ভারতের একটি গ্রামে বিশেষ বিশেষ দিনে নারীরা নগ্ন থাকেন। ফলে বছরের ৯০ দিন তারা কাপড় ছাড়াই থাকেন। তবে তার জন্য কেউ তাদের জোর করেন না৷ কোথায় এবং কেন এই অভ্যাস অনুসরণ করা হয়? জেনে নেওয়া যাক৷দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। এলাকার উপর নির্ভর করে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন জীবনযাত্রা এবং রীতিনীতি থাকে। কোনও কোনও বহু বছর ধরে প্রাচীনকালের প্রথা ও ঐতিহ্য চলে আসছে। এমনই রীতি রয়েছে এই গ্রামেও৷এই অদ্ভুত ঐতিহ্য হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলার পিনি গ্রাম৷ পর্যটকদের জন্য যা খুবই সুন্দর৷ পর্যটন স্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নামে নামকরণ করা হয়েছে। অনেকদিন ধরে এই প্রথা চলে আসছে যা আজও সেখানকার মহিলারা চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে এই গ্রামে বসবাসকারী সমস্ত মহিলারা পাঁচ দিন পোশাক পরেন না৷ কিন্তু এই পাঁচ দিন তারা ঘর থেকেও বের হয় না। এই পাঁচ দিনের জন্য মদ এবং মাংসও নিষিদ্ধ থাকে।এই ঐতিহ্য অনুসরণের পেছনেও রয়েছে একটি মজার গল্প। কথিত আছে অনেক আগে পিনি গ্রামে রাক্ষস ঘুরে বেড়াত। সেই রাক্ষসরা গ্রামের মহিলাদের কাপড় ছিঁড়ে নিয়ে যেত। তাদের হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে দেবী ‘লাহুয়া ঘোঁদ’ পিনি গ্রামে আসেন। সেই দেবী অসুরদের হত্যা করে মানুষকে রক্ষা করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভাদ্রপদ মাসের প্রথম দিনে।তখন থেকেই শুরু হয় শ্রাবণ মাসে ৫ দিন নারীদের পোশাক না পরার প্রথা। বিশ্বাস করা হয় যে নারীদের পোশাকে সুন্দর দেখালে, রাক্ষস এসে তাদের নিয়ে যাবে। ওই ৫ দিনে পিনি গ্রামের লোকজন বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেয় না। অন্য গ্রামের লোকজনকে এই বিশেষ উৎসবে অংশ নিতে দেওয়া হয় না।কিন্তু এমন প্রথা আছে বলে অনেকে বিশ্বাস না করলেও সেখানকার নারীরা আসলে স্বেচ্ছায় তা পালন করছেন। প্রতি বছর ৫ দিন নগ্ন থাকাকে তারা সাধারণ হিসেবে নেয়। এই শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার মোট জনসংখ্যা হল ২৫৯৩ জন। এখানে আসা পর্যটকরা প্রায়ই এই রীতি সম্পর্কে জেনে অবাক হন।