Tag Archives: Teacher Recruitment

Primary Recruitment: SSC কাণ্ডের মধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! ৮৬৭ শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ

কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে এখনও তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক নিয়োগে সুখবর। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮৬৭ শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা’র। ২৪/৪/২০২৪ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলাকারী প্রত্যককে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ।

মামলাকারীদের নথি যাচাইয়ের পর প্রস্তুত করতে হবে তালিকা। সেই তালিকা থেকেই দিতে হবে চাকরি। ১৫ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন ৮৬৭ জন। বাম আমলে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে চাকরি মিলবে এবার। একাধিক আইনি জটিলতায় নিয়োগ সম্পূর্ণ করা যায়নি। অবশেষে সেই নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল আদালতে, অভিযোগ খারিজ করে জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান

প্রসঙ্গত, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ফের সাংবাদিক বৈঠক করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরা তিনটি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য ছিলেন ওই তালিকায়।

তবে বাকিরা যে যোগ্য, তাও জোর দিয়ে বলেননি এসএসসি চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, ‘আপাতত যে তথ্য আছে হাতে সেই মোতাবেক ওরা যোগ্য। তবে আগামীতে যে তথ্য উঠে আসবে সেই মোতাবেক বলব। এর বাইরে আমাদের পক্ষে বাকি প্রায় ১৯ হাজারকে এভাবে সার্টিফায়েড করা সম্ভব নয়।’ এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে এবার প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Upper Primary Job: যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দশ বছর কেন থমকে নিয়োগ? আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ

আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দশ বছর কেন থমকে নিয়োগ? কলকাতার ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের মাঝেই আন্দোলন চাকরি প্রার্থীদের।

অন‍্যদিকে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল এসএসসি৷ বুধবার বেলা ৩টে নাগাদ মামলা দায়ের করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ সবার চাকরি কেন বাতিল হল?এই অভিযোগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট এ মামলা করেছে এসএসসি।

Teacher Recruitment: ভোটের মুখেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা! শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া, দেখে নিন এসএসসির নির্দেশিকা

কলকাতা: লোকসভা ভোটের মুখে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে পার্শ্ব শিক্ষকদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশ সংরক্ষিত পদ আছে পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য।

২ এপ্রিল থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করবে এসএসসি। প্রায় ১৫০০-এর বেশি শূন্যপদ উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষিত আছে পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য। এমনই নির্দেশিকা জারি করল এসএসসি।

উচ্চ প্রাথমিক এর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলছে। ইতিমধ্যেই ১৪৩৩৯ টি পদের জন্য পার্শ্ব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে বাকি শূন্যপদ গুলির ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করেছে এসএসসি। কিন্তু পার্শ্ব শিক্ষকদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এতদিন করা যায়নি।

সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিক পদে শিক্ষক নিয়োগ এর জন্য পার্শ্ব শিক্ষক দের এসএসসি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল এসএসসি।

Teacher Recruitment: একসঙ্গে ১৭৫৯ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বীরভূমে, এমন ‘স্বচ্ছতা’ নজিরবিহীন দাবি সংসদ কর্তার

বীরভূম: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিতর্কের মধ্যেই এবার খুশির খবর। বীরভূমে একসঙ্গে ১৭৫৯ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হল। সকলেই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন।

জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে ভিডিওগ্রাফি করে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে বীরভূমে। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোন‌ওরকম সংশয় না থাকে তাই এমন পদক্ষেপ। এই দেখে সন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, এমন স্বচ্ছতার সঙ্গে একসঙ্গে প্রায় ৭৫০ জন প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি রাজ্যে এই প্রথম। নিজের পছন্দমত স্কুলে প্রধান শিক্ষকতার দায়িত্ব পেয়ে খুশি শিক্ষকরাও। তাঁদের কথায়, এই প্রথম যোগ্যতার ক্রমের ভিত্তিতে কোনও রং না দেখে পদোন্নতি হল।

আরও পড়ুন: মুখোমুখি অটোকে ধাক্কা ডাম্পারের, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচল আট যাত্রী

প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে যেখানে বিতর্ক, দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছে, সেখানে এমন নিয়োগ রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। বীরভূমের ২৪০১ টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ১৭৫৯ টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়েই গত দশ বছর ধরে স্কুল চলছিল। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক কাজকর্ম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছিল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ সালের পরে আর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়নি। কমপক্ষে ২০ টি মামলা ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে নিয়ে। নানান প্রশ্ন তুলে আটকে রাখা হয়েছিল পদোন্নতি। ২০১৯ সালে সংসদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে একে একে সব মামলা খারিজ করান প্রলয় নায়েক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে যারা প্রধান শিক্ষক হতে রাজি তাঁদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। চাকরির সিনিয়ারিটি অনুযায়ী জেলার ৩২টি চক্রের সব স্কুলে সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কানাইপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক বুদ্ধদেব দাস জানান, সাতদিন আগেই আমাদের ক্রম তালিকা ও প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকা স্কুলের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই মত প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বুধবার থেকে শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হয় সিউড়ির বিদ্যাসাগর ভবনে। সিউড়ি পশ্চিম চক্র ও মুরারইয়ের পাইকর চক্রের নিয়োগ হয়েছে। পাইকরে ৫৯ টি ও সিউড়ি চক্রে ৪৪ টি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। জায়ান্ট স্ক্রিনে সেই সব শূন্য পদের স্কুলের নাম জ্বলজ্বল করছিল। ক্রমান্বয়ে এক একজন স্কুল পছন্দ করছেন, তাঁকে সেখানেই নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র পেলেই সেই স্কুলের নাম মুছে গিয়েছে তালিকা থেকে। এই প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা সংসদ কর্তাদের দাবি।

সৌভিক রায়

SSC: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক তথ্য, ‘ভুয়ো’ চাকরির হদিশ দিল SSC!

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক তথ্য। এবার ভুতূড়ে চাকরির হদিশ দিল খাস SSC। নবম-দশমে ভুতূড়ে চাকরি ৪০। একাদশ-দ্বাদশে ভুতুড়ে চাকরি ১৮। ৫৮ চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর সংশয়। ৫৮ চাকরির পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ কোনও তথ্য নেই SSC কাছে। ইন্টারভিউ না দিয়েই চাকরি এই ৫৮ জনের।

কেনও ইন্টারভিউ নেয়নি SSC, এখনও স্কুলে ৫৮ জন। এসএসসি কোনও নিয়োগ তালিকাতেও নাম নেই এই ৫৮ জনের। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ বিচারপতি দেবাংশু বসাক বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র শীতকালেই পাওয়া যায় এই শাক, স্বাস্থ্যের জন্যও যা উপকারী, জানলে প্রতিদিন খাবেন

প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া প্রত্যেককে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। চাকরি পাওয়া সকলকে এসএসসি নোটিস দিয়ে জানাবে তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়া আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কোর্টের নির্দেশ মতো এবার সেই নোটিসই পাঠাচ্ছে এসএসসি। মূলত, ২০১৬ সালের নিয়োগে নিযুক্তদের তালিকা চায় আদালত। প্রতিটি স্কুলে চাকরি প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরির পর প্রধান শিক্ষকরা একটি বয়ানে স্বাক্ষর করবেন। যেখানে লেখা থাকবে, “এঁরা ছাড়া আমার স্কুলে আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নেই। যাঁরা ২০১৬ সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে এসেছেন।”

আরও পড়ুন: শীতের এই সবজি দেখেও খান না? রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য আর জীবনে কাছে ঘেষবে না খেলে!

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষককর্মীদের বাড়িতে নোটিস ধরাচ্ছে শিক্ষাদফতর। ডিআই মারফত প্রধান শিক্ষক হয়ে সেই নেটিস পৌঁছে যাবে চাকরি প্রাপকদের কাছে। ‘ভুতুড়ে শিক্ষক’-দের ধরতেই এই নোটিস বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।

Murshidabad News: প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ! শূন‍্যপদের সংখ‍্যা কত? জেনে নিন সব বিস্তারিত তথ‍্য

মুর্শিদাবাদ: কয়েক বছর ধরে আটকে থাকার পর ফের প্রাথমিক স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (ডিপিএসসি)-এর হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে এই রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দীর্ঘ দিন পরে এবার মুর্শিদাবাদ জেলাতে শুরু হল প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

বিদ্যালয় সংসদ সুত্রে খবর, সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে মোট ৮৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে খালি ছিল। মূলত অবসর গ্রহণ এবং অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রধান শিক্ষকের ঐ পদগুলিতে খালি ছিল। বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বারবার দাবি তুলেছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির জলে বর্ষবরণ! পাহাড়ে তুষারপাত হবে কি? জেনে নিন আবহাওয়ার বড় আপডেট

প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথমে সার্কেল অফিসে আবেদন জমা নেওয়া হয়। শিক্ষকের স্বমূল্যায়ন, সিনিয়ারিটি এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে তৈরি মেধাতালিকা অনুসারে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে বহরমপুরে। তবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হলেই আগামী দিনে ছাত্র ও ছাত্রীদের মান উন্নয়ন ঘটবে আরও।

মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৮৪০টি পদে প্রধান শিক্ষক পদে শূন্য পদের জন্য কাউন্সিলিং চলছে বহরমপুরে পঞ্চাননতলাতে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান আশিস মার্জিত জানিয়েছেন, ৮৪০টি পদ ফাঁকা রয়েছে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য। প্যানেল তৈরি করা হয়েছে ১৮৩৫জনের। তাদের মধ্যে ১৫৪৬জন শিক্ষককে ডাকা হয়েছে সিনিয়রদের যোগ্যতা অনুসারে।

তাদের পছন্দ মতোই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। যার কাউন্সিলিং চলছে সুস্থ ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই বহরমপুরে পঞ্চাননতলাতে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনে। তবে দীর্ঘ দিন পরে প্রধান শিক্ষক পদে নিজের পছন্দ মতো স্কুল পেয়ে অনেকেই খুশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

কৌশিক অধিকারী

Upper Primary Teacher Recruitment: বড় খবর! কাউন্সেলিংয়ে সবুজ সংকেত সুপ্রিম কোর্টের! শিক্ষক নিয়োগ মামলায় স্বস্তিতে SSC

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। কলকাতা হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেই নিয়োগের কাউন্সেলিং বন্ধ করল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাল, এখনই কাউন্সেলিং বন্ধ করতে চায় না আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই কাউন্সেলিং চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এসএসসি।

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের চূড়ান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই কাউন্সেলিং বন্ধ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

আরও পড়ুন: ‘৩৭০ একটি কলঙ্ক ছিল…’ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

চাকরিপ্রার্থীদের যুক্তি, প্রথম প্যানেলে নাম থাকলেও নতুন প্যানেলে নাম নেই তাঁদের। ‘অস্বচ্ছ’ প্যানেল তৈরি করে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তার দিকে নজর চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের।

‘বৈঠক সদর্থক, নিয়োগ দেওয়া হবে ৫,৫৭৮ জনের,’ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি ও র‍্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ‍্য রাজনীতি। এবার শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হল চাকরিপ্রার্থীদের। ২ ঘন্টার বৈঠক ফলপ্রসূ বলেই জানা গিয়েছে। দীর্ঘ দিনের জট একদিনে কাটবে না আগেই মনে রাখা হচ্ছিল। যদিও আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এদিন জট কাটাতে উদ্যোগী হন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ৫৫৭৮ জনকে নিয়োগ করা হবে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়োগে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানান, ‘‘দীর্ঘ ১৬ মাস পরে এই বৈঠক হল রাজ্য শিক্ষা দফতরে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের মধ‍্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে, এই বৈঠকের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে।’’

আরও পড়ুন: আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীরা, আন্দোলনকারীদের নিয়োগ হবে? নজরে বিকাশ ভবনের বৈঠক

পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী দশ দিনে কতটা অগ্রগতি হল, কতটা কাজ হল। সেটা জানা যাবে। আগামী ২২ তারিখ দুপুর ২’টায় মিটিং পুনরায় হবে। এসএসসির পক্ষ থেকে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। যোগ্যদের নিয়োগ করাতে এই পদক্ষেপ করবে রাজ‍্য সরকার। তবে বৈঠকের পরও আন্দোলন উঠবে না বলেই জানিয়েছেন প্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘আন্দোলন আপাতত উঠছে না। আন্দোলন চলবেই। এই বৈঠকে আমরা খুশি। ’’

নিয়োগে দুর্নীতি ও র‍্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগ হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ তৈরিও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দু’বছর হতে চলল সেই পদে নিয়োগ করতে পারিনি রাজ্য। গোটা বিষয়টি আইনি বিচারাধীন থাকায় নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

Calcutta High Court: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

Calcutta High Court : প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ। প্রাথমিক স্তরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ আদালতের। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে নির্দেশ বিচারপতির। সংসদকে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের মামলার শুনানি। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch bangla news video)৷