Crime News: ১২ দিনের সদ্যোজাতর সঙ্গে এ কী করল মা! হাড়হিম ঘটনা শুনলে শিউরে উঠবেন, গ্রেফতার ৩

মালদহ: ১২ দিনের সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির চেষ্টা মালদহে। ঘটনায় গ্রেফতার সদ্যজাতর মা-সহ তিন মহিলা। অভাবের তাড়নায় শিশু বিক্রির চেষ্টা বলে দাবি ধৃতদের। মালদহের চাঁচল থানার পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ শিশু বিক্রি। সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে সরকারি হোমে।ঘটনাই গ্রেফতার সদ্যজাতের মা টগরি খাতুন, পিসি জোৎস্না খাতুন। এরা দু’জনেই উত্তরদিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার বাগেলা গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে মালদহের পুখুরিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা জবেদা খাতুন নামে আরও এক মহিলাকে। জবেদা শিশু বিক্রি চক্রের ‘এজেন্ট’ বলে অনুমান পুলিশের।

মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খানপুর এলাকার একটি নিঃসন্তান পরিবারের কাছে সদ্যোজাত বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ডালখোলার বাসিন্দা টগরি খাতুন পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সপরিবারে চেন্নাইতে কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার তিন নাবালক সন্তান রেখে কিছুদিন আগে দ্বিতীয় একটি বিয়ে করে স্বামী। ফলে সন্তানদের লালনপালন করা নিয়ে সমস্যার তৈরি হয়। এরই মধ্যে চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন টগরী।

কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয় মালদহের পুখুরিয়ার বাসিন্দা জবেদা খাতুনের। জবেতার মাধ্যমে ওই মহিলা জানতে পারেন, চাঁচলের খানপুরের এক নি:সন্তান পরিবার পুত্র সন্তান নিতে ইচ্ছুক। সেই সূত্র ধরেই রবিবার চেন্নাই থেকে সদ্যোজাতকে নিয়ে ট্রেনে করে চাঁচলে পৌঁছন ওই তিনজন।  কিন্তু, শিশু বিক্রি আগেই বিষয়টি নিয়ে গ্রামে খবর রটে যায়।

এরপরেই তৎপর হয়ে সদ্যোজাত সহ ওই তিন মহিলাকে থানায় তুলে আনে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু বিক্রির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে তারা। এরপরে ওই তিন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।শিশু বিক্রির কোনও চক্রের সঙ্গে এদের যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে এদিন চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। এদিকে শিশু বিক্রির ঘটনা চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে কারা ওই সদ্যোজাতকে কিনত, অথবা কত টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এছাড়াও এই চক্র আগেও কোথাও কোনও শিশু বিক্রি করেছে কিনা এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা হবে।