কলকাতা: নীতি আয়োগের বৈঠকে আজ যা হয়েছে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল। সূত্রের খবর এই নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে সোমবার থেকেই সোচ্চার হবে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা অধিবেশনেও এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বিরোধীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সংবিধানে বলা আছে বিরোধীদের বলতে দিতে হবে। আজ কি হল এটা? এই সব কি হচ্ছে? সংবিধানে বলা আছে বিরোধীদের মর্যাদা দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন:বাংলা ভাগের দাবির বিরুদ্ধে সংসদেই সরব হতে হবে! দলের সাংসদদের নির্দেশ মমতার
এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক। আসলে ওরা চায় না নীতি আয়োগ ঠিক করে কাজ করুক৷ যদি সঠিক ভাবে কাজ করতে চাইত তাহলে এই রকম অসম্মান করত না।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওঁদের বুঝতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোয় এই ভাবে ব্যবহার করা যায় না। ওঁরা সংবিধান সম্মতভাবে কাজ করছেন না। বাজেটে অনেক টাকা অ্যালট করার কথা বলা হয়। কিন্তু টাকা দেওয়া হয় না। ওঁরা বলুক ওঁদের কোন স্কিম রাজ্যে ইমপ্লিমেন্ট হচ্ছে না!’’
আরও পড়ুন:বিধায়ক হয়েও পড়াশোনা ইতি নয়, বিধানসভা থেকেই পরীক্ষা দিতে ছুটলেন মধুপর্ণা
আয়ুষ্মান ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্যসাথী আয়ুষ্মানের আগে থেকেই রয়েছে৷ কেন্দ্র আমাদের কথা বলতে দিচ্ছেন না। আবাসের শেয়ারের টাকা অবধি দিচ্ছে না। বাংলার প্রতি বঞ্চনা হচ্ছে৷ আমরা সেই নিয়ে লড়াই চালাচ্ছি৷ তাই আমরা ২২ থেকে ২৯ হয়েছি। আর ওরা ১৮ থেকে ১২ হল। ’’
প্রসঙ্গত ,বক্তব্য রাখতে শুরু করার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাইক বন্ধ করার অভিযোগ তুলেই নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁর আগে বক্তব্য রাখা অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷
কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ মমতা জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত অপমানিত৷ ভবিষ্যতে আর কোনও দিন নীতি আয়োগ বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানান তিনি৷