পাখিরা ‘এখানে’ এলেই মারা যায়! ভারতের এক রহস্যে ঘেরা এলাকা, বাংলা থেকে দূরে নয়

গুয়াহাটি: অসমের পর্যটন স্থান এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার দরকার পড়ে না। এক শৃঙ্গ গন্ডার এবং কামরূপ কামাখ্যা মন্দির, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, অসম মানেই বৈচিত্র।

অনেকে অবশ্য অসমের জাটিঙ্গা জায়গাটি সম্পর্কে অবগত নন!  আসামের ডিমা হাসো জেলার পাহাড়ে অবস্থিত জাটিঙ্গা উপত্যকা। এখানে পাখিরা দল বেঁধে আসে এবং রসহ্যজনকভাবে মারা যায়।

প্রতি বছর অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এখানে প্রচুর পাখি মারা পড়ে। জাটিঙ্গা গ্রামের এই এলাকা এখনও রহস্যে মোড়া। শুধু স্থানীয় পাখিই নয়, পরিযায়ী পাখিরাও এই সময়ে এখানে এলে মারা পড়ে।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় আর দিন নয়! এবার এক দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়! পৃথিবীতে ঘটছে বড় পরিবর্তন

জাটিঙ্গা গ্রাম বেশ রহস্যময়। একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে এবং একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পাখিরা এলেই মারা যায়। বিজ্ঞানীরা অনেক অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছেন। তবে এই রহস্যের পর্দা সরেনি এখনও। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে হাজার হাজার পাখির ক্ষেত্রে ঘটে এমনটাই।

পাখিরা সন্ধে ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যেই এভাবে মারা পড়ে।  প্রায় ৪০ প্রজাতির স্থানীয় এবং পরিযায়ী পাখি ওই এলাকায় মারা পড়েছে। কথিত আছে, এখান থেকে চলে যাওয়ার পর বিদেশি পরিযায়ী পাখিরা আর ফিরে আসে না। রাতে এই উপত্যকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

অনেক পক্ষীবিদ বিশ্বাস করেন, এই বিরল ঘটনার কারণ হল চৌম্বকীয় শক্তি। আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হলে রাতের আঁধারে পাখিরা আলোর চারপাশে উড়তে শুরু করে। আলোর কারণে তারা দেখতে পায় না এবং দ্রুত উড়ে যাওয়ার সময় তারা কোনো পাহাড় বা গাছে ধাক্কা খেয়ে মারা পড়ে।

আরও পড়ুন- ভারতের ১০০ টাকা ‘কোন’ দেশে ২০০০ টাকার সমান বলুন তো…? চমকে দেবে নাম! নিশ্চিত

পাখিদের মারা পড়ার এই ঘটনা ১৯১০ সাল থেকে চলছে। কিন্তু গোটা বিশ্ব এই ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারে ১৯৫৭ সালে। তারপর পক্ষীবিদ ই.পি. জিৎ কোনও এক কাজে জাটিঙ্গায় এসেছিলেন। সেই সময় তিনি নিজেই এই ঘটনা দেখেন। তাঁর ‘দ্য ওয়াইল্ডলাইফ অফ ইন্ডিয়া’ বইতে এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।