Tag Archives: Farmers

Mango Cultivation: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

মালদহ: আমের ক্ষেত্রে এমনিতেই বলা হয়, এক বছর ফলন ভাল হলে পরের বছর তা কমবেই। গত বছর মালদহের প্রতিটি আমবাগান উপচে পড়েছিল ফলে। কিন্তু এ বছর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। অধিকাংশ গাছেই নতুন পাতা ধরেছে। বাগানে নেই আম। যেটুকু আম হয়েছিল প্রচন্ড দাবদাহে তাও ঝরে পড়ে গিয়েছে।‌

এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার হয়ত মালদহের আম সস্তায় মিলবে না। গত বছরের তুলনায় এবছর ৫০ শতাংশের কম আমের ফলন হবে বলে আশঙ্কা। এখন থেকেই মাথায় হাত পড়েছে জেলার আম চাষিদের। কারণ আগে থেকেই আম বাগানের লিজ নেওয়া রয়েছে। আমের পর্যাপ্ত ফলন না হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

মালদহ ম্যাংগো মার্চেন্টের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এই বছর আমের ফলন অনেক কম হবে। আমের দাম বৃদ্ধি পেলেও ব্যবসায়ী ও আম চাষিরা লোকসানের মুখে পড়বেন। কারণ ফলন কম হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গরমে পানীয় জল নিয়ে নাজেহাল, হতাশায় হাল ছেড়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য

মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়ার খামখেয়ালির কারণে চলতি মরশুমে মালদহের আমের ফলনে ঘাটতি হয়েছে। মরশুমের প্রথম থেকেই আবহাওয়া আমের পক্ষে অনুকূল ছিল না। এই বছর শীত অনেক দেরিতে বিদায় নিয়েছে। আমের মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে টানা খরার জন্য অধিকাংশ আম গাছের শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির অভাবে আমের বৃদ্ধিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বাগানের আমে কীটপতঙ্গের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত কারণের জন্য এই বছর আমের ফলনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

জেলার আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাগানগুলিতে যে পরিমাণে আম রয়েছে তাতে গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রায় অর্ধেক ফলন হবে। ব্যবসায়ীদের অনুমান এই বছর মালদহে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন আমের ফলন হতে পারে। উদ্যানপালন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মরশুমে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হতে পারে। গতবছর মালদহে আমের ফলন হয়েছিল ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। সেই তুলনায় এই মরশুমে অনেক কম ফলন হবে। যার ফলে আমের দাম এবার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। ফলে হতাশ হতে হবে আম প্রেমিকদেরও।

হরষিত সিংহ

Spine Gourd Cultivation: মোটা আয়ের হাতছানি! ধান, পাট ছেড়ে কাঁকরোল চাষে মজেছেন কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ধান বা অন্যান্য সবজি চাষ ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষের ঢেউ নেমেছে বাদুড়িয়ায়। তাতে কৃষকদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ঋতুভিত্তিক চাষের প্রথা ক্রমশই কমছে এই এলাকায়।

গ্রীষ্মকালীন পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম কাঁকরোল। যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফসল। এই সবজিটি গ্রীষ্মকালে বাজারে বহুল প্রচলিত। তবে বসিরহাটের বাদুড়িয়ার চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষে জোর দিচ্ছেন। সবজি ক্ষেতে গেলে দেখা যাবে বাগান ভর্তি সবুজ কাঁকরোল গাছের সমাহার। মাচার উপর শতাংশে গাছের নিচে শোভা পাচ্ছে পরের পর কাঁকরোল।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়

ধান, পাটের ঋতুভিত্তিক চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেকটাই বেশি থাকে। সেখানে কাঁকরোল চাষে একবার চারা গাছ রোপন করলে বহুদিন ধরে ফল পাওয়া যায়। হাইব্রিড প্রজাতির কাঁকরোলের ফলন ভাল হওয়ায় আয়‌ও ভাল হচ্ছে কৃষকদের। হাইব্রিড জাতের কাঁকরোল চাষে কৃষিতে ভাল ফলন ধরেছে। কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি কাঁকরোল চাষ করে ভাল দাম পাচ্ছেন। অধিকাংশ জমিতেই মাচায় চাষ করা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, সব ধরনের মাটিতেই কাঁকরোল চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত। জল জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি এই চাষের জন্য দরকার। চাষের আগে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাচা তৈরি করতে হবে। এরাম কতগুলো সহজ বিষয়ে মাথায় রাখলে কাঁকরোল চাষ করে আপনার ভাল আয় হতে পারে।

জুলফিকার মোল্যা

Vegetable Cultivation: মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি! গরম বাড়ায় চাষির পেটে কিল

মুর্শিদাবাদ: তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা। এবার বৈশাখে কালবৈশাখীর দেখা নেই। উল্টে সূর্যের তীব্র তাপে চারদিক যেন ঝলসে যাচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চাষাবাদেও। ফলে মাথায় হাত সবজি চাষিদের।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে মারাত্বক সঙ্কটে পড়েছেন হরিহরপাড়ার দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, হোসেনপুর মাদারতলা রায়পুর সহ বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। গরমে ঝলসে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি।

আর‌ও পড়ুন: একটা বনসাইয়ের দাম ১০ লক্ষ টাকা! বাংলাতেই আছে সেই বিরল বাগান

কৃষকরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পটল, বেগুন, করলা, লঙ্কা, শসা সহ বিভিন্ন সবজি গাছ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানান চাষিরা। কৃষকরা এও জানান, এত বেশি তাপমাত্রা মুর্শিদাবাদ জেলাতে আগে কোনওদিন লক্ষ্য করা যায়নি। এবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসেও পৌঁছে গিয়েছিল। এর ফলে পটল, ঝিঙে, করলার মত সমস্ত সবজি মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। তীব্র তাপদাহে বার বার জল দিলেও মাটি শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমে খাল, নদী, নালা শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের জন্য পর্যাপ্ত জলও পাওয়া যাচ্ছে না

চাষিদের পাশাপাশি চিন্তায় পড়ছে জেলা কৃষি এবং উদ্যাণ পালন দফতরও। রাজ্য থেকে জেলার কৃষি কর্তারা সকলেই মানছেন, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির একটা আশঙ্কা তো থাকেই। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে ভালোই। ৪১-৪২-৪৩ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামছে না। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্যাণ পালন দফতরের এক কর্তা বলেন, সবজি চাষ এত তাপমাত্রার জন্য ক্ষতি হবে এটা খুব স্বাভাবিক।

কৌশিক অধিকারী

East Bardhaman News: পুড়ছে গোটা বাংলা, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, চরম ভোগান্তি সকলের, তবুও চাষিদের কোনও কষ্ট হচ্ছে না! কারণটা কী?

পূর্ব বর্ধমান: তীব্র গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কার্যত উল্টো সুর, এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন প্রত্যাশা তাদের? কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।

বিগত বেশ কয়েকদিন যাবত গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম ও মারাত্মক তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের দহন জ্বালায় কার্যত পুড়ছে গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই চাইছে গোটা বাংলার মানুষ। আট থেকে আশি, সকলেই তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় চেয়ে রয়েছে সবাই। কিন্তু এহেন অবস্থাতে কার্যত উল্টো সুর এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। স্বস্তির বৃষ্টি নয়, তারা চাইছেন আরও কিছুদিন বজায় থাকুক এই আবহাওয়া।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তীব্র এই রোদ গরম স্থায়ী হোক আরও কিছুদিন। আর তাতেই নাকি হাসি ফুটবে তাদের মুখে। কিন্তু কেনই বা এমন ভিন্ন কথা তাদের মুখে ? কারাই বা চাইছেন এই কাঠফাটা রোদ? আসলে যারা এই তীব্র রোদ গরম চাইছেন তারা রাজ্যের শস্য ভান্ডারের অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষি। কিন্তু কেন এমন চাইছেন তারা? আসলে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, এখন সব মাত্র বোরো ধান পেকে, তাতে সোনালি রঙ ধরা শুরু হয়েছে। সেই ধান কেটে, ঝেড়ে ঘরে তোলা এখনও বাকি। আর তাই এমন ভিন্ন ধর্মী চাওয়া তাদের। এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষ চাষিরা বলেন, “রোদে গরমে থাকতে পারা যাচ্ছেনা, কিন্তু এরকম রোদ থাকা ভাল। কারণ মাঠে ধান আছে সেগুলো তুলতে সুবিধা হবে। এরকম রোদ আরও দিন দশেক থাকলে আরও বেশি ভাল হয়। আমরা চাষি লোক , এই রোদ থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।”

গোটা রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব বর্ধমান অন্যতম। রাজ্যে এর পরিচিতি শস্যভান্ডার হিসেবে। ধান হল পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল। বিভিন্ন উন্নত ও সুগন্ধি প্রজাতির ধান চাষে এই জেলার সুনাম রয়েছে সর্বত্রই। জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বোরো ধান চাষ হয় ব্যাপক পরিমাণে। অন্যান্য বছর বৈশাখের এই সময় বিকেলের দিকে প্রায়শই কালবৈশাখীর তান্ডব দেখা যায়। কিন্তু এই বছর তীব্র তাপপ্রবাহে দেখা যায়নি সেই ছবি।

আর তাতেই নাকি উপকার হয়েছে জেলার ধান চাষিদের। অন্যদিকে জেলার কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। মূলত আমন ধান চাষের মরশুম শেষ হবার পরে বোরো ধানের চাষ শুরু হয় বাংলার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি বোরো ধান রোপন করা হয়। সেই ধান কাটা ও ঝাড়ার কাজ চলে বাংলার বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ ও অর্থাৎ ইংরেজি এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। তীব্র গরমের স্বস্তির বৃষ্টির দেখার না মেলায় রাজ্যবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা হলেও, এতে খুশি পূর্ব বর্ধমানের বোরো ধান চাষিরা। কালবৈশাখীর দাপট পাকা ধানে মই না দেওয়ায় দহন জ্বালা সহ্য করেও, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারার আশায় মুখে হাসি ফুটেছে তাদের।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: কাঠফাটা রোদে জ্বলন্ত গরমে কাস্তে হাতে মাঠে তৃণমূল প্রার্থী, নেপথ্য কাহিনি শুনে অবাক হবেন!

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি জন্মেছেন কৃষক পরিবারে, বাবা-মা চাষাবাদ করেই মানুষ করেছেন তাঁকে। তাই কৃষিকাজ এবং কৃষকদের প্রতি তাঁর অন্য ধারণা রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ধান তোলার মরশুমে একদিকে যখন মাথার উপর কাঠফাটা রোদ, তখনই মাঠে নেমে ধান কাটতে এবং ধান শুকোতে দেখা গেল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের প্রার্থীকে। যা দেখে হতভম্ভ সকলে। প্রচারে বেরিয়ে এক অন্য ভূমিকায় দেখা গেল আরামবাগ লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগকে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পড়ে আরামবাগ লোকসভার মধ্যে। সপ্তাহের প্রথম দিন গরমকে উপেক্ষা করে প্রচারে বেরিয়েছিলেন আরামবাগ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী। তবে এই কাঠফাটা গরমে মাঠে ধান কাটছিলেন বেশ কয়েকজন। গাড়ি থেকে নেমে প্রার্থী নিজেই লেগে পড়লেন ধান কাটার কাজে। প্রার্থী শুধু নিজেই নন, ধান কাটার কাজে হাত লাগালেন চন্দ্রকোনার বিধায়কও।

আরও পড়ুন: এ বছর কত তারিখে পড়েছে জামাইষষ্ঠী? কবে থেকে জামাই আদরের প্রস্তুতি শুরু করবেন শাশুড়িরা!

হাতে গোনা কয়েকদিন পর লোকসভা নির্বাচন। দল বেঁধে মাঠে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল। কখনও দাওয়ায় বসে পাত পেড়ে খাওয়া, আবার কখনও গৃহস্থের ঘরের কাজে হাত লাগানো। তবে এবার কৃষকদের মন কাড়তে অভিনব কৌশল প্রার্থীর। মাঠে নেমে কাস্তে হাতে সোনালী পাকা ধান কাটলেন প্রার্থী। শুধু তাই নয় এই ধান কাটার কাজে হাত লাগলেন অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরাও।

তবে অবশ্য এই কাজকে তেমন গুরুত্ব দেননি প্রার্থী। তিনি বলেন, তিনি একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। আর যেহেতু এই গ্রীষ্মের সময়ে মানুষকে রোদে থেকে মাঠে কাজ করতে হয় তাই তাদেরকে সাহায্য করা। প্রচারে বেরিয়ে তপ্ত দুপুরে প্রার্থীর এহেন ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Farmers Crisis: বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিভ্রাট, টাকা দিয়েও অতান্তরে কৃষকরা! ব্যাঘাত চাষের কাজে

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত। বিভিন্ন সবজি, ফুল, ফল চাষের পাশাপাশি এই জেলায় ব্যাপক পরিমাণে ধান চাষ হয়। বর্তমানে অনেকে নতুন চাষের সঙ্গে যুক্ত হলেও ধান চাষের পরিমাণ সবথেকে বেশি। পূর্ব বর্ধমানের অন্যতম একটি জায়গা হল পূর্বস্থলী। এই পূর্বস্থলীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাট চাষ হয়, সবজি চাষ হয়। তবে এখানে এইসকল চাষের পাশাপাশি ধান চাষও হয় বিপুল পরিমাণে। কিন্তু এবার পূর্বস্থলীর সেই ধান চাষিরাই পড়েছেন সমস্যায়।

পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের অন্তর্গত একটি গ্রাম হল কমলনগর। এই কমলনগর গ্রামের ধান চাষিরাই বর্তমানে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। ধান চাষের জন্য মূলত জলের প্রয়োজন হয়। সেই কারণে চাষিদের কথা মাথায় রেখে ২০১৬ সালে কমলনগর মৌজায় ‘জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর’-এর অধীনে নদী জল উত্তোলন প্রকল্প চালু করা হয়। যেখানে দুটি সাবমার্সিবেল থেকে অল্প খরচে চাষের জল পেতেন চাষিরা। কিন্তু প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সেই সাবমার্সিবল। তাই এখন বাধ্য হয়ে বেশি দামে জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে তাঁদের।

আর‌ও পড়ুন: গাছে পেরেক দিয়ে ভোটের ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো ঠেকাতে এগিয়ে এলেন ‘ওঁরা’

এই প্রসঙ্গে এক স্থানীয় চাষিবলেন, এখানে জলের জন্য বিঘা প্রতি দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হত। আমরা টাকাও দিতাম। তখন শাসকদলের লোকেরা একটি কমিটি তৈরি করেছিল। তারাই সেই টাকাটা নিত। চাষিরা টাকা দেওয়ার ফলে চাষ হত, দুটো সিজেন চাষও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বিদ্যুৎ দফতর বলছে বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার কারণে আর জল দেওয়া হবে না। বিল দিলে তবেই জল দেওয়া হবে। সেই থেকে এখনও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সাবমার্সিবেল।

তবে চাষিদের দাবি, তাঁরা চাষের জন্য টাকা দিতেন। শাসক দলের নেতৃত্বে একটি স্থানীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিকেই তাঁরা নিয়মিত টাকা দিতেন। তবে টাকা দেওয়ার কোনও রসিদ নেই চাষিদের কাছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল জমা না পড়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। সেই থেকে শুধুমাত্র বিল না জমা হওয়ার কারণে আজও বন্ধ রয়েছে এই প্রকল্প। চাষিদের কথায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিল বাকি রয়েছে কমলনগর এলাকার এই দুটি সাবমার্সিবেলের। আর সেই কারণেই বিদ্যুৎ দফতর কেটেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

আর‌ও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরছে চাকা, ফ্লেক্স-ব্যানার ফেলে কার্টুন-ছড়ায় ভরছে এই কেন্দ্রের দেওয়াল

সেই সময় থেকে ধান চাষের মরশুমে জল না পেয়ে, অধিক পয়সা খরচ করে জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে কমলনগর এলাকার চাষিদের। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন স্থানীয় তাঁরা। শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য ঝন্টু ঘোষ বলেন, চাষিরা বিল মেটায়নি বলেই বিদ্যুৎ দফতর থেকে লাইন কাটা হয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

হিমঘরের বন্ড নিতে গিয়ে নর্দমায় আলু চাষিরা! ভাইরাল ভিডিও

জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর কোল্ড স্টোরেজে আলু চাষীদের বন্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর হিম ঘরে আলু রাখাকে কেন্দ্র করে একাধিক বার জলপাইগুড়ির বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে ছড়িয়ে ছিল অশান্তি।

এবারও একই পথে এগোচ্ছে ব্যাপারটা, আশঙ্কা আলু রাখার বন্ড নিতে আসা চাষিদের মধ্যে। যদিও এই প্রসঙ্গে বাহাদুর কোল্ড স্টোরেজে ম্যানেজার শংকর পালও প্রায় এক মত।

আরও পড়ুন- তছনছ গোটা বাড়ি, অথচ ঘুম ভাঙলই না কারও! জলপাইগুড়িতে আতঙ্ক

বন্ড প্রদান প্রসঙ্গে তিনি জানান, ৫ লক্ষ ৭১ হাজার প্যাকেট রাখার ক্ষমতা রয়েছে এই হিম ঘরে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভর্তি রয়েছে, যদিও মার্চ মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বন্ড বিলি করার কথা, তবে প্রতিদিন যে ভাবে আলু চাষীদের ভিড় বাড়ছে তাতে এটা বলা সম্ভব নয় ঠিক কত দিন এই প্রক্রিয়া চালু রাখা যাবে।

ভোর থেকেই কোল্ড স্টোরেজের সামনে ভিড় ঠেলে লাইনে দাড়িয়ে থাকা মহিলাদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এক বার লাইন এগিয়ে যাচ্ছে, আবার পেছনে চলে আসছি আমরা।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে, লাইনে দাড়িয়ে থাকা আলু চাষীদের মধ্যে এতটাই চাপ যে আচমকাই বেশ কিছু আলু চাষী হুড়মুড়িয়ে নর্দমায় পড়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- পোস্ট অফিসের দারুণ সুবিধা এবার! বাড়িতেই থাকুন, পোস্টম্যান নিয়ে যাবে পার্সেল

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার বন্ড বিলি নিয়ে সৃষ্টি অরাজকতা থামাতে খবর পেয়েই ছুটে যান কোতোয়ালি থানার আই সি সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সুরজিৎ দে

Agriculture News: এইভাবে সর্ষে চাষ করুন, টাকা উপচে পড়বে আপনার পকেটে

নদিয়া: তৈলবীজ হিসেবে সর্ষে চাষে নানান সমস্যা দেখা যায়। তবে এবার থেকে নিমেষেই সমাধান হয়ে যাবে সর্ষে চাষের যাবতীয় সমস্যার। এই বিষয়ে শান্তিপুর ব্লকের কৃষকদের নিয়ে এগ্রিকালচার বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজিত হল।

আরও পড়ুন: বন্যার হাত থেকে বাঁচতে আগেভাগেই শুরু হবে কাজ

বাদাম, সূর্যমুখী ফুল, ধানের তুষ, সয়াবিন, নানারকম ফল, ফুল থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদিত হলেও বিভিন্ন তৈলবীজের মধ্যে সর্ষেই এখানে প্রধানতম। পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার জনপ্রিয় শীতকালীন ফসল হল সর্ষে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই শীতের শুরুতে মাঠ ঢেকে যায় হলুদ সর্ষে ফুলে। অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রম ও খরচে দ্রুত পাওয়া যায় ফসল। তাই রাজ্যে প্রতি বছরই বাড়ছে সর্ষে চাষ। নিয়ম মেনে চাষ করলে পাওয়া যেতে পারে কিছু বাড়তি ফলন। সঙ্গে রোগ, পোকার আক্রমণের উপসর্গ ও প্রতিকার জানা থাকলে আরও সহজে সাফল্য মিলবে সর্ষে চাষে।

রাজ্যে টোরি, শ্বেত এবং রাই এই তিন ধরনের সর্ষে বহুল পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এই চাষে সম্প্রতি গোড়া পচে যাওয়া, বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। সেই সমস্যা সমাধানে শান্তিপুর নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালমাট এলাকায় শতাধিক সর্ষে চাষিদের নিয়ে বিশেষ এক আলোচনা সভা আয়োজন করে শান্তিপুর ব্লকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ এগ্রিকালচার সুসময় কুন্ডু। নদিয়া জেলার অন্যতম উদ্ভিদ রোগ তত্ত্ববিদ ডক্টর কুণাল মিত্র এদিন কৃষকদের নানান সমস্যার কথা শুনে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ডক্টর মিত্র বলেন, আগে জৈবভাবে ষ চাষ হত। একটি চাষ উঠে যাওয়ার পর জমিতে চুন ফেলে রাখা হত অম্লত্ব কাটানোর জন্য। কিন্তু এখন একটি চাষের পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অপর চাষ শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে ব্যাপক রাসায়নিক সারের প্রয়োগে জমি স্বাভাবিকত্ব হারাচ্ছে। ফলে সুদূরপ্রসারী চাষ করতে হলে প্রথমেই বাঁচাতে হবে চাষের মাটিকে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করিয়ে মাটি উপযুক্ত করতে হবে, তবেই ভাল ফসল এবং রোগ-পোকার আক্রমনের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। কৃষকরা জানিয়েছেন এই আলোচনার ফলে তাঁরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন।

মৈনাক দেবনাথ

Bengali News: বন্ধ্যা লালমাটির দেশ হয়ে উঠছে সবুজ, মাটির সৃষ্টি’র হাত ধরে আয় বাড়ছে কৃষকদের

বীরভূম: এতদিন কোথাও জলের অভাবে, কোথাও আবার জমি অনুর্বর থাকার কারণে চাষ হয়নি। তবে কৃষি দফতর মাটির সৃষ্টি প্রকল্প চালু করতেই এক বছরে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। জেলায় এক বছরে প্রায় ২৭০ হেক্টর বন্য জমিকে নতুন করে চাষযোগ্য করে তোলা গিছে। কোথাও আবার এক ফসলি জমি দু’ফসলি হয়েছে। বিকল্প হিসাবে বাদাম, ভুট্টা চাষের দিকেও ঝুঁকছেন চাষিরাও।

আরও পড়ুন: সাগরে বইছে খুশির জোয়ার, রাতারাতি ১৯১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন

বীরভূম জেলায় কৃষিকাজের এই ভোল বদলকে সাফল্য হিসাবেই দেখছে কৃষি দফতর। দফতরের আধিকারিকদের মতে, অনুর্বর জমিতে প্রযুক্তির সাহায্যে বিকল্প পথে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ বলেন, আমরা ক্লাস্টার তৈরি করেছিলাম।সেখানে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে অনুর্বর জমিগুলোকে চাষের জমিতে রূপান্তরিত করা যায় সেই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তাতে অনেকটাই সাফল্য এসেছে। বিকল্প চাষ করে চাষিরা। লাভবান হচ্ছেন। তার অন্যতম উদাহরণ রাজনগরের বিপুল এলাকাজুড়ে ভুট্টা চাষের বিষয়টি। আগামীতে বৃহত্তর এলাকায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে কৃষি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে ১৬ টি ব্লকে ৩৮ টি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১৮ টি ব্লকে করা হয়। সেখানে কোথাও ৪০ হেক্টর, কোথাও ৫০ হেক্টর জমিকে ক্লাস্টার তৈরি করে চাষ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে কলাই ও বাদাম চাষের উপযোগী জমি এই প্রকল্পে তৈরি করা গিয়েছে। এই যেমন রাজনগরের ব্লককে খরা প্রবণ এলাকা হিসেবে চেনা যায়। ধানের বিকল্প হিসেবে এখানে ভুট্টা, অরহর, বাদাম চাষ হয়েছে। সিশেল ফার্মের দিকে প্রথমবার শুষ্ক জমিতে ভুট্টার ব্যাপক ফলন হয়েছে। তা বিক্রি করে ৬৮ হাজার ১৬০ টাকা পেয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অথচ এই জমিতে চাষ সম্ভব এটা এতদিন কেউ ভাবতেই পারেনি। এছাড়া লাভপুরে নদীর ধারে নাগপুরের কমলালেবু চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি মুসাম্বি লেবু, পেয়ারা, কলা, বেদানা চাষ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাঙামাটির পতিত জমি ধীরে ধীরে শস্য শ্যামলা হয়ে উঠছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই প্রকল্পের প্রধান দুটি লক্ষ্য- এক, দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক থাকা জমিকে সবুজ করে তোলা। দুই, এলাকার চাষিদের বিকল্প চাষের মাধ্যমে উপার্জনের পথ খুলে দেওয়া। এর ফলে যেসব জমিতে একেবারে চাষ হয় না সেগুলি চাষ উপযোগী হয়ে যায়। এর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর একযোগে জলের বন্দোবস্ত করা থেকে শুরু করে সবই করে থাকছে। শেষ এক বছরে ১৩ হাজার চাষিকে ডাল শস্য, বীজ বিই করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার বিষয়টিও আছে।

সৌভিক রায়

Bengali News: কুল বাঁচানোর জালে আটকা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে পাখি

হুগলি: চাষের ফসল বাঁচতে গিয়ে এ কী অমানবিক ঘটনা! গোটা চাষের বাগান ঘিরে ফেলা হয়েছে নাইলনের জল দিয়ে। যার কারণে প্রতিদিন মারা পড়ছে পাখি। এমনই অমানবিক ছবি ধরা পড়েছে চুঁচুড়া বিধানসভার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের কেষ্টপুর এলাকায়। এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন: মাছ চাষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম! চমক সেই নন্দীগ্রামে

দেবানন্দপুর এলাকার একটি ইটভাটার পাশের জমিতে কয়েক কাঠা জমিজুড়ে চাষ‌ করা হয়েছে নারকেল কুল। বেশ ভাল ফলনও হয়েছে। সেই কুল বাঁচাতে গিয়ে পুরো জমি ঢেকে দেওয়া হয়েছে নাইলনের জাল দিয়ে। ফলে রোজ‌ই সেখানে কুল খেতে এসে আটকা পড়ছে নানান প্রজাতির পাখি।

এই ঘটনায় অত্যন্ত বিচলিত পশুপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য ফসল বাঁচাতে গিয়ে এই পরিবেশেরই অংশ পাখির মৃত্যু ডেকে আনা মোটেও কাম্য নয়। এই বিষয়ে জমির মালিককে ফোন করলে তিনি বলেন, ফলন বাঁচানোর জন্যই এই জাল পাতা হয়েছে, পাখি অবশ্য মরেনি। পাখি ভিতরে আটকে গেলে আমরা ছাড়িয়ে দিই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3

এ বিষয়ে পশুপ্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট শিং জানান, নারেল কুল চাষিরা তাঁদের ফসল বাঁচানোর জন্য জল বিছিয়ে রেখেছেন যাতে পাখিরা তা খেতে না পারে। কিন্তু সেই জালে আটকে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য পাখি। তাই প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, অবিলম্বে এই জাল খুলে দিয়ে পাখিগুলিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।

রাহী হালদার