বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের হাতেই স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট রয়েছে। যদি শরীরের কথা বলেন, তাহলে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি মনে হবে। আপনি কি জানেন, যে আপনার ফোন থেকে রেডিয়েশন নির্গত হয়, তা অনেক রোগের প্রধান কারণ।এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কীভাবে আপনি জানতে পারবেন আপনার ফোন থেকে কতটা রেডিয়েশন বের হচ্ছে।মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন আসলে কী? বিষয়টি হল, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের জন্য, টেলিকম সংস্থাগুলি বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুসারে টাওয়ার স্থাপন করে। এই টাওয়ারগুলির বিকিরণ সরাসরি আমাদের সংস্পর্শে আসে না, তাই এটি শরীরের উপর খুব কম বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু ফোন আমাদের সঙ্গে প্রায় থাকে ২৪ ঘন্টাই।তাই বিকিরণ সরাসরি আমাদের শরীরের সংস্পর্শে আসে। এখন প্রশ্ন হল, একজন ব্যক্তি কীভাবে বুঝবেন তার ফোন থেকে কতটা রেডিয়েশন নির্গত হচ্ছে?তাই আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন পরীক্ষা করতে চান, তাহলে কী করবেন? এর জন্য আপনাকে মোবাইল থেকে *#07# ডায়াল করতে হবে।রেডিয়েশন মস্তিষ্ক এবং হৃদয় উভয়ই বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই কারণে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে এবং মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, আলঝাইমার্স এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।রেডিয়েশন কমাতে মোবাইল ফোন ভাল কেসে রাখতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলার ফলে বিকিরণ মস্তিষ্কের কোষেও প্রভাব ফেলে। দুর্বল সংকেতের সময় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন সবচেয়ে বেশি হয়। অতএব, বেসমেন্ট বা লিফটের মতো জায়গায় ফোন কল করা এড়িয়ে চলা উচিত।ফোন থেকে নির্গত বিকিরণ SAR মান দিয়ে পরিমাপ করা হয়। SAR (Synthetic Aperture Radar) মানে নির্দিষ্ট শোষণ হার। নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী, ফোনের রেডিয়েশন মাত্রা প্রতি কিলোগ্রামে ১.৬ ওয়াটের বেশি হওয়া উচিত নয়। এবার যদি আপনার ফোনের SAR মান এই সীমার বেশি হয়, তাহলে ফোনটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়।
