পাশাপাশি একাধিক অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। যার মধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, দেরিতে এফআইআর-সহ একাধিক বিষয় আছে।

TMC MLA-RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা নার্সিংহোমেও! কোন বিধায়ক জানেন?

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি তদন্তে এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও হাসপাতালে সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। একই সঙ্গে সুদীপ্তের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায় আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও। তাঁর সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবার সেই দুর্নীতি তদন্ত সূত্রে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও হাসপাতালেও পৌঁছে গেল সিবিআই।

প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করে সোচ্চার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। বর্তমানে সুদীপ্ত রায় ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। হেলথ রেক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্যও। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ আরজি কর হাসপাতালের সরকারি বরাদ্দ জিনিসপত্র তাঁর বেসরকারি নার্সিংহোমে বেআইনি ভাবে চলে যেত। মূলত প্রভাব খাটিয়েই এই সমস্ত কিছু করেছিলেন সুদীপ্ত রায়, এমনই অভিযোগ।

এদিকে, এদিন সকালেই চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে পৌঁছে যায় ইডির টিম। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালা বন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন।
ইডি টিম ভিতরে ঢুকতে পেরেছে। তবে সূত্রের দাবি, ভিতরের ঘর গুলো তালা বন্ধ অবস্থায় আছে।

আরও পড়ুন: সর্বনাশ! সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এগুলো কী! দেখে মাথায় হাত তদন্তকারীদের, এমন কী মিলল?

জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল সাপ্লাইয়ারের ভেন্ডরের বাড়ি।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই হাওড়া, সোনারপুর ও হুগলিতে এই মামলায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় সংযুক্ত হয়েছে ইডিও। সেই সূত্রেই পরপর একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছে সিবিআই ও ইডি।