Tag Archives: Upper Primary Teachers Recruitment

Teachers Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ নিয়োগ ছিল পাকা, ফের মামলায় ঝুলে গেল নিয়োগ

কলকাতা: ফের মামলার গেরোয় উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ। পুজোর আগে নিয়োগ নিয়ে বড় সংশয় দেখা দিল। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের একাধিক বঞ্চিত প্রার্থীর। নিয়োগে অনিয়ম, সংরক্ষণ নীতি বিরোধী হাইকোর্ট রায়। কেন ১৪০৫২ শূন্যপদে নিয়োগ, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করা হল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল রাজীব ব্রহ্ম সহ একাধিক বঞ্চিত প্রার্থী।

প্রায় ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কেটেছিল জট। ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল হাইকোর্ট। মেধাতালিকা থেকে বাদ ১ হাজার ৪৬৩ যুক্ত করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে, সুপারিশপত্র দেবে এসএসসি, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?

আরও পড়ুন: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?

২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য। পরে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে মেধাতালিকা যখন প্রকাশিত হয়, তাতে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম ছিল। এর পর ২০২১ সালে SSC জানায়, OMR শিটগুলি পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া ১৪৬৩ জন অন্য একাধিক মামলায় যুক্ত হন।

এরপর হাইকোর্ট জানায়, ওই ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। কারণ ইতিমধ্যেই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কোথায় কত নম্বর পান তাঁরা, তাঁদের ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং, সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে আগেই। ফলে নতুন করে OMR শিট মূল্যায়ন করে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। তাই হাইকোর্ট জানায়, বাদ দেওয়া ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যুক্ত করে ওই ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে SSC-কে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরের চার সপ্তাহে কাউন্সেলিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ কাউন্সেলিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল SLP।

SSC: বিরাট খবর! উচ্চপ্রাথমিকের ১৪০৫২ শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র হাইকোর্টের! নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ

কলকাতা: উচ্চপ্রাথমিকের ১৪০৫২ শূন্যপদে নিয়োগে ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি-র উচ্চপ্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। আর তার পরের ৪ সপ্তাহে কাউন্সেলিং করে ১৪০৫২ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।

উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের জন্য SSC টেট বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে। সেই সময় ৭-৮ লাখ পরীক্ষার্থী বসেন টেটে। ২০১৫ সালেই ফল প্রকাশ হয় উচ্চ প্রাথমিক টেটের। এসএসসি উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ২৩.০৯.২০১৬ তারিখে। ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন: ‘সন্দীপ ঘোষ এখনও গ্রেফতার নয় কেন?’ পুলিশ-সিবিআইয়ে পার্থক্য বুঝিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

২০১৬ সালে টেট ফলপ্রকাশ হয় আর নিয়োগের জন্য ভেরিফিকেশন হয় ২০১৯ সালে। এ নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ ওঠে, ফর্ম ফিলাপ না করেই, টেটের নম্বর বাড়িয়ে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে। নম্বর বিভাজন প্রকাশ না করেই মেধাতালিকা প্রকাশ করার অভিযোগের পাশাপাশি পরীক্ষায় না বসেই ভেরিফিকেশন এবং ইন্টারভিউ হয় ১১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে।

এই মামলায় বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য পুরো মেধাতালিকা বাতিলের নির্দেশ দেন। নতুন করে ভেরিফিকেশন পর্ব থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর জুন ২০২১-এ, নতুন করে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ পায়। এই নতুন ইন্টারভিউ লিস্টকে চ্যালেঞ্জ করেও ফের মামলা হয়। সে সময় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নম্বর বিভাজন সহ ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন এবং বাকি অভিযোগ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খতিয়ে দেখে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। এরপর মামলা পৌঁছয় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ স্থগিতাদেশ দেয়।

নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। এবার কিন্তু ভুল শোধরাতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ইন্টারভিউ তালিকায় ১৪৯২ জনের ভুল ধরে এসএসসি, তাদের ইন্টারভিউ তালিকা থেকে নাম বাদ যায়। পাশাপাশি, ৭০০ জনের নাম নথিভূক্ত হয় ইন্টারভিউ তালিকায়৷ মণিরাজ ঘোষ সহ মামলাকারীরা আবারও আবেদন করে বলেন, যোগ্যরা ডাক পাচ্ছে না। কারণ টেট নম্বর নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

এবার মামলা আসে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কাউন্সেলিং চলবে তবে চাকরিতে নিয়োগ করা যাবে না আদালতের অনুমতি ছাড়া। এর মাঝে ৮৯০০ জনের কাউন্সেলিং সম্পূর্ণ হয়।

এরপর আসে আরও একটি আবেদন, এসএসসি উচ্চপ্রাথমিক চাকরি পরীক্ষা TET নিয়েছে NYSA কমিউনিকেশন। এই ওএমআর কারচুপি হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার শুনানি শেষ হয় জুলাই, ২০২৪-এ। আজ সেই মামলারই রায়দান হল।