*ইদানীং খাবার পাত আলো করে থাকে মাশরুম। বিশেষ করে বর্ষাকালে। একটা সময় মাশরুমের নাম শুনলে অনেকেই নাক তুলতেই। বলতেন, ‘‘ওটা আবার খাবার না কি!’’ কিন্তু উপকারিতা জানার পর থেকে আর কেউ উচ্চবাচ্য করে না। দূর-ছাই করা তো দূরের কথা। সংগৃহীত ছবি।*বোকারোর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক রাজেশ পাঠক বলেন, মাশরুম মানে পুষ্টির পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানও পাওয়া যায়। স্যালাড, স্যুপ হিসেবেই মাশরুম খেতে পছন্দ করেন অধিকাংশ মানুষ। সংগৃহীত ছবি।*রোগের বিরুদ্ধে লড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মাশরুমে বায়ো অ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক উপকারি উপাদান পাওয়া যায় মাশরুমে, যা মারাত্মক রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সংগৃহীত ছবি।*ওজন কমাতে সহায়ক: মাশরুমে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। একবার খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে। ফলে বারবার মনে খাওয়ার ইচ্ছা জাগে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইমিউন সিস্টেম তেল খাওয়া মেশিনের মতো চলে। শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিডও এতে মজুত রয়েছে। সংগৃহীত ছবি।*হজমশক্তি বাড়ায়: মাশরুমে প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট রয়েছে। অন্ত্রে গুড ব্যাকটেরিয়ার (প্রোবায়োটিক) বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে পাকস্থলীকে বাঁচায়। সামগ্রিকভাবে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। সংগৃহীত ছবি।*রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ করে: মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তাছাড়া পর্যাপ্ত আয়রন শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়। এতে শরীরে রক্তের ঘাতি দূর হয়। সংগৃহীত ছবি।*হাড় মজবুত রাখে: মাশরুম হাড় মজবুত রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে ফাইবার, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এই কারণেই বৃদ্ধ বয়সে মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সংগৃহীত ছবি।*ডায়াবেটিস রোগীদের মহাষৌধ: মাশরুমে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। পাশাপাশি চিনির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে। এই জন্য মাশরুমকে ডায়াবেটিস রোগীদের মহাষৌধ বলা হয়। সংগৃহীত ছবি।
