পৃথিবীতে এমন অনেক ঔষধি গাছ পাওয়া যায়, যার উপকারিতা বিস্ময়কর। তবে অনেকেই তাদের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন। মাদার গাছও একই ভাবে উপকারী, এটি শুধু রোগ ও ব্যাধি নিরাময় করে না, এটি চাষবাসেও ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়।সাধারণত বনাঞ্চলে এটি ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। বিশেষ বিষয় হল এটি বিষাক্ত উদ্ভিদের তালিকায় রয়েছে এবং এর উচ্চতা প্রায় দুই ফুট। স্থানীয় ভাষায় একে আক, আকদা বা সিন্দুকও বলা হয়।নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রিয়াঙ্কা সিং লোকাল 18-কে বলেন যে, আয়ুর্বেদ অনুসারে এটি একটি ঔষধি গাছ যা ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এর বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আধুনিক চিকিৎসায়ও এই উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। মাদার উদ্ভিদ অনেক সুবিধা প্রদান করে, কিন্তু এটি অত্যন্ত বিষাক্ত। তাই এটি ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।ব্যথা এবং ফোলাতে উপশম- মাদার পাতা এবং শিকড় ব্যথা, ফোলা ভাব কমাতে ব্যবহার করা হয়। গ্রামাঞ্চলে জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাতে এর পাতার পেস্ট লাগালে তাৎক্ষণিক উপশম হয়। এছাড়া মাদার পাতার রস শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতেও সহায়ক।চর্মরোগের চিকিৎসায়- মাদার পাতার রস স্ক্যাবিস, দাদ এবং একজিমার মতো চর্মরোগের চিকিৎসায় কার্যকর।হজম উন্নতি- মাদার পাতার ক্বাথ হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। এটি খেলে ক্ষুধাও বাড়ে।শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা- কাশি, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় মাদার গাছের ব্যবহার কার্যকর প্রমাণিত হয়। এর পাতার ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট কমায় এবং শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।জ্বর থেকে মুক্তি- মাদার পাতার রস জ্বর উপশমে ব্যবহার করা হয়।দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী- মাদার পাতার রস দাঁত ও মাড়ির সমস্যা যেমন পাইরিয়া, মাড়ি ফোলা এবং দাঁতের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। এর নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত মজবুত ও সংক্রমণ মুক্ত থাকে।ক্যানসারের চিকিৎসা- সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মাদার গাছে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে এর ব্যবহারের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।কীটনাশক হিসেবে কাজে লাগে- মাদার পাতার রস কীটনাশক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
