পাল সেন যুগের ভাস্কর্য 

Siliguri News: পাল-সেন যুগের শিল্পকলা কেমন ছিল? জানতে চাইলে আসতে হবে এই জাদুঘরে

শিলিগুড়ি: পাল-সেন যুগের শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মে কতটা পটু ছিলেন, তা জানতে আপনাদের আসতেই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্ষয় কুমার মৈত্র সংগ্রহশালায়। প্রথম তলায় ঠাসা রয়েছে বেলি পাথর, কষ্টিপাথরে তৈরি সেই সময়কার শিল্পীদের শিল্পকর্ম। বাইরে থেকে আসা বিদেশি শত্রুদের হামলায় একাধিক মূর্তি কী ভাবে ভাঙা হয়েছিল, তা দেখে সেই সময়ে ইতিহাস  যেমন জানতে পারবেন, ঠিক তেমনই মূর্তিতে থাকা পশু, পাখি, মানুষের মেলবন্ধনের ছবি দেখে সেই সময়ে প্রকৃতির প্রতি মানুষের টানও উপলব্ধি করতে পারবেন সহজে।

সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের দাবি ইতিমধ্যেই এই শিল্পকলা দেখতে লোক আসছেন দলে দলে । আগামীতে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। স্কুল-কলেজের ছোট ছোট পড়ুয়াদেরও সংগ্রহশালার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। পাল সেন যুগের বিষ্ণু মূর্তি, উমা মহেশ্বর, নবগ্রহ, মহিষাসুরমর্দিনী, মহাদেব পাথরের মূর্তি রয়েছে । শুধু তাই নয় অষ্টম থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ওই যুগের কারিগর শিল্পীদের হাতে তৈরি অষ্টধাতুর মূর্তিতেও ভরা রয়েছে সংগ্রহশালার আরও একটি ঘর। যার সবটাই কোনও না কোনও সময় ইতিহাসবিদ বা বিশিষ্ট মানুষরা এই সংগ্রহশালাকে দান করেছেন।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে ধস! জলে ভাসছে রাইগাঁও এলাকা! বিপর্যস্ত জনজীবন, চারদিকে আতঙ্ক

আরও পড়ুন: সরকারি আধিকারিকের হাত ধরে কৃষিতে বিপ্লব, চাষের খরচ ও খাটনি এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে

আপাতত এই সংগ্রহশালা দেখতে পর্যটকদের একাংশ আসছেন। শহরে ঢুকতে বা ফিরে যাওয়ার আগে সংগ্রহশালায় ঘুরে যাচ্ছেন। দেখে নিতে পারছেন উত্তরের একাধিক ইতিহাস। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ করছেন একাধিক উন্নতমানের শিল্পকর্ম। তবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই সংগ্রহশালাটি একটা ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন হয়ে উঠুক, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন তারা। সংগ্রহশালার সহকারি তত্ত্বাবধায়ক ডঃ মলয় সাহা বলেন, “আমাদের এই সংগ্রহশালায় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করেছি। পর্যটকেরা আসছেন। এছাড়াও এই সংগ্রহশালায় থাকা পাল-সেন যুগের ইতিহাস যে কোনও গবেষক বা পড়ুয়ার কাছে অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে।”

অনির্বাণ রায়