দার্জিলিং: পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ে নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলে জাঁকজমকের সাথে দুর্গাপূজার আয়োজন। বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই দুর্গাপুজো বরাবরই সকলের মনে আলাদা করে দাগ কাটে। পাহাড়ের কোলে সকল জাতিধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজিত এই দুর্গা পুজোয় কোনও কিছুর খামতি থাকে না।
জানা যায়, বহু আগে শিলিগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে চেপে মা দুর্গা আসতেন এই নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলে তবে যুগের সঙ্গে বর্তমানে তা পরিবর্তন হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেএনমিত্র রোড চাঁদমারিতে অবস্থিত নৃপেন্দ্র নারায়ন হিন্দু হলে ধুমধাম করে আয়োজিত এই দুর্গা পুজোয় ঢাকের আওয়াজ শঙ্খ ধ্বনিতে মেতে উঠে গোটা পাহাড় সঙ্গে চলে গান আড্ডা ধুনুচি নাচ।
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পুরস্কার পেলেন ভারতীয় পেসার! সোজা পুলিশের ডিএসপি, সঙ্গে বিশাল জমি
দার্জিলিং-এর বহু পুরনো এবং বহু চর্চিত এই পুজো দেখতে প্রত্যেক বছরই দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ছুটে আসেন শৈল শহরে। স্বাধীনতার বহু পূর্বে ১৯৩০ সালে এই হল প্রতিষ্ঠিত হয়। আরও জানা যায় ঐতিহ্যবাহী এই নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলে স্বাধীনতার পূর্বে ভাষণ দিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, চিত্তরঞ্জন থেকে শুরু করে নিবেদিতা। জানা যায় দার্জিলিংয়ের এই চাঁদমারিতে বেশিরভাগ বাঙালির বসবাস ছিল , বর্তমানে সংখ্যা কমলেও যে কয়টি পরিবার রয়েছে তারা মিলেই এই পুজোর আয়োজন করেন।
ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো এর নিয়মনিষ্ঠার কোন খামতি থাকে না। এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভাশিস সেনগুপ্ত বলেন, “সাবেকিয়ানায় ধুমধাম করে বহু বছর থেকে এই পুজো আয়োজিত হয়ে আসছে। এবছর ১১০ বছরে পদার্পণ করল নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলের দুর্গাপুজো। সন্ধ্যা আরতি থেকে শুরু করে ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কোনও কিছুরই খামতি থাকে না এই পুজোয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে এই পুজোয় আনন্দ করেন মানুষ।
দার্জিলিং এর বুকে বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলের এই দুর্গাপুজোয় আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হল মা দুর্গার প্রতিমাকে কাঁধে নিয়ে পুরো দার্জিলিং শহর ঘোরানো হয়, পুরনো এই ঐতিহ্য দার্জিলিং শহরের বুকে আজও হয়ে আসছে। দুর্গাপুজোয় দার্জিলিং গেলে নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলের পুজো না দেখলেই বড় মিস। এই জায়গায় কিছুটা সময় কাটালে মন ভরে যাবে আপনার।