জ্যোতিষকাহন Tulsi Astro Tips: খবরদার…! তুলসীকে জলের সঙ্গে ভুলেও নিবেদন করবেন না এই ৪ জিনিস, মা লক্ষ্মী রুষ্ট হলেই কাঙাল করে ছাড়বে, আর্থিক সঙ্কটে হবেন সর্বস্বান্ত Gallery June 4, 2024 Bangla Digital Desk তুলসী গাছ প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠোনে থাকে, কারণ তুলসীকে সনাতম ধর্মে মা হিসাবে পূজা করা হয়। তিনি দেবী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে ঘরে তুলসী গাছ রাখলে আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং সুখও৷ তবে তুলসী রাখতে গেলে বেশ কিছু নিয়মও মেনেও চলতে হবে৷ যেমন তুলসীকে কোন কোন কোন জিনিস নিবেদন করা উচিত নয়, ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী পণ্ডিত যোগেশ চৌরে-র কাছ থেকে জেনে নিন৷ জ্যোতিষী জানিয়েছেন, তুলসী বাড়িতে রাখলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে৷ যেমন- এই অশুভ জিনিস কখনই তুলসী গাছে নিবেদন করা উচিত নয়। এর কারণে অশুভ ফল পেতে পারেন। দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে কখনওই তুলসী গাছে ঢালা উচিত নয়, এর ফলে তুলসী গাছ শুকিয়ে যায়। তুলসীতে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার জল ঢালা উচিত। তুলসী গাছে বেলপত্র, ধুতুরা ফুল দেওয়া উচিত নয়। এতে করে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। কারণ দেবী লক্ষ্মীকে ঐশ্বর্যের দেবী বলা হয় এবং তাকে বন্য ফুল নিবেদন করলে শুভ ফল পাওয়া যায় না। তুলসী গাছে কখনওই তিলের তেল দেবেন না। এটা করলে তুলসী গাছের ক্ষতি হতে পারে। তবে শুধু তিলের তেল নয়, তুলসী গাছে যে কোনও তেল লাগাবেন না। তুলসীতে শুধুমাত্র গোবর সার দিতে পারেন। তুলসী গাছে আখের রস নিবেদন করবেন না, কারণ এটি ভগবান শিবকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে তুলসীতে কোনও মিষ্টি জিনিস রাখলে গাছে পোকামাকড় জন্মায় এবং এতে গাছের ক্ষতি হতে পারে। যে কোনও কালো জিনিস কখনওই তুলসীকে নিবেদন করা উচিত নয় কারণ এটি দেবীকে ক্রুদ্ধ করে তোলে। আপনি তুলসীকে অন্যান্য অলঙ্করণ যেমন গেরুয়া, সিঁদুর ইত্যাদি দিতে পারেন।
দেশ Watering Tips for Healthy Tulsi Plant: গরমে শুকিয়ে কাঠ! কখন, কীভাবে জল দিলে ফুলে ফেঁপে উঠবে বাড়ির তুলসি গাছ? ছোট্ট টিপস জেনে যত্ন নিন Gallery June 2, 2024 Bangla Digital Desk ধর্মীয় কারণে হোক বা স্বাস্থ্যগুণে হোক, তুলসি গাছের উপকারিতা অপরিসীম। ভারতে সিংহভাহ গেরস্থ বাড়িতেই তুলসি গাছ রয়েছে। পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে অথবা ইতিবাচকতা আনতে তুলসি গাছের যত্ন নেওয়া দরকার। তবে এই বছর যা গরম পড়েছে, তাতে গাছ শুকিয়ে মরে যাওয়ার ভয় থাকেই। কীভাবে যত্ন করবেন, কীভাবে জল দিলে ভাল থাকবে তুলসি গাছ? রইল কয়েকটি টিপস। গাছ লাগানোর সময় নিশ্চয়ই বাড়ির বারান্দা, উঠোন অথবা ছাদই বেছে নিয়েছেন? রোদ খেলা করে, এমন জায়গায় তুলসি গাছ লাগানো দরকার। মাটি যেন জলাবদ্ধ না হয়। নয়তো গাছের ক্ষতি হবে। আর্দ্র মাটিতে ভাল ভাবে বাড়তে পারে এই গাছ। কিন্তু বেশি পরিমাণে জল দিলেও আবার ক্ষতি হতে পারে। শিকড় এবং কাণ্ড পচে যেতে পারে বেশি জল দিলে। জল দেওয়ার আগে হাত দিয়ে মাটি যাচাই করে নিন। একেবারে শুকিয়ে গিয়ে থাকে, তবেই জল দেবেন গাছে। তবে যদি একেবারে সূর্যের আলোয় তলায় থাকে, তবে এই গরমে বারবার শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেবে। তাই মাঝে মাঝেই দেখতে হবে মাটি শুকিয়ে গিয়েছে কিনা। তুলসি গাছের যত্নে মাঝে মধ্যে পাতা ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন পড়ে। গাছ যাতে ঘনভাবে বাড়তে পারে এবং পাতা আর যেন বেশি না মরে, তার জন্যেই দরকার। সপ্তাহে একবার বা দু’বার চালের জল অথবা কলার খোসা মিশ্রিত জল দিয়ে পাতা এবং গাছের কাণ্ডে স্প্রে করুন। এতে যা পুষ্টি রয়েছে, তা গাছকে বাড়তে সাহায্য করে। গাছের চারপাশে জৈব মালচের স্তর তৈরি করুন। মাটি এবং গাছের অতিরিক্ত শুষ্কতা রোধল করতে এই উপায়টি খুবই কার্যকরী। এতে মাটির তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কীপতঙ্গ যেন গাছকে ভিতরে ভিতরে মেরে না ফেলতে পারে। মাছি, কেঁচো, শুঁয়োপোকা, ছোট শামুক মাটিতে বাসা করে গাছের পাতা খেয়ে ফেলতে পারে। সেদিকে নিয়মিত খেয়াল রাখুন। নিয়মিত তুলসি পাতা কাটুন। বিশেষ করে উপরের দিকের কচি পাতা। পাতা আপনার কাজে লাগবে আর পাতা উৎপাদনে গাছ আরও উৎসাহিত হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সাবধানে করতে হবে। প্রতি ১-২ বছর অন্তর অন্তর গাছের পাত্র পাল্টিয়ে নেবেন। এতে শিকড় প্রসারিত হতে পারে আরও। মাটি খুব শুকিয়ে গেলে, কীটপতঙ্গ ধরে গেলেও পাচ্র বদলে নেওয়া দরকার।
লাইফস্টাইল Tulsi Water in Indigestion Problem: গ্যাস, অম্বলের সঙ্গে উধাও সব পেটের রোগ! শুধু রোজ এভাবে খান তুলসিপাতা Gallery May 25, 2024 Bangla Digital Desk আয়ুর্বেদশাস্ত্রে তুলসিপাতার কদর দীর্ঘ দিনের৷ এই পাতার ভেষজ এবং ওষধিগুণকে কাজে লাগিয়ে পাওয়া যায় একাধিক উপকারিতা৷ ডায়েটে নিয়মিত রাখুন তুলসিপাতা৷ তবে এই পাতা কখনও চিবিয়ে খাবেন না৷ সব সময় তুলসিজল পান করুন৷ বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত আগরওয়াল৷ কিছু তুলসিপাতা নিয়ে ভাল করে ধুয়ে রাখুন৷ ১০-১২ মিনিট ফুটিয়ে নিন৷ এ বার ওই জল ছেঁকে পান করুন৷ ইচ্ছে হলে মেশাতে পারেন মধু৷ সকালে এই পানীয় দিয়ে দিন শুরু করুন৷ নিয়মিত এই অভ্যাসে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি৷ সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি থাকার জন্য তুলসিপাতার গুণে কমে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি৷ তুলসির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি গুণ কমিয়ে দেয় গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো ক্রনিক সমস্যা৷ দূর হয় পেটের রোগ৷ তুলসিপাতায় আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ৷ এর গুণে ভাল থাকে ওরাল হেল্থ৷ ক্যাভিটি, প্লেক, মাড়ির অসুখের মতো সমস্যা দূর করে৷ তুলসিজলে গার্গল করলে দাঁত ও মাড়ি ভাল থাকে৷ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়৷ তুলসির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য বশে রাখে শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য রেসপিরেটরি সমস্যা৷