ভাটপাড়ায় অশান্তি৷

Bhatpara clash: একদিকে অর্জুন সিং, একদিকে সোমনাথ শ্যাম, মাঝে পুলিশ! বনধ ঘিরে তপ্ত ভাটপাড়া

কলকাতা: একদিকে অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। অন্যদিকে সোমনাথ শ্যামের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। মাঝখানে পুলিশ। আর পুলিশের সামনেই দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ালো দু’পক্ষ। বুধবার ভাটপাড়ার মেঘনা মোড় ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুদুধান দুই পক্ষের রণং দেহি মেজাজের কারণে। যদিও কিছুক্ষণ পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন৷

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে একটি গুলি চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে। অর্জুন সিং জানিয়েছেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। বিজেপির দুজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে।”

আরও পড়ুন: এখনও গ্রেফতার হননি, কিন্তু বড় ‘শাস্তি’ পেলেন সন্দীপ ঘোষ! আরজি কর কাণ্ডে বড় সিদ্ধান্ত IMA-র

যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ তৃণমূল নেতা ও এলাকার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের পাল্টা দাবি, “এলাকায় কোনও গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেনি। অর্জুন সিং পুরনো কিছু ছবি ভাইরাল করে এটা রটাচ্ছে। ধর্মঘট হচ্ছে না সব স্বাভাবিক রয়েছে। এর ফলে দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে দোকানে এসে অশান্তি করেছে বিজেপির লোকেরা। যদিও মানুষ এর প্রতিরোধ করেছে।”

এই নিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাটপাড়ার মেঘনা এলাকা। ঘটনার পর থেকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। এলাকায় শান্তির পরিবেশ নষ্ট করছে বিজেপি, এই অভিযোগের পাশাপাশি সন্ত্রাস রোখার দাবি নিয়ে পাল্টা জমায়েত করে তৃণমূল। দু’ পক্ষ সামনাসামনি চলে আসে। মেঘনা মোড়ে পুলিশ থাকলেও তাদের সামনেই একাধিকবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা। এদের অনেকের হাতেই লাঠিসোটা ছিল। বেশ কিছুক্ষণ এরকম চলার পরে দু’পক্ষকে দূরে সরাতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এর পর এলাকায় টহলদারি দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার সবই করা হবে।”

গুলি, বোমা, সংঘর্ষ, আতঙ্ক- বেশ কয়েক বছর ধরে ভাটপাড়ার গায়ে বারবার এই তকমা লেগেছে। এদিন আরও একবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। এই ঘটনার ফলে এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। এই রাজনৈতিক রেষারেষি থেকে কবে মুক্ত হয়ে শান্তি ফিরবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভাটপাড়ার বাসিন্দারা৷