বীরভূম: দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে গতকাল দুপুর থেকেই সাজো-সাজো রব তারাপীঠ চত্বরজুড়ে। প্রথা মেনে মা তারার শিলা মূর্তিকে স্নান করানোর পর বৃহস্পতিবার শুরু হয় মঙ্গল আরতি। এরপর সর্বসাধারণের জন্য মা তারার গর্ভ গৃহের মন্দির খুলে দেওয়া হয়। মা তারাকে রাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে হয় বিশেষ পুজো।
তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়ত তারক রায় জানান, বৃহস্পতিবার তারা মায়ের বিশেষ পুজো হয়। বিকেল তিনটে ৭ মিনিট থেকে শুরু হয় অমাবস্যা, তারপর সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি। এরপর রাতে মায়ের নিশি পুজো। বৃহস্পতিবার মা তারাকে সন্ধ্যাবেলায় ডাকের সাজে সাজিয়ে বিশেষ আরতির আয়োজন হয় । বৃহস্পতিবার দুপুরে মা তারাকে বিশেষ অন্নের ভোগ নিবেদন করা হয় যেখানে থাকে পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকম সবজি, খিচুড়ি,সাদা ভাত,পোলাও, শোল মাছ পোড়া,কারণবারি মাছের মাথা ভাজা। সন্ধ্যা আরতির পর লুচি সুজি মিষ্টি পায়েস খই মুড়কি দিয়ে শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়। তারে খিচুড়ি এবং বিভিন্ন রকমের সবজি, মিষ্টি ও পাঁঠার মাংস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।
একদিকে যখন তারাপীঠ মন্দিরে চলে বিশেষ পুজোর আয়োজন, তখন তারাপীঠ এলাকার মন্দিরের সেবায়েতদের পরিবারের মহিলারা তারাপীঠ মন্দির চত্বরে বিশেষ গান বাজনার আয়োজন করেন। হারমোনিয়াম তবলা বাজিয়ে মা তারার গানে মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গান শুনতে ভিড় জমান দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা।
তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমুল বৃক্ষের তলায় বিশেষ হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয় এবং তারাপীঠ শ্মশানজুড়ে সাধু সন্ন্যাসীরা হোম যজ্ঞ করেন। মহাশ্মশানের পাশাপাশি তারাপীঠ এলাকার বিভিন্ন হোটেলগুলিও আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠে।
সৌভিক রায়