নদিয়া: কাঠবিড়ালি! কাঠবিড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও? গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু খাও? -কবি নজরুল ইসলামের এই কবিতা সকলেরই জানা। তবে বিভিন্ন রকম খাবার এখনও কাঠবিড়ালি খায় কিনা তা খুকিই জানে। তবে কাঠবিড়ালিকেই ধরে, খেয়ে নিচ্ছে মানুষ তাই আজ তারা লুপ্তপ্রায় সংরক্ষণের আওতায়।
কিন্তু তাতেও কি শান্তি আছে খিদের জ্বালায় নয় অর্থের লোভেই লুকিয়ে চুরিয়ে প্রতিদিন কাঠবিড়ালিকে মেরে তার লোমশ চামড়া বিক্রি করে মিলছে মোটা টাকা আর সেই লোভে বনে বনে ঘুরছে ভিন রাজ্য-সহ এ রাজ্যেরও বেশ কিছু চোরাচালানকারী। তবে তাদের তো আর আলাদা দেখতে তো হয়না, বিভিন্ন ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত তারা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করে থাকেন।
ভিন রাজ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গ কাজ করতে আসা এইরকমই বেশ কিছু শ্রমিকদের হাতে মৃত্যু হচ্ছে বিলুপ্ত প্রজাতির কাঠবিড়ালির। খবরটা বিভিন্ন মারফত কানে গিয়েছিল বন দফতরের।সোমবার সকালে এই ধরণের তিনজন চোরা শিকারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন সচেতন পরিবেশ রক্ষাকারী গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্ট এর তারানগর এলাকায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিকরা, এলাকায় ঢুকে কাঠবিড়ালি শিকার করে নিয়ে যায়, তাই এলাকায় ধীরে ধীরে কাঠবিড়ালি কমে যাচ্ছে, এদিনও ওই এলাকায় কাঠবিড়ালি শিকার করতে গেলে হাতে নাতে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। এরপরই তাঁদের আটকে রেখে বন দফতর ও তেহট্ট থানায় খবর দেওয়া হয়,খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় তেহট্ট থানার পুলিশ, তাঁদের কাছ থেকে ৪-টে মৃত কাঠবিড়ালি ও শিকারের অস্ত্র উদ্ধার হয়, এরপরই পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। তবে সামান্য কিছু লাভের বিনিময়ে এ ধরনের কাজ ইটভাটা শ্রমিকরা করে থাকলেও এর পেছনে কোনও বড় মাথা কাজ করছে বা কোনও চক্র যুক্ত আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন এবং বন দফতরের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ।
Mainak Debnath