টাকায় ভরে যাবে সিন্দুক, সম্পর্কও হবে মজবুত! ঘরে আনুন এই ৭টি মূর্তি

কলকাতা: প্রায়শই মানুষ নিজেদের ঘর সাজানোর জন্য নানা ধরনের মূর্তি রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে, এই মূর্তিগুলি বাড়িতে রাখা কি আদৌ ভাল?

আসলে এর মধ্যে কোনও বাস্তু ত্রুটিও থাকতে পারে। অর্থাৎ ভুল মূর্তি ঘরে রাখলে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, বাস্তুশাস্ত্র মেনে কোন মূর্তি বাড়িতে রাখা শুভ। গয়া মন্ত্রালয় বৈদিক পাঠশালার পণ্ডিত রাজা আচার্য বলেন যে, বেশ কিছু মূর্তি বাড়িতে রাখলে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে।

হাতির মূর্তি:

ঘরে একটি হাতির মূর্তি রাখা যেতে পারে। হাতির মূর্তিটি রুপো বা পিতলের হওয়া উচিত। হাতি আসলে ঐশ্বর্যের প্রতীক। শোওয়ার ঘরে পিতলের মূর্তি রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মতভেদ দূর হয়। আর রুপোর হাতি রাখলে তো কথাই নেই।

আরও পড়ুন- গরমের জ্বালা জুড়োতে ওয়াটার পার্কে গিয়েও শান্তি নেই, পুলের জলে এ কী ভাসছে!

রাহু সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। ঘরে হাতির ছবি বা মূর্তি রাখলেও ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয় এবং সেই সঙ্গে সম্পদের উৎসও তৈরি হয়।

রাজহাঁসের মূর্তি

বাড়ির অতিথি কক্ষে একজোড়া রাজহাঁসের মূর্তি স্থাপন করা যেতে পারে। এতে প্রচুর ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়বে এবং ঘরে সর্বদা শান্তি বিরাজ করবে। এর পাশাপাশি বিবাহিত জীবনেও সম্প্রীতি বজায় থাকে।

কচ্ছপের মূর্তি

এই মূর্তি ঘরে রাখলে উন্নতির পাশাপাশি ধন-সম্পদেরও আগমন ঘটে। এতে আয়ুও বৃদ্ধি পায়। আর কচ্ছপের মূর্তি স্থাপনের জন্য পূর্ব ও উত্তর দিককেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ড্রয়িংরুমে একটি পাত্রে জল ভরেও কচ্ছপ রাখা যেতে পারে। তবে কচ্ছপের মূর্তি ধাতুরই হওয়া উচিত।

টিয়া পাখির মূর্তি:

বাস্তু অনুসারে, স্টাডি রুমে বা যেখানে বাচ্চারা পড়াশোনা করে, সেখানে একটি টিয়া পাখির মূর্তি বা ছবি রাখতে হবে। উত্তর দিকে টিয়াপাখির ছবি রাখলে পড়াশোনায় শিশুদের আগ্রহ বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। টিয়া পাখি আসলে প্রেম, আনুগত্য, দীর্ঘ জীবন এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

আরও পড়ুন- দার্জিলিং, নামটা শুনলেই মন ভাল হয়ে যায়! আপনি কি ‘দার্জিলিং’ শব্দের মানে জানেন?

বাড়িতে অশান্তি, হতাশা, দারিদ্র্য এবং সুখের অভাব দেখা দেয়, তাহলে ঘরে একটি টিয়া পাখির ছবি বা মূর্তি স্থাপন রাখা উচিত। ফেং শ্যুই অনুয়ায়ী, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক মজবুত করার জন্য একজোড়া টিয়া পাখি রাখা যেতে পারে।

মাছের মূর্তি:

অনেকেই বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখেন। তবে পিতল কিংবা রুপো দিয়ে মাছের মূর্তি তৈরি করে বাড়িতে রাখাই বেশি উপযুক্ত। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই মূর্তি ঘরে সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠা করে এবং উন্নতির পথ খুলে দেয়। মাছ সুস্বাস্থ্য, সুখ, সমৃদ্ধি, সম্পদ এবং শক্তির প্রতীক। মাছের এই মূর্তি বাড়ির উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে রাখা যেতে পারে।

গরু ও বাছুরের মূর্তি:

অনেকই বাড়িতে বাছুরকে স্তন্যদানরত কামধেনু গাভির পিতলের মূর্তি রাখেন। এই মূর্তি রাখলে সন্তান লাভের পাশাপাশি মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়। ফেং শ্যুইতেও এর গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বাড়িতেও এই মূর্তি স্থাপন করা যেতে পারে।

উটের মূর্তি

বাড়িতে উটের মূর্তি রাখারও প্রথা রয়েছে । ড্রয়িংরুম বা বসার ঘরে উত্তর-পশ্চিম দিকে একজোড়া উটের মূর্তি রাখা যেতে পারে। উট কঠোর পরিশ্রমের প্রতীক। কেরিয়ারের উন্নতির জন্য বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে উটের মূর্তি বা ছবি রাখা হয়। এটি মনকে স্থির রাখে ও সাফল্য প্রদান করে। পরিবারের সদস্যরা মানসিক ভাবে শক্তিশালী ও শান্ত থাকেন।