা থেকেই তাই পয়লা বৈশাখের এই দিনটায় ব্যবসা শ্রীবৃদ্ধির কামনায় বাড়ির বড়দের সঙ্গে পুজোয় মেতে উঠতাম। এই দিন অনেকে আসতেন হালখাতা করতে। তাঁদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন বছরের ক্যালেন্ডার তুলে দিতাম। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো এখনো আমার কাছে খুব টাটকা। পয়লা বৈশাখ এলেই আমি যেন ওই সময়টায় ফিরে যাই। তাই এবার যখন আমার কাছে সুযোগ আছে, ভাবলাম সেই ছোটবেলার মতো করেই এই দিনটাকে উদযাপন করলে কেমন হয়? আমি আর নীল দু’জনে মিলে কয়েক মাস আগেই শুরু করেছি আমাদের নতুন ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ভাবলাম আমাদের ব্র্যান্ডের মঙ্গল কামনায় আজ পুজো করা যাক। তাই এই বছর থেকে নতুন দায়িত্ব জুড়ে গেল আনন্দের তালিকায়।

সেই ভাবনা থেকেই আজকের এই পুজো। সকাল থেকেই বাড়িতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ।কিন্তু সবকিছুর মধ্যে নীলের কথা খুব মনে পড়ছে। ও কাজের জন্য বাইরে গিয়েছে। কিন্তু বাড়ির বাকি সকলে আজ আমার সঙ্গে রয়েছে। সকলে মিলে খুব আনন্দ করব সারাদিন। কব্জি ডুবিয়ে খাব, তবে নিরামিষ। কারণ আজ আমাদের প্রথম পুজো। আর সাবেকি সেজে সেই ছোটবেলার মতো মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেব সকলের হাতে।

সব উৎসবের সঙ্গেই কোনও না কোনও স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। জড়িয়ে থাকে আবেগ, ভাললাগা। আমার ক্ষেত্রে নববর্ষ সেই উৎসবের তালিকায় কিন্তু বেশ উপরে। নতুন জামার গন্ধ, বাহারি সব মিষ্টি আর ক্যালেন্ডারের পাতাতেই যেন জড়িয়ে থাকে একরাশ উচ্ছ্বাস।

Neel-Trina: সম্পর্কে ভাঙন? বান্ধবীর সঙ্গে ‘একান্ত’ মুহূর্তে নীল, হাতে-নাতে ধরে ফেললেন স্ত্রী তৃণা, তারপর…

#কলকাতাঃ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattachariya) এবং অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। বিয়ের দিনে দক্ষিণ কলকাতায় বসা বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন মহা ধুমধামে হয় রিসেপশন (Reception)। সেদিন বাইপাস সংলগ্ন অভিজাত ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল চাঁদের হাট। বিয়ের আগে ছিল দীর্ঘ দশ বছরের প্রেম ছিল দু’জনের। কিন্তু বিয়ের ছ’মাস কাটতে না কাটতেই মোহভঙ্গ? ভাঙতে চলেছে নীল-তৃণার সম্পর্ক?

করোনার  প্রকোপ (COVID 19 Pandemic) এবং কাজের চাপে হানিমুনে যাওয়া হয়নি নীল-তৃণার। তাই সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে দু’জনে মিলে চলে গিয়েছিলেন শৈল-শহরে (Darjeeling) ছুটি কাটাতে। বিয়ের পরে একসঙ্গে ওটাই তাঁদের বেড়াতে যাওয়া। সেখান থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে নীল আবারও নতুন করে তৃণার প্রেমে পড়েছেন স্বীকার করে নেন। কিন্তু তারপরে শহরে ফিরে কয়েকদিনের মধ্যে এমন কী ঘটে গেল?

কেন বলা হচ্ছে এমন কথা? তার কারণ নীল মাঝ-রাস্তায় বান্ধবীর সঙ্গে খুল্লামখুল্লা ফ্লার্ট করছেন। এ কথা কোনওভাবে কানে গিয়েছিল তৃণার। তিনি সেই জায়গায় এসে হাতেনাতে নীলকে ধরে ফেলেন। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় নীলের শরীরী ভাষা। যে কিনা কিছুক্ষণ আগে হেসে হেসে বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন, সেই নীল রেগেমেগে কী সব যেন বলতে শুরু করেন বান্ধবীকে। তারপর স্ত্রী তৃণা তাঁকে টনে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। তারপর অবিওশ্য কী হত্যেছে সকলের অজানা।

তবে না, এ ঘটনা রিয়েল লাইফের নয়, রিল লাইফের। এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলের একটি ফ্যানপেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানেই এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওতে তৃণা যে নীলকে বান্ধবীর সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন, তা দেখা গিয়েছে, কিন্তু তারপর কী হল? দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই।

Neel-Trina Honeymoon: তিস্তায় ঝড়ের গতিতে নৌকো বাইছেন, তুমুল নাচছেন পানশালায়, নীল-তৃণা হানিমুনের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল…

#কলকাতাঃ ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে আর সময় মেলেনি। রাজকীয় রিসেপশন হয়েছিল বিয়ের প্রায় ১০ দিন পরে। কাজের চাপে তাই হানিমুনে আর যাওয়া হয়নি টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এবং ‘হ্যাপেনিং’ কাপল নীল ভট্টাচার্য এবং তৃণা সাহার। বিয়ের প্রায় সোয়া দু’মাসের মাথায় সবান্ধবে হানিমুন সারতে পাহাড়ে উড়ে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার সাত সকালে দার্জিলিং পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরে ফিরে আসছে তাঁদের মধুচন্দ্রিমার নানা মুহূর্তের ছবি।

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক ‘কৃষ্ণকলি’ খ্যাত নিখিলের (নীল ভট্টাচার্য) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ‘খড়কুটো’ অভিনেত্রী গুনগুন (তৃণা সাহা)। কাজের চাপে বিয়ের পর বৌভাতের দিন অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান সেরেই কৃষ্ণকলি সেটে ফিরতে হয়েছিল নীলকে। নতুন সংসার সামলে শুটিং শুরু করেন অভিনেত্রী তৃণা সাহাও। এ বারে হানিমুনের ফুরসত মিলেছে। তাই করোনাকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমস্ত ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করে পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছেন দু’জনে।

শুক্রবার সকাল থেকে ব্যাগ গোছানো, গাড়িতে নানান মজার মুহূর্ত এমনকি তাঁদের প্লেন যাত্রার ছোট ছোট ভিডিও পোস্ট করেছেন তৃণা। মজা করেই সকলকে আন্দাজ করতে বলেছেন, তাঁদের হানিমুন ডেস্টিনেশনের নাম। শুক্রবার বিকেলের পরে তিস্তায় ঝড়ের বেগে নৌকো চালাতে দেখা গিয়েছে দু’জনকে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। শনিবারেও কেভেন্টারসে  ব্রেকফাস্টের ছবি শেয়ার করেছেন দু’জনকে।

Neel-Trina Roadshow: ‘খেলা হবে’ ডিজের তালে দুলল কোমর, নির্বাচনী প্রচারে ময়দানে নীল-তৃণা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও…

#ছাতনাঃ দশ বছর প্রেমের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য এবং তৃণা সাহা। নীল-তৃণা তাঁদের বিয়ের নিমন্ত্রণ পর্ব শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে। কথা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভরা ভোটের মরসুমেও তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বেরিয়ে সেদিন পৌঁছে যান বিয়েবাড়িতে। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে হাসি মুখে ছবি তোলেন। তাই নির্বাচনী আবহে যখন একের পর এক তারকা রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে তুলে নিতে শুরু করেন, তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল নীল-তৃণার তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষ।

সেই গুঞ্জন সত্যি করে গত ২০ মার্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তৃণা সাহা (Trina Saha) ও নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya)। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ২৫ মার্চ নীল-তৃণার প্রথম রোড শো করেন বাঁকুড়ার ছাতনার তৃণমূল প্রার্থী শুভাশীষ বটব্যালের সমর্থনে।

শনিবার (২৭ মার্চ) প্রথম দফার নির্বাচন (First Phase Election)। তার আগে বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। প্রচারের শেষ বিকেলে ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শুভাশীষ বটব্যালের সমর্থনে রোড শো করেন দু’জনে। জনপ্রিয় টেলি তারকা নীল-তৃণাকে দেখতে ছাতনায় মানুষের ঢল নামে। পাশাপাশি, এই রোড শো-কে ঘিরে এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ দিন হুডখোলা গাড়িতে শুভাশীষ বটব্যালের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিছিল। মিছিল ঘিরে এলাকার মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু মানুষের সমর্থন চাওয়া নয়, এ দিন ‘খেলা হবে’ ডিজের তালে  নীল-তৃণাকে কোমর দোলাতেও দেখা গিয়েছে। তারকা জুটির সেই প্রচারের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

রিসেপশনের রাতে ‘টুম্পা সোনা’য় উদ্দাম নাচ নীল-তৃণার, নিমন্ত্রিতদের ঠুমকায় উঠল ঝড়, তুমুল ভাইরাল ভিডিও…

#কলকাতা: ৪ ফেব্রুয়ারি এক হয়েছিল চার হাত। বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন টলিউড অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য এবং অভিনেত্রী তৃণা সাহা। ৬ ফেব্রুয়ারি ঘরোয়া বউভাতের অনুষ্ঠান হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু রিসেপশনের জন্য দু’জনেই বেছে নিয়েছিলেন প্রেমের দিনটিকেই। অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে বসেছিল নীল-তৃণার রিসেপশনের আসর। নীল-তৃণার রিসেপশন। সেখানে নাচানাচি হবে না, এটা ভাবাই দুষ্কর। একদমই ঠিক ধরেছেন ভারী লেহেঙ্গা-গয়নায় সেজে তুমুল নেচে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

রবিবার ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সন্ধ্যায় দু’জনের প্রেমের উষ্ণতার আঁচ লেগেছিল পি সি চন্দ্র গার্ডেনসের বিশাল লনে। গালা রিসেপশনে মুঘল সাজেই সেজেছিলেন দু’জনে। তৃণা পড়েছিলেন গাঢ় মেরুন রঙের ঠাসা কাজের লেহেঙ্গা। সিঁথিতে মোটা সিঁদুর এবং গা ভর্তি গয়না। খোলা চুল-কপালে ছোট্ট টিপ। অন্যদিকে, নীলের পরনে ছিল মেরুন শেরওয়ানি। কাঁধে ঝুলিয়ে ছিলেন সোনালি উত্তরীয়।বউয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নীলের পরনে ছিল শেরওয়ানি সঙ্গে সোনালী উত্তরীয়।

এ দিন একে একে একাধিক গানের পারফরমেন্স ছিল নবদম্পতির। পাশাপাশি, প্রেমের আবেগে ভেসে গিয়েছেন দু’জনে। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে সেই ‘টুম্পা সোনা’-ই। ফুলসজ্জার রাতে ভাইরাল এই গানে নেচে যেভাবে তাক লাগ্যেছিলেন নববধূ তৃণা, এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না। অতিথিদের সঙ্গে নিয়েই ‘রেস্ট ইন প্রেম’ সিরিজের জনপ্রিয় ‘টুম্পা সোনা’ গানের তালে উদ্দাম নাচলেন নবদম্পতি। গানের তালে ঠুমকায় ঝড় তুললেন তৃণার শ্বশুরবাড়ির অতিথিদের পাশাপাশি টলিউডের পরিচিত মুখেরা।

বিয়ে শেষে সোহাগে-আদরে ভাসল নবদম্পতি, নীল-তৃণার বাসর রাতের ভিডিও দুরন্ত গতিতে ভাইরাল…

#কলকাতা: দশ বছর ধরে অপেক্ষা ছিল ঠিক এই দিনটার। যে দিনে একে ওপরের পরিপূরক হয়ে উঠবেন সবদিক থেকে। এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অগ্নিসাক্ষী করে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন টলিউড অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য এবং অভিনেত্রী তৃণা সাহা।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাবে বসেছিল বিয়ের আসর।

বিয়ে শুরুর আগেই এ দিন নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। মন্ত্র পড়ে, অগ্নিকে সাক্ষী রেখে সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিয়েতে নীল এবং তৃণার পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল টলিউডের বহু পরিচিত মুখ। এ ছাড়া হাজির ছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’ এবনহ ‘খড়কুটো’র গোটা ইউনিট।

নীল এবং তৃণা দু’জনেই টলিউডের পরিচিত মুখ। একজন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্র ‘গুনগুন’ এবং অন্যজন ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্র ‘নিখিল’। জনপ্রিয় এই দুই চরিত্রের কাজের শেষ নেই। তার মধ্যেই নিজেদের জন্য সময় বার করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেন জমিয়ে। দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট অ্যাক্টিভ। নিজেদের সব মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন ফ্যানদের সঙ্গে।

এ দিন বিয়ের পরে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাসর জেগেছেন দু’জনে। সেখানে দেদার মজায় কেটেছে গোটা রাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব টুকরো টুকরো মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সবই গোগ্রাসে গিলছেন তাঁদের অনুরাগীরা। বেশ কয়েকটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে দু’জনকে গলা ছেড়ে গান গাইতে। গিটার বাজিয়ে তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন বন্ধুরা। বাসর রাতে নীল-তৃণা ভেসেছেন আদরে সোহাগে। চোখের চাহনিতে বেড়েছে প্রেম।

ড্রোনে উড়ে এল ‘রত্নখচিত’ আংটি, শহরের বুকে গ্র্যান্ড এনগেজমেন্ট সারলেন নীল-তৃণা, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

#কলকাতা: এমবিএ ক্লাসে প্রথম পরিচয়। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে একে একে দশ বছর। দীর্ঘ এক দশক পর পরিণতি পেল সেই প্রেম।  বিয়ের ঠিক ২৫ দিন আগে, এনগেজমেন্ট পর্ব সেরে ফেললেন টলিউডের প্রবল জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য এবং  তৃণা সাহা। রিল লাইফেও ‘খড়কুটো’র গুনগুনের সবে মাত্র বিয়ে হয়েছে সৌজন্য-র সঙ্গে। তা নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনার শেষ নেই। আর এবারে রিয়েল লাইফে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তৃণা। ‘কৃষ্ণকলি’র নিখিলের সঙ্গে গুনগুনের বিয়ের দেখতে তাই  মুখিয়ে রয়েছেন অনুরাগীরা।

শনিবার শহরের এক অভিজাত স্থানে বসেছিল নীল তৃণার এনগেজমেন্ট এবং  সংগীতের আসর। ৪ ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়বেন নীল-তৃণা। শহরের এক নামী ক্লাবে বসবে বিয়ের আসর। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন হবে গ্র্যান্ড রিসেপশন। বাগদানের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অসাধারণ সুন্দর একটি কেকও  কাটেন দম্পতি।

নীল-তৃণার দশ বছরের প্রেম পরিণতি পাচ্ছে, আর স্পেশ্যাল কিছু হবে না? তা কি করে হয়! নীল এ দিন হবু স্ত্রী-কে দারুণ এক সাইপ্রাইজ দিয়েছেন। যে কোনও মেয়েরই স্বপ্ন, স্বামী বা প্রেমিক তাঁকে প্রপোজ করুন বিশেষ কোনওভাবে। এক্ষেত্রেও সেলিব্রিটি এই জুটির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল না। জুটির বাগদানের আংটি উড়ে এল আকাশ থেকে। বেলুনে বাঁধা ড্রোনে করে আকাশ থেকে নেমে আসে আংটি। সেই আংটি দু’জন পরিয়ে দেন দু’জনকে।