রাস্তার ধারে ধোসা বিক্রি করে আয় দশ হাজার টাকা

Success Story: ধোসা বিক্রি করে আয় দিনে দশ হাজার টাকা, সফলতার অনন্য নজির অন্ধপ্রদেশের নরাসাম্মার

কুটাগুল্লা: মানুষ জীবনধারণের জন্য কত রকম ভাবে লড়াই করে৷ জীবিকা অর্জনের জন্য কত লড়াই চলে৷ কেউ তাতে সফল হয়, কেউ বা ব্যর্থ৷ জীবন যুদ্ধে এমনই এক সাফল্যের গল্প বুনে চলছে অন্ধপ্রদেশের কুটাগুল্লা প্রদেশ৷ কাদিরি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দরে এই দূরে এই প্রদেশ৷ সেখানে নরাসাম্মা নামের একজন মহিলা প্রায় এক দশক ধরে ধোসা তৈরি করছে৷

অনন্তপুরমের কাদিরির প্রধান সড়কের পাশে একটা ছোট্ট কুড়েঘরে চলে ধোসা বানানোর কাজ৷ মাত্র পঁচিশ টাকায় সেখানে ডিম ধোসা, দশ টাকায় প্লেন দোসা ও কুড়ি টাকায় মশলা ধোসা পাওয়া যায়৷

আরও পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই চোখে ছিল ইউপিএসসির স্বপ্ন, দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় সলিল সমাধি স্বপ্নের, হাহাকার তানিয়ার পিতার

কিন্তু দোকানের আয় শুনলে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাওয়ার কথা৷ স্থানীয় সূত্রে খবর এই দোকানের প্রতিদিনের আয় হয় প্রায় দশ হাজার টাকা৷ কথাটা অবিশ্বাসও হলেও সত্যি৷

এই ডিমের ধোসাই সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু৷ এই দোসাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়ও বটে৷ তিনি প্রতিদিন চাল, উরদ ডাল ভিজিয়ে ও পিষে সারারাত রেখে দেন৷ তার পর ধোসা তৈরি করা হয়৷ ধোসার চাটনি, ডাল, সাম্বার ও চাটনির সহযোগে ধোসা পরিবেশন করা হয়৷

আরও পড়ুন: নিহত রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ১ ভারতীয়, মৃতদেহকে দেশে ফেরানোর আর্জি মৃতের পরিবারের

এখন নানাভাবে, নানা পদ্ধতিতে ধোসা তৈরি হলেও এই প্রথাজনক ভাবে এই ধোসাই সাধারণ মানুষের বেশি পছন্দ৷ তাঁর হাতের অসাধারণ স্বাদই এই ধোসার ইউ এসপি৷

তাঁকে পরিবারের সকলেই সাহায্য করেন৷ এত বেশি আয়ের পরও কিন্তু সেই দোকানের কাঠামোর দৃশ্যগত কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ দিনে দশ হাজার! তিরিশ দিনে আয় দাঁড়ায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা৷

কেবলমাত্র নিজের পেশার প্রতি ভালবাসায়, আন্তরিকতায় একজন কতখানি সফল হতে পারেন নরাসাম্মা তাঁর জলন্ত উদাহরণ৷