ঢাকা: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অশান্তির আঁচ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই অবস্থায় ভারতীয় পড়ুয়া এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা জারি করল বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন।
বাংলাদেশের পাঁচ শহরে ভারতের তরফ থেকে পাঁচটি হেল্পলাইনও চালু করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হযেছে৷ যে কোনও প্রয়োজনে হেল্পলাইনের দ্বারা বাংলাদেশ ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন
বৃহস্পতিবারই জারি করা নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় ও শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ভিতর ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন৷ বাড়ির বাইরেও বেশি ক্ষণ থাকবেন না। যে কোনও জরুরি অবস্থায় বা সাহায্যের দরকার হলে অনুগ্রহ করে নিম্নোক্ত নম্বরগুলির সাহায্যে আমাদের হাই কমিশন এবং সহকারী হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷’’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বর্তমান কোটা পদ্ধতিতে সরকারি চাকরির জন্য ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে৷ যার মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, ১০ শতাংশ অনগ্রসর প্রশাসনিক জেলাগুলির জন্য, ১০ শতাংশ মহিলাদের জন্য, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য এবং এক শতাংশ আসন প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৪০০,০০০ স্নাতকদের জন্য কমবেশি ৩,০০০ পদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয়। সরকারি চাকুরিতে এই সংরক্ষণ তোলার দাবিতেই উত্তাল হয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী রাজ্য৷
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, এই আন্দোলনে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে চারজন ছাত্র এবং বাকি দুইজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। রাজধানী ঢাকায় দু’জন, বন্দর নগর চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র।
ক্রমবর্ধমান অশান্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার সেখানের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আবাসিক-পড়ুয়াদের হস্টেল ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
এইবার ভারত সরকারও ওপারে বসবাসকারী ভারতীয়দের ও পড়ুয়াদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে দিল৷