ব্যবসা-বাণিজ্য Savings Account সম্পর্কে এই জিনিসগুলো জেনে রাখুন, কখনও ঠকতে হবে না Gallery April 9, 2024 Bangla Digital Desk বাড়িতে টাকা রাখায় ঝুঁকি রয়েছে। চুরি যেতে পারে। সেভিংস অ্যাকাউন্টই ভরসা। শুধু টাকা রাখাই নয়, আর্থিক লেনদেনের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু সেভিংস অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে গ্রাহক জানেনই না। অর্থ লেনদেন: সেভিংস অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, গ্রাহক এখানে নির্ভাবনায় টাকা টাকা রাখতে পারেন। এই অ্যাকাউন্টে টাকা আসতে পারে। এবং কাউকে টাকা পাঠানোও যায়। যে কোনও বিলও সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। সরকারি ভর্তুকিও এই অ্যাকাউন্টে আসতে পারে। একাধিক পেমেন্ট বিকল্প: সেভিংস অ্যাকাউন্টের আরেকটা বড় সুবিধা হল, এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ প্রদান করা যায়। ডেবিট কার্ড, চেক এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা যেতে পারে। ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট থেকে লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যান গ্রাহক। ন্যূনতম ব্যালেন্স সুবিধা: সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকলে কিছু পেনাল্টি দিতে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিছু সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। জমা টাকায় মিলবে সুদ: সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা পরিমাণের উপর সুদ দেয় ব্যাঙ্ক। সুদের হার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন। বর্তমানে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৩ থেকে ৪ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সুদের হার পরিবর্তন করে ব্যাঙ্ক। ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক সুদ পাওয়া যায়। ১০ হাজার টাকার বেশি সুদে ট্যাক্স দিতে হয়: সেভিংস অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদের উপর কর দিতে হয়। গ্রাহক কোন ট্যাক্স স্ল্যাবে পড়েন তার উপর নির্ভর করে ট্যাক্স ধার্য করা হয়। আয়করের নিয়ম অনুযায়ী, যদি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদের পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে গ্রাহককে ৮০টিটিএ ধারার অধীনে ট্যাক্স দিতে হবে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য, এই সীমা ৮০টিটিবি-এর অধীনে ৫০ হাজার টাকা।