Tag Archives: wb hs result 2024

Higher Secondary Result 2024: পান বরজে কাজ করে ৯২ শতাংশ নম্বর! আইআইটিতে পড়তে চায় পুষ্পেন্দু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। সেই ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের এক ছাত্র পুষ্পেন্দু হালদার ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। কিন্তু এই বিপুল সাফল্যের পর চিন্তায় পড়েছে পুষ্পেন্দুর পরিবার। পুষ্পেন্দুর বাবা প্রসেনজিৎ হালদার পানবরজে কাজ করেন। পুষ্পেন্দুও অবসর সময়ে বাবার কাজে সহযোগিতা করেন। এভাবেই কাটছিল সময়। টিউশন পড়ানোর মত টাকা ছিল না পুষ্পেন্দুর পরিবারে। সেজন্য স্কুলের কোচিং নিত পুষ্পেন্দু‌।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, বাড়ল পাশের হার, এ বছর পাশ ৯০ শতাংশ পড়ুয়া

উচ্চমাধ্যমিকের ফল বের হতেই দেখা গিয়েছে সে ৫০০ এর মধ্যে পেয়েছে ৪৬০। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৬, গণিতে ৯৯, রসায়নবিদ্যায় ৮৫, পদার্থবিদ্যায় ৯০। মোট ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। আগামী দিনে তার স্বপ্ন জেই(অ্যাডভান্স) পরীক্ষা দিয়ে আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
এই বিপুল সাফল্যেল পর রাধাকান্তপুর গ্রামে বইছে খুশির জোয়ার।

এ নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি জানিয়েছেন, “পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে উঠে আসা উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম পুষ্পেন্দু। তার স্বপ্ন পূরণের প্রধান অন্তরায় আর্থিক সমস্যা। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ ছাত্রের পাশে থেকে সাহায্য করে, তাহলে পুষ্পেন্দুর স্বপ্ন সফল হতে পারে। ছেলেটি লাজুক প্রকৃতির। নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসত। কোনরকম প্রাইভেট টিউশন না নিয়েই তার এই ফল। আগামীদিনে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। ওর ইচ্ছা পূরণ হোক। সেটাই এখন চাই আমরা।’

নবাব মল্লিক

WB HS Result 2024: সবাই করলেও এই কাজটি কোনওদিন করেনি! ছকভেঙে উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় অভিষেক

মালদহ: সোশ্যাল মাধ্যমে না থেকেই ধারাবাহিক সাফল্য। মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ তারপর উচ্চমাধ্যমিকে একধাপ উন্নতি।‌ রাজ্যে একক ভাবে তৃতীয় মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া অভিষেক গুপ্ত। সাফল্য ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।‌ তার জন্য সোশ্যাল মাধ্যম থেকে দূরে থেকেছে অভিষেক।

নিয়মিত দিনে আট থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেই এসেছে এমন সাফল্য। নেই ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট। মোবাইলে অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যম থেকেও দূরে থেকেছে। তবে পড়াশোনার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেইটুকু প্রয়োজন সেইটুকু সময় মোবাইলে সময় দিয়েছে। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা।‌ প্রিয় বিষয় অঙ্ক। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল অভিষেক। বাড়ি মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী এলাকায়। বাবা শিবশান্ত গুপ্ত, মালদহের বেসরকারি নার্সিংহোমের কর্মী। মা অনামিকা সাহা গুপ্ত, পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। একমাত্র সন্তান অভিষেক।

আরও পড়ুনঃ রান্নার স্বাদ বাড়াতে টম্যাটো দিচ্ছেন? কাঁচা তো দূর, রান্না খাবারও কারা ভুলেও ছোঁবেন না? জানুন চিকিৎসকের মত

মালদহ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া। মাধ্যমিকে রাজ্য চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল অভিষেক। তারপর এবার উচ্চমাধ্যমিকে ধারাবাহিক সাফল্য এসেছে। রাজ্য মেধা তালিকায় এবারও স্থান পেয়েছে অভিষেক। মা অনামিকা সাহা গুপ্ত বলেন, ছেলের সাফল্যে খুব খুশি। মাধ্যমিকেও ভাল ফল করেছিল মেধা তালিকায় নাম এসেছিল। উচ্চমাধ্যমিকেও মেধা তালিকায় ছেলের নাম এসেছে। ছোটবেলা থেকেই ছেলে পড়াশুনায় ভাল। আগামীতে ছেলের যা স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণ হোক।

আরও পড়ুনঃ জেলায় স্বাস্থ্য দফতরে প্রচুর নিয়োগ! কত বেতন? কীভাবে আবেদন করবেন? রইল আবেদনের খুঁটিনাটি

মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ফলে এক ধাপ এগিয়েছে অভিষেক। ৪৯৪ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য তৃতীয় স্থানে রয়েছে। মালদহ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অভিষেক। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আগামীতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। অভিষেক গুপ্ত বলে, মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ হয়েছিলাম। তখন থেকেই চাপ আরও বেড়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ভাল করার আশায় পড়াশোনায় জোর দিয়েছিলাম। মাধ্যমিকের থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনায় বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন পড়েছিল কারণ এখানে সমস্ত বিষয়গুলি ডিটেলে পড়তে হয়। কোনও সোশ্যাল মাধ্যমে আমি ছিলাম না কোনওদিন। পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে আমার।

হরষিত সিংহ