দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইলিশ ধরার মরশুমের একেবারে শেষে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আসায় তার প্রভাব পড়তে চলেছে মৎস্যজীবীদের উপর। এই বছর মাছ জালে সেভাবে আসেনি। বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাধা পেয়েছে ইলিশ ধরার কাজ।
শেষ একমাসে ইলিশ ধরার জন্য মরিয়া প্রয়াস শুরু করেছিল মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র সতর্কীকরণের পর ফিরতে হয়েছে সকল মৎস্যজীবীদের। ‘ডানা’র প্রভাব কেটে আবারও সমুদ্রে যেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
ততদিনে শীত পড়তে শুরু করবে, ফলে কার্যত শেষ হয়ে যাবে ইলিশ ধরার মরশুম। সেজন্য অধিকাংশ মৎস্যজীবীই এবছরের মত ইলিশের আশা ছাড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এই নিয়ে মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অলোক হালদার জানিয়েছেন, জালে ভাল ইলিশ না পড়ায় ক্ষতি হয়েছে। খুব বড় ধরণের মির্যাকেল না ঘটলে এবছর আর ইলিশ আসার সম্ভাবনা নেই। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে গত ২ বছরের থেকে এবছর মাছ অনেকটাই কম এসেছে।
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
২০২২ সালে ১৩ হাজার মেট্রিক টন, ২০২৩ সালে ১১ হাজার মেট্রিক টন মাছ আসলেও এবছর সেই পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে। ফলে এবছর ইলিশ ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়েছে তা স্বীকার করছেন মৎস্যজীবীরা।
নবাব মল্লিক