টোটো বা ই-রিক্সার  ছবি

টোটো আর যেমন খুশি চলতে পারবে না! আসছে বড় নিয়ম, প্রশাসনের বিরাট সিদ্ধান্ত

হুগলি: যেমন খুশি তেমন আর চালানো যাবে না টোটো! নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে তেকে চালাতে হবে ই-রিস্কা। রাজ্য পরিবহন দফতরের তরফে বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবার।

রাস্তায় অবাঞ্ছিত যানজট এড়ানোর জন্য এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশনের মধ্যে দিয়েই এবার চলাচল করতে হবে টোটো চালকদের। এমনই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে টোটোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার নিয়ম কানুন

লাস্ট লাইন ভেইকেল হিসেবে টোটো বা ই-রিকশাকে নিয়ে আসা হয়েছিল গণপরিবহনের অংশ করার জন্য। মূলত মূল রাস্তা থেকে একেবারে নিত্যযাত্রীদের বাড়ির দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্যই টোটোকে নিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুন- মুহূর্তে সব শেষ…! স্ত্রী ও ৫ বছরের মেয়েকে খুন করে নিজেকে শেষ করে দিল যুবক

বাজারের টোটো আসার পরেই বহু বেকার যুবক নিজেদের কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছে টোটো চালক হিসেবে। তবে বর্তমান সময়ে যে হারে টোটোর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা না থাকার জন্য রাস্তায় যেভাবে যানজট তৈরি হচ্ছে তার থেকে নিষ্কৃতি পেতেই এই নতুন নির্দেশিকা আনতে চলেছে রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর।

এই বিষয়ে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, প্রায় ১০ লক্ষ টোটো রয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। নির্দিষ্ট রুট পারমিট না থাকার জন্য টোটোকে কন্ট্রোল করা কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবহন দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে অবাঞ্ছিত টোটোর ভিড়ের কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাস চালক থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স চালক সকলকেই।

সেই কারণে রাজ্য সরকার স্থানীয় পৌরসভা পঞ্চায়েত ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ নিয়ম আনতে চলেছে। যেখানে প্রতি টোটো চালককে একটি রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে গাড়ি চালানোর জন্য। এর ফলে অবাঞ্ছিত রাস্তা জুড়ে টোটোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যেতে যাবে।

আরও পড়ুন- RG Kar Hospital: রামপুরহাট হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ, বিপাকে রোগীরা

পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় এক ব্যক্তি অনেক টোটো কিনে বাজারে ভাড়া খাটাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তার প্রযোজ্য হবে না। এক ব্যক্তির একটি টোটো থাকতে পারে।

মূলত গরিব ও বেকার যুবকদের জন্যই এই টোটোর চালানোর ব্যবস্থা, যাতে কোনও টোটো চালকের কাজ না যায়, সেদিকেও নজর রাখবে প্রশাসন। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের মতো ব্যস্ততম রাস্তায় যেন টোটো কোনোভাবেই না চলে সে দিকে নজর দেওয়া হবে।

জাতীয় সড়কে টোটো চলার ফলে নিত্যদিন বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনা। তাই হাইওয়েতে টোটো যাতে কোনওভাবেই না উঠতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হবে। বিভিন্ন পকেট রুটে একমাত্র চলবে টোটো।

একই সঙ্গে যে কোনও বয়সী লোক এই টোটো চালানোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যেই চালকরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।

রাহী হালদার