বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলে না জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে

South 24 Parganas News: সন্ধে হতেই আতঙ্ক! বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলে না জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ম্যানগ্রোভে জঙ্গল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতি পদে বাঘের আতঙ্ক তাড়া করে। সেই গ্রামের রাস্তাতে বাতীস্তম্ভ আছে। কিন্তু অভিযোগ আলো জ্বলে না। ফলে সন্ধ্যা নামতেই গেটা গ্রাম চলে যায় অন্ধকারের আড়ালে। রাস্তায় বেরনো দায় হয়ে ‌যায়, গ্রামবাসীদের গ্রাস করে থাকে আতঙ্ক । কুলতলী ব্লকের মৈপীঠ এলাকার জনপদের চিত্রটা একই। সূর্য ডোবার পর জঙ্গল ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায়। গ্রামও ডুবে থাকে নিকষ আঁধারে। সেই অন্ধকারের সুযোগই নেয় বাঘ। অবস্থা শোচনীয় হলেও সমাধান অধরা। এমনকী প্রশাসনও পড়ে রয়েছে আঁধারে।

আরও পড়ুন: খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা! সুন্দরবনে হাহুতাশ মৎস্যজীবীদের

গুড়গুড়িয়া-ভূবনেশ্বরী স্থানীয় পঞ্চায়েতের সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আলো বসানোর পর বিদ্যুতের বিল মেটানো খুব ব্যয়সাধ্য। পঞ্চায়েতের পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমরা বিকল্প হিসাবে সৌর বিদ্যুৎ তের কথা ভাবছি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিদুৎবণ্টন সংস্থার এক অধিকারিক বলেন, পঞ্চায়েত থেকেই আলোর ব্যবস্থা করা উচিত। মৈপীঠের কোনও পঞ্চায়েতই এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কাছে আবেদন করেনি। মৈপীঠের পেটকুলাচাঁদ ব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব গুড়গুড়িয়া গ্রাম। সেই গ্রামে মাঝেমধ্যে বাযের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এর জন্য মাঝে মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এই বাঁধের রাস্তা থেকে কিছুদূর এগলেই রয়েছে কংক্রিটের রাস্তা। সে রাস্তায় বিদ্যুতের পোস্ট রয়েছে আলো জলে না। এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা মৎস্যজীবী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাঁরা বলেন, পোষ্টে আলো না থাকায় অবশে সন্ধ্যার পর কেউ রাস্তায় যান না। খুব জরুরি কাজেও ঘরবন্দি থাকতে হয়। খুব বিপদে পড়লে মানুষ টচ লাইট, মোমবাতি নিয়ে বেরন।ঘন অন্ধকার থাকায় গোটা রাত কাটে ভয়ে। যে কোনও সময় বাঘ লোকালয়ে ঢুকে আক্রমণ চালাতে পারে। এই আতষ্ক তাড়া করে সবাইকে।

সুমন সাহা