Tag Archives: Umesh Yadav

উমেশ যাদব: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে

পুরো নাম: উমেশ কুমার তিলক যাদব

জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৮৭

উচ্চতা: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ফাস্ট বোলার, ডান-হাতি ব্যাটসম্যান

পরিবার:

পিতা: তিলক যাদব

মাতা: কিশোরী দেবী

স্ত্রী: তানিয়া ওয়াধওয়া

উমেশ যাদবের জন্ম মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। তিনিই মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের প্রথম খেলোয়াড়, যিনি টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটে উমেশ যাদব তাঁর গতির জন্য বিখ্যাত। নিজের বোলিং দক্ষতায় এক সময় টেস্ট ক্রিকেটে রীতিমতো রাজত্ব চালিয়েছেন উমেশ। 

কেরিয়ারের সূচনা:

২০০৭-০৮ সালের রঞ্জি ট্রফি টুর্নামেন্টে বিদর্ভের হয়ে প্লেট লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন উমেশ যাদব। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর বিদর্ভের হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। প্রথম ইনিংসেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করার সুযোগ পাননি, কারণ তাঁরা ১০ উইকেটে হেরে গিয়েছিলেন। 

ওই টুর্নামেন্টে গড় ১৪.৬০ রানে তিনি মোট ২০টি উইকেট নিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এক ম্যাচে ১০৫ রান দিয়ে ৬টি উইকেট। এরপর দিলীপ ট্রফিতেও সুযোগ পান তিনি। এই টুর্নামেন্টেও দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরে নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন উমেশ। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

২০১০ সালে জিম্বাবোয়ে এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ত্রি-দেশীয় ওডিআই সিরিজের জন্য দলে যুক্ত করা হয় উমেশ যাদবকে। এই সিরিজে চোট-আঘাত এবং অন্যান্য কারণে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া হয়, ফলে ৯ জন নতুন খেলোয়াড় সুযোগ পান। যাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন উমেশ। তবে তাঁর অভিষেক ম্যাচ একেবারেই ভালো ছিল না। যাদব ৮ ওভার করে ৪৮ রান দেন এবং একটি উইকেটও নিতে পারেননি। 

এর পর আরও সুযোগ পান উমেশ। কিন্তু নিজের দক্ষতা সম্পূর্ণ ভাবে প্রদর্শনের সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাঁর ফর্ম ফিরে আসে এবং তিনি খুব ভালো পারফর্ম করেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে সুযোগ পান উমেশ যাদব এবং ভারতের হয়ে ১৮টি উইকেট নেন। 

ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে তাঁকে ২০১০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে প্রবীণ কুমারের বদলে তাঁকে ডাকা হয়। যদিও তিনি একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। এই টুর্নামেন্টের ২ বছর পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়।  

২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে যদিও তিনি কোনও উইকেট নিতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১১-১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে একটি ইনিংসে ৫টি উইকেটের কৃতিত্বের অধিকারী হন উমেশ যাদব। 

আইপিএল কেরিয়ার:

২০১১ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) দলের হয়ে আইপিএল-এর ময়দানে পদার্পণ করেন উমেশ যাদব। এউ টুর্নামেন্টে ৭টি ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট নেন তিনি। এর পর ২০২২ সালে ১৭টি ম্যাচে ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন উমেশ। ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স উমেশকে কিনে নেয়। ওই বছর দলের বোলিং ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন উমেশ এবং কলকাতার ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে কিনে নেয়। ২০২২ সালে মেগা নিলামে ফের উমেশ যাদবকে কিনে নিজেদের দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।    

রেকর্ড:

২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন উমেশ।

২০১২ সালের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন উমেশ যাদব।

Viral Video: ৯.২ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট, ভারতীয় বোলারের দাপটে গুটিয়ে গেল ইংরেজরা

#লন্ডন: ভারতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার উমেশ যাদব   এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে নিজের জোরে বোলিংয়ের দাপট দেখাচ্ছেন৷ নিজের দুদ্ধর্ষ বোলিং দিয়ে তিনি নিজের দলকে ম্যাচে ফেরান৷ উমেশ যাদবের জোরে বোলিংয়ের সামনে ইংরেজ ক্রিকেটার একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন৷ ৩৪ বছরের উমেশ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডেলসেক্সের হয়ে খেলছেন৷  রয়্যাল লন্ডন কাপের দ্বিতীয় গ্রুপে ভারতীয় বোলার ডারহামের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়ে বিপক্ষ দলকে একেবারে শেষ করে দেন৷

চেস্টার লি স্ট্রিটে খেলা এই ম্যাচে ডরহামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে প্রথমে দুটি দল নিজের প্রথম ম্যাচগুলিতে হারের মুখোমুখি হয়েছে৷ মিডলসেক্স লিস্টরশায়ার যেখানে ডরহম সারেকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে৷ ডরহ্যাম টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়৷ উমেশ ম্যাচের দ্বিতীয় বলে ওপেনার গ্রাহাম ক্লার্ককে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এরপরে উমেশ দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক স্কট বোর্থেবিককে আউট করে দেন৷ এটা ডারহ্যামকে বড় ঝটকা দিয়েছে৷ এরপর উমেশ যাদব আরও একটি উইকেট নেন৷

উমেশ যাদব ৫ উইকেট নিজেদের নামের পাশে বসিয়ে নিলেন

উমেশের ধারালো বোলিংয়ের জবাবে ডরহ্যামের ব্যাটসম্যানদের কাছে ছিল না৷ টপ অর্ডারের তিন ক্রিকেটার সস্তায় আউট করেছেন৷ পাঁচ উইকেট নিজের নামে করেছেন উমেশ যাদব৷ উমেশ ওলিবর গিবসন খাতাও খুলতে পারেননি৷ ক্রিস রসবর্থ আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট পুরো করেন৷ তিনি ৯.২ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে মোট ৫ ক্রিকেটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দেন৷

 

আরও পড়ুন – টি টোয়েন্টিতে ১০০তম ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলি, ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেই সেই মওকা

 

আরও পড়ুন- Healthy Food: চিঁড়ে আর মুড়ির পুষ্টিগুণের পার্থক্য কোথায় জানেন? দেখে নিন কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর!

 

ডরহম ২৬৮ রানের স্কোর খাড়া করেছে

উমেশের ঘাতক বোলিং সত্ত্বেও ডরহ্যাম ২৬৮ রান করে৷ মাইকেল জস এবং এলেক্স লিস চতুর্থ উইকেট ১০৯ রানের পার্টনারশিপ করেন৷ লিস হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন৷ তাঁর সঙ্গী জস শতরানের ইনিংস খেলেন৷ জবাবে মিডলসেক্স অধিনায়ক ১৪৬, স্টোনম্যান ৬২ রানে সহজেই তাঁরা ম্যাচ জিতে নেয়৷

IPL 2022: ৩ মরশুমে উমেশ যাদব যা করেছিলেন মাত্র ৩ ম্যাচেই তা করে ফেললেন

#মুম্বই: উমেশ যাদবের  (Umesh Yadav) আইপিএল ২০২২ এ শানদার পারফরম্যান্স জারি৷ তিনি আইপিএল ২০২২ এ   (IPL 2022) কেকেআর বনাম পঞ্জাব কিংস (KKR vs PBKS) ম্যাচে ৪ উইকেট নেন৷ তিনি কেকেআর ম্যাচের প্রথমার্ধে বোলিং করে আইপিএলে তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছেন৷ সিজিনের শুরুতেই ধামাকা শুরু করেছেন৷ আইপিএল ২০২১ তিনি সুযোগ পাননি৷ ২০২০ তে ২ ম্যাচে কোনও উইকেট নিতে পারেননি৷ এদিকে ২০১৯ সালে ১১ ম্যাচ ৮ উইকেট নিয়েছিলেন৷ তিনি ৯ বার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হওয়া পেসার৷ ম্যাচ কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কেকেআর বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচে (KKR vs PBKS)১৮.২ ওভারে ১৩৭ রান করে আউট হয়ে যায়৷

উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) আগে ২ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে নেয়৷ পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে অধিনায়ক ময়ঙ্ক আগরওয়াল ১ রানে আউট হয়েছিলেন৷ খতরনাক হয়ে উঠছিলেন এমন লিয়াম লিভিংস্টোন আউট হয়ে যায়৷ তাঁর ১৬ বে ১৯ রান করেন৷ উমেশ যাদব এরপর হরপ্রীত ব্রারকেও ১৪ রানে আউট করে দেন৷ এটা বোল্ড করেন তিনি৷

এরপর রাহুল চাহার শূন্য করেই আউট হয়ে যায়৷ তিনি ৪ ওভারে একটি মেডেন ওভার করেন৷ ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে নেন৷ তাঁর আইপিএল কেরিয়ারে এটা সেরা প্রদর্শন৷ এর আগে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল৷

IPL 2022: উমেশ যাদবকে নিয়ে ঠকেনি কেকেআর, আগুনে বোলিংয়ে ঝলসে দিলেন সিএসকেকে

#মুম্বই: আইপিএল ২০২২ শুরু হয়ে গেল৷ তবে খেতাব রক্ষার লড়াইতে নামা চেন্নাই সুপার কিংসের এবারের শুরুটা মোটেই মিষ্টি মধুর হল না৷ কেকেআর বনাম সিএসকে (KKR vs CSK) ম্যাচে প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তরুণ প্রতিভা রতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad ) ৷ কেকেআরে বিরুদ্ধে বল হাতে প্রথম ওভারে সুইংয়ে কাঁপাচ্ছিলেন উমেশ যাদব৷ কেকেআরের ৩৪ বছরের পেসার এদিন শুরু থেকেই ফর্ম বোঝাচ্ছিলেন৷ ফলও পান হাতেনাতে৷ গত মরশুমের অরেঞ্জ ক্যাপ বিজয়ী রতুরাজ গায়কোয়াড় একটি ওয়াইড ধরণের বল যা অফস্টাম্পের বাইরের মারতে যান৷ ফল হয় নীতিশ রানার (Nitish Rana) হাতে ক্যাচ দেন৷ স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি৷

উমেশ যাদব (Umesh Yadav) কেকেআরে দ্বিতীয়বারের জন্য ফিরেছেন৷ টাইট লাইনে বল করার জন্য ওয়াংখেড়ের পিচে লাইনে ভালই সুইং পাচ্ছেন৷ টাকার মূল্য দেওয়ার জন্য একেবারে চুকিয়েছেন৷

গায়কোয়াড কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি৷ ফলে এবারের আইপিএলে সিএসকে -র খুব খারাপ শুরু হল৷ তরুণ এই ক্রিকেটারের ওপর অনেক আস্থা সকলেরই৷ এবছরের শেষে অস্ট্রেলিয়াতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে থাকার জন্য এই টুর্নামেন্টে ভাল খেলার কথা৷

আরও পড়ুন – IPL 2022: দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মুম্বই দলে ‘সূর্যবংশী’ ,ভিডিও ভাইরাল

উমেশ যাদব রতুরাজ গায়কোয়াড়ের ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন৷ ডেভন কনওয়ে তৃতীয় ওভারে আউট হয়ে যান৷

উমেশ যাদবের সাফল্যের পর ট্যুইটারে তাঁর প্রশংসায় মাতেন সকলেই৷

সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচেই জমজমাট বোলিং শুরু উমেশ যাদবের৷

KKR, Umesh Yadav : কেকেআরের জার্সিতে জাতীয় নির্বাচকদের জবাব দিতে মরিয়া পেসার উমেশ যাদব

#মুম্বই: জাতীয় দলের জার্সিতে তাকে এই মুহূর্তে একদিনের বা টি টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছিলেন সেই ২০১৯ সালে। তারপর থেকে ভারতের হয়ে সুযোগ পেয়েছেন খালি টেস্ট ক্রিকেটে। কিন্তু উমেশ যাদব প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচকদের জবাব দিতে। ৩৪ বছরের তারকা পেসার মনে করেন তিনি এখনও যে লিমিটেড ওভার ক্রিকেট অবদান রাখতে পারেন, সেটা প্রমাণ করতে কেকেআর জার্সিতে ভাল পারফর্ম করতে হবে।

আরও পড়ুন – CSK, Ravindra Jadeja : আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েই ধোনিকে গুরুদক্ষিণা দিতে চান জাদেজা! তৈরি চেন্নাই

শাহরুখ খানের দলে দীর্ঘদিন পর তিনি ফিরে এসেছেন। অতীতে কেকেআরের হয়ে সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুটোই ছিল তার। উমেশ যাদব নিশ্চিত এবার আইপিএলে যথেষ্ট ভাল করবে কেকেআর। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস কঠিন প্রতিপক্ষ।। কিন্তু উমেশ মনে করেন পরিসংখ্যান বিচার করে ভবিষ্যদ্বাণী করা উচিত নয়। তার প্রথম লক্ষ্য নাইট রাইডার্স দলের হয়ে ম্যাচ জেতা।

দ্বিতীয় লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব উইকেট নিয়ে প্রমাণ করা লিমিটেড ওভার ক্রিকেটে তিনি ফুরিয়ে যাননি। উমেশ জানেন প্রথম কয়েকটা ম্যাচে প্যাট কামিন্স, সাউদিকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু সিনিয়র ফাস্ট বোলার হিসেবে তিনি নিজের সেরাটা তুলে ধরতে চান। সঙ্গী হিসেবে পাবেন আন্দ্রে রাসেল এবং তরুণ
শিবম মাভিকে। উমেশ বলছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরুণকে কেকেআরে পাওয়া বিরাট সুবিধা।

দীর্ঘদিন জাতীয় দলে কাজ করেছেন একসঙ্গে। ভরত অরুণ কোথায় ভুল হচ্ছে অনুশিলনে হাতে ধরে দেখিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া মুম্বইয়ে লালমাটির উইকেটে কোন লাইন লেন্থ বল রাখা উচিত সেটা তিনি জানেন। সামনে প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নন। বিশ্বাস করেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসা অর্জন করতে পারবেন।

এই আইপিএলের মঞ্চ শুধু কেকেআর এর জন্য নয়, জাতীয় দলের জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের কামব্যাক মঞ্চ হিসেবেও দেখছেন অভিজ্ঞ পেসার। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার পর যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে জুনিয়রদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান। একসঙ্গে অনেক দূর দেখতে নারাজ। একটি করে ম্যাচ ধরে এগিয়ে যাওয়া লক্ষ্য উমেশ যাদবের।

India vs England Pink ball Test: শেষ দু’টি টেস্টে দলে উমেশ যাদব

#আহমেদাবাদ: মাঠে নামার জন্য একদম ম্যাচ ফিট উমেশ যাদব (Umesh Yadav)৷ গত রবিবার ভারতীয় পেসার মোতেরায় ফিটনেস টেস্টে পাস করেছেন৷ ফলে তাঁকে দলে নিতে আর কোনও সমস্যা রইল না৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজের (India vs England Test series) শেষ দু’টি ম্যাচে উমেশকে ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে নিল টিম ইন্ডিয়া৷ সোমবার সন্ধ্যায় প্রেস বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়ে দিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ৷ একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তরুণ পেসার শার্দুল ঠাকুরকে (Shardul Thakur)৷

২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে শুরু হবে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট৷ একথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে, উমেশের রিভার্স সুইং ও ঘরের গোলাপি বলের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে প্রথম একাদশে রাখবে৷ দু’বছর আগে ভারতের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্ট হয়েছিল ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে৷ সেই টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma) ও উমেশ যাদব। দুই ভারতীয় ফাস্ট বোলার ওই টেস্টে যথাক্রমে ৯ ও ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে জো রুটদের বিরুদ্ধে ইশান্ত-উমেশ ও জসপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) নিয়েই পেস ব্রিগেড সাজাবে ভারত৷

শেষ দু’টি টেস্টে ভারতের স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (Virat Kohli, Captain), রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), ময়াঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal), শুভমান গিল (Shubman Gill), চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara), অজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane, vice-captain), কেএল রাহুল (KL Rahul), হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya), ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant, wicket-keeper), ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha, wicket-keeper), আর অশ্বিন (R Ashwin), কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav), অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel), ওয়াশিংটন সুন্দর (Washington Sundar), ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma), জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah), মহম্মদ সিরাজ (Md. Siraj) এবং উমেশ যাদব (Umesh Yadav)