Tag Archives: Virus

২০৫০ সাল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! মানুষের নিজের দোষেই আসছে বড় ‘বিপদ’

কলকাতা: বিশ্বে সব সময় নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তবে এবার ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ নতুন করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই রোগের উপর দ্বিতীয় উচ্চ-স্তরের বৈঠক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ একটি নতুন গবেষণায় দেখা দিয়েছে, মানুষ নিজের দোষেই বড় বিপদের জন্ম দিয়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের সেবনের ফলে মানুষের সামনে এখন বড় বিপদ। মুড়ি-মুড়কির মতো সেই ওষুধ খেয়েই সমস্যা বেড়েছে। চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেন। এবার একশ্রেণির জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত।

আরও পড়ুন- সোয়া ২টোয় বড় ঘটনা! সত্যিই ১৫ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ধংস হত! কান ঘেঁষে গেল ‘বিপদ’

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গবেষকরা দাবি করেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের কারণে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) সংক্রমণ বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।

গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (GRAM) এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এই সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজি এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের অধ্যাপক রাজারমন এরি বলেছেন, “অণুজীবগুলি আর ওষুধে কার্যকরভাবে সাড়া না দেওয়ায় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং ভাইরাসের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দেখা দেয়, এই সংক্রমণের চিকিত্সা করা কঠিন।”

আরও পড়ুন- General Knowledge: কোন প্রাণী জন্মের পর টানা ২ মাস ঘুমায়? উত্তর দিতে ব্যর্থ

সমস্ত বয়সের মানুষের মধ্যে ১১টি সংক্রামক সিন্ড্রোমের প্রভাব পড়তে পারে। গবেষকরা এখন থেকেই অনুমান করেছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ AMR- এর কারণে বার্ষিক মৃত্যু ১.৯১ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেতে পারে।

Bird Flu In Bengal: বাংলায় আবার বার্ড ফ্লু! চার বছরের শিশুর শরীরে ধরা পড়ল H9N2 ভাইরাস, সতর্কতা WHO-র

পশ্চিমবঙ্গে বার্ড ফ্লু-র হানা। চার বছরের এক শিশুর শরীরে ধরা পড়েছে H9N2 ভাইরাস। মঙ্গলবার এই খবর নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু। ফলে এবার মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস ধরা পড়ল।
পশ্চিমবঙ্গে বার্ড ফ্লু-র হানা। চার বছরের এক শিশুর শরীরে ধরা পড়েছে H9N2 ভাইরাস। মঙ্গলবার এই খবর নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু। ফলে এবার মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস ধরা পড়ল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে গুরুতর শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড জ্বর এবং পেটে ব্যথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয় চার বছরের ওই শিশু। তাঁকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিন মাস চিকিৎসার পর ওই শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে গুরুতর শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড জ্বর এবং পেটে ব্যথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয় চার বছরের ওই শিশু। তাঁকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিন মাস চিকিৎসার পর ওই শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুর পরিবার বা পরিচিত কারও শরীরে বার্ড ফ্লু-র উপসর্গ দেখা যায়নি। জ্বর বা শ্বাসকষ্টও ছিল না। তবে ওই শিশু কোনওভাবে হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে এসেছিল বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শিশুর পরিবার বা পরিচিত কারও শরীরে বার্ড ফ্লু-র উপসর্গ দেখা যায়নি। জ্বর বা শ্বাসকষ্টও ছিল না। তবে ওই শিশু কোনওভাবে হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে এসেছিল বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বার্ড ফ্লু-র টিকার স্ট্যাটাস এবং অ্যান্টি ভাইরাল চিকিৎসার বিশদ বিবরণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যানি। ২০১৯ সালে ভারতে প্রথমবার মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বার্ড ফ্লু-র দ্বিতীয় মানব সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গেল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বার্ড ফ্লু-র টিকার স্ট্যাটাস এবং অ্যান্টি ভাইরাল চিকিৎসার বিশদ বিবরণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যানি। ২০১৯ সালে ভারতে প্রথমবার মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বার্ড ফ্লু-র দ্বিতীয় মানব সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গেল।
H9N2 হল এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে পাখিদের বার্ড ফ্লু এবং মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। ১৯৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে এক টার্কির দেহে প্রথম H9N2 ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
H9N2 হল এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারণে পাখিদের বার্ড ফ্লু এবং মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। ১৯৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে এক টার্কির দেহে প্রথম H9N2 ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
সাধারণত জঙ্গলের পাখিদের শরীরেই H9N2 ভাইরাস পাওয়া যায়। অনেক এলাকায় মুরগির শরীরেও এই ভাইরাস মেলে। মানুষের মধ্যে H9N2 ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বিরল। হালকা উপসর্গের কারণে অনেক সময় সংক্রমণের আসল কারণ বোঝা যায় না।
সাধারণত জঙ্গলের পাখিদের শরীরেই H9N2 ভাইরাস পাওয়া যায়। অনেক এলাকায় মুরগির শরীরেও এই ভাইরাস মেলে। মানুষের মধ্যে H9N2 ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বিরল। হালকা উপসর্গের কারণে অনেক সময় সংক্রমণের আসল কারণ বোঝা যায় না।
H9N2 ভাইরাস বিভিন্ন অঞ্চলের পোলট্রিতে ছড়িয়ে থাকা সবচেয়ে প্রচলিত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি। এই ভাইরাস পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ালেও খুব একটা বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, H9N2 ভাইরাস ভবিষ্যতে যে কোনও বড় ফ্লু মহামারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
H9N2 ভাইরাস বিভিন্ন অঞ্চলের পোলট্রিতে ছড়িয়ে থাকা সবচেয়ে প্রচলিত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি। এই ভাইরাস পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ালেও খুব একটা বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, H9N2 ভাইরাস ভবিষ্যতে যে কোনও বড় ফ্লু মহামারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে।

Virus Alert: হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে এই জিনিসগুলো মেনে চলুন, গ্রাহকদের সতর্ক করল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক

কলকাতাঃ ব্যাঙ্কে যাওয়ার আর প্রয়োজন পড়ে না। টাকা তোলা থেকে টাকা পাঠানো, অনলাইনেই সব কাজ হয়। গ্রাহকদের ব্যাপক সুবিধা হয়েছে। আর সুবিধা হয়েছে হ্যাকারদের। অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের বিপদ নিয়ে এভাবেই সতর্ক করল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। তাদের কথায়, একটা ভুল পদক্ষেপে গ্রাহকের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

একথা সবাই জানেন যে, অপরিচিত কাউকে পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত বিবরণ দেওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি সঠিক জায়গা থেকেই ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। তবে এইচডিএফসি বলছে, হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে এগুলোর সঙ্গে আরও কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত। সেগুলো কী?

আরও পড়ুনঃ অবসরের পরও গ্রাচুইটি দেয়নি কোম্পানি? আপনি কী কী করতে পারেন দেখুন

সর্বদা ব্লুটুথ চালু রাখা উচিত নয়: স্মার্টফোনকে ইয়ারফোন, ল্যাপটপ বা অন্য গ্যাজেটের সঙ্গে জোড়ার জন্য ব্লুটুথ অন করতে হয়। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সবসময় ব্লুটুথ চালু রাখতে বারণ করছে। এতে হ্যাকারদের ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেতে সুবিধা হয়।

অ্যাপ শুধু বন্ধ নয়, লগ আউট করতে হবে: অ্যাপ ব্যবহারের পর ইউজাররা পেজ থেকে বেড়িয়ে যান। কিন্তু লগ আউট করেন না। অনেক সময় ‘ফোর্স ক্লজিং’-ও করা হয়। এইচডিএফসি বলছে, এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। সবার আগে অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করতে হবে, তারপর বন্ধ করতে হবে অ্যাপ।

পাবলিক ওয়াইফাই-তে ব্যাঙ্ক অ্যাপ ব্যবহার নয়: পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কগুলো হ্যাকারদের স্বর্গরাজ্য। সাধারণ মানুষও বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের লোভে এই ফাঁদে পা দেন। যাইহোক, বিমানবন্দর বা ক্যাফের পাবলিক ওয়াইফাই দিয়ে ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ব্যবহার বা লগ ইন করা উচিত নয়। সতর্ক করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক।

সমস্ত অ্যাপে একই পিন বা লক প্যাটার্ন ব্যবহার করা উচিত নয়: স্মার্টফোনে অনেক অ্যাপ থাকলে বিভিন্ন পিন মনে রাখতে হবে। অনেকে সব অ্যাপে একটাই পিন ব্যবহার করেন। এইচডিএফসি বলছে, এই অভ্যাস বদলাতে হবে, বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলোর জন্য। কারণ এতে হ্যাকারদের পক্ষে আর সংখ্যার পিন সনাক্ত করা ডিভাইসের অ্যাক্সেস পাওয়া সহজ হয়ে যায়।

ফোন মেরামতির জন্য দোকানে দিলে ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ডিলিট করতে হবে: ফোন মেরামতির জন্য দোকানে দিলে, সবার আগে ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলো আনইনস্টল করতে হবে। হ্যাঁ, এতে অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার এটাই নিরাপদ উপায়।