কলা চাষ করে অধিক অর্থ উপার্জন করছে চাষী রা

Agriculture Story: দিনে তিন হাজার টাকা উপার্জন, কম খরচের এই চাষেই হবে কামাল!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু কৃষকেরা সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে সাফল্য লাভ করেছেন। এই সমস্ত এলাকার কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে। তবে প্রথাগত চাষের পরিবর্তে বিকল্প চাষ করে তাঁরা আরও অধিক পরিমাণে লাভের মুখ দেখছেন। প্রথাগত উপায়ে ধান, আলু বা সবজি নয় বরং কলা চাষ করে লক্ষীলাভ করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা কৃষকরা।

আরও পড়ুনঃ বঙ্গের মাথায় নয়া পালক! তিন-তিনটে শাড়ি পেল জিআই ট্যাগ! জানুন কোনগুলি?

আর সেই সমস্ত জমি ও বাগানের উপরে কলার বাগান তৈরি করছেন। আর এই বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির কলা গাছ রোপণ করেছেন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন বাজারে এই ধরনের প্রজাতির কলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই কলা চাষের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন। যা অন্য ধরনের ফসল চাষ করে উপার্জন করতে পারেনা বলে জানাচ্ছেন এই কলা চাষ কলা চাষিরা। কার্যত এই কারণেই এই বিকল্প চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কলা চাষীরা।

এ প্রসঙ্গে এক কৃষকের কথা অনুযায়ী কলা এক বছরের ফসল। এক বিঘে জমিতি ৩৫০-৪০০ কলাগাছ লাগানো যায়। তিন বছর পরপর ফল পাওয়া যায়। দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারগুলির নির্দিষ্ট জীবিকার ব্যবস্থা করা যায়। তাঁরা নিজেরাই চাষ করে নিয়মিত আয় করবে, এমনই আমরা আশা করছি। রাজ্যের কলা উৎপাদনের অনেকটাই হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলায় দেশি পদ্ধতিতে যে কলা চাষ হয়, তাতে প্রতি কাঁদিতে ২০ কেজি মতো ফলন হয়। কিন্তু টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরি জি-৯ প্রজাতির কলায় উৎপাদন হয় কাঁদি প্রতি প্রায় ৩৫ কেজি। হলুদ রঙের বড় আকারের এই কলার কাঁদির উপর থেকে নীচ পর্যন্ত প্রতিটিই আকারে এক রকম। ফলে বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। এখন বিভিন্ন শপিং মলেও এখন এই কলা বিক্রি হচ্ছে।

সুমন সাহা