ঘটনাস্থলের ছবি

Bangla News: নয়নজুলি বুজিয়ে তৈরি হয়েছিল দোকান! অবৈধ নির্মাণ সরাতে উদ্যোগী পুরসভা

হুগলি: নয়ানজুলির উপর পাকা নির্মান করে তৈরি হয়েছে হোটেল বাধা পাচ্ছে নিকাশি। মুখ্যমন্ত্রী বলার পর একের পর এক জবর দখল খুঁজে পাচ্ছে পুরসভা! বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকার দিল্লিরোডের ধারে নয়ানজুলির উপর তৈরি হয়েছে হোটেল, আবার কোনওটার কাজ শুরু হয়েছে সবে। পাকা নির্মান করতে জল নিকাশির জন্য সরু পাইপ বসিয়ে তার উপর মাটি ফেলে নয়ানজুলি বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে বাধা পাচ্ছে নিকাশি।রাস্তার পাশে এভাবে পূর্ত দপ্তরের জায়গা বেআইনি ভাবে জবর দখল হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিকাশি সমস্যায় পড়েছে।

এ দিন পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নোডাল ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসাররা ১১ নম্বর ওয়ার্ড দিল্লি রোডের পাশের সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। হোটেল তৈরি হয়েছে সরকারি জায়গায় কোনও অনুমতি ছাড়াই তা দেখে অবাক তারা। পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুন্ডু বলেন, বৈদ্যবাটি শহরের দেড় লক্ষ মানুষের বাস। বেআইনি দখলের ফলে নিকাশি বন্ধ হয়ে মানুষের অসুবিধা হয়। দিল্লি রোড জিটি রোডের পাশে এ ধরনের দখল অনেক আছে। আমরা সেগুলো চিহ্নিত করছি। যারা বেআইনি দখল করে আছে তাদের নোটিশ করব। পূর্ত দফতরকেও জানাব। বর্ষার সময় নর্দমা পরিষ্কার করার পরও দেখা যাচ্ছে জল জমে থাকছে। কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেল রাস্তার পাশের নয়ানজুলি নিকাশি বন্ধ করে বিআইনি নির্মান হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন নাভিতে লাগান এই তেল, সামান্য মালিশই বদলে দেবে জীবন! খোঁজ পেতে পারেন সৌন্দর্যের খনির

হোটেলের মালিক সঞ্জু সরদার মেনে নেন নিয়ম না মেনেই নির্মান করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ পুরসভা থেকে আধিকারিকরা এসে দেখে গিয়েছেন। পূর্ত দফতরের জায়গায় হোটেল করেছিলাম। এখন পুরসভা যা বলবে সেটাই করব। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, আমরা দায়িত্ব দিয়েছি আধিকারীকদের এই বিষয়গুলোকে খুঁজে বার করার। আমরা অনেক মৌখিক অভিযোগ পাচ্ছি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমরাও দেখতে পাচ্ছি ইদানিং এই ধরনের বেআইনি কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন জবর দখল চলবে না তাই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা নয়ানজুলি বন্ধ করেছেন তাদের নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ ও পূর্ত দফতরকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ হবে। নয়নজুলির উপর দিয়ে কেউ রাস্তা করলে হিউম পাইপ বসিয়ে করা যাবে না। কালভার্ট করে রাস্তা করতে হবে।

রাহী হালদার