আর সেভাবে দেখা যায় না কবাডি খেলা

South 24 Parganas News: এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলা! কাবাডি বাঁচাতে প্রতি‌যোগিতা জেলার বিভিন্ন ব্লকে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সভ্যতার ক্রমবিকাশ ও আধুনিকতার ছোঁয়াতে হারিয়ে যাচ্ছি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কবাডি খেলা। এক সময় গ্রামের শিশু থেকে যুবকরা পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের খেলাধুলার অভ্যস্ত ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়ে গ্রামের ছেলেরা দল বেঁধে মাঠে কবাডি, খোখো বা হাডুডু খেলাতে মেতে উঠতো। আধুনিকতা ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে এই ধরনের খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই খেলাটি বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া গ্রাম সেখানে গিয়ে গ্রামের শিশুদের নিয়ে কবাডি খেলার আয়োজন করে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে।

আরও পড়ুন:  দড়ি টেনে নৌ পারাপার! সুন্দরবনের কেল্লায় আজব যাতায়াত

একসময়ে কবাডি খেলা চলাকালীন শত শত মানুষের ঢল লাগতো বিভিন্ন গ্রামীণ মাঠে। কিন্তু এখন গ্রামের খোলা মাঠ আস্তে আস্তে কমে যাওয়ার ফলে এইসব খেলা এখন শুধুমাত্র স্মৃতি হয়ে গেছে। শুধুমাত্র আগামী প্রজন্মের কাছে ধরে রাখতে এবং যাতে এই খেলা জানতে পারে এবং ভুলে না যায় তাই তারা এগুলি নিয়ে আজও চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। গ্রাম বাংলা জনপ্রিয় এই খেলাটি শুধু আমাদের দেশে নয় বরং পুরো উপমহাদেশে এই খেলার জনপ্রিয় ছিল। প্রতিবেশী বাংলাদেসের এটাই জাতীয় খেলা।

আরও পড়ুন: সমুদ্রে ভরপুর ইলিশ, তবু মাছ ধরতে যাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা, বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ বাজারে আসবে কীভাবে

এই খেলায় প্রতিটি দলে 8 থেকে ১০জন করে মোট দুটি দলের খেলায় প্রতিযোগিতা হতো। একটি কোট কাটা হতো যার দৈর্ঘ্য সাড়ে বারো মিটার থেকে প্রস্থ দশ মিটার। তার পাশাপাশি এই খেলাতে প্রচুর দম থাকতে হয়, প্রত্যেক দলের খেলোয়াড় একজনের পর আরেকজন এক দমে কবাডি বলতে বলতে বিপক্ষ দলের সীমানায় ঢুকে যদি প্রতিপক্ষ কাউকে ছুঁয়ে দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে তবেই সেই দলের পয়েন্ট পায়। আর এভাবেই এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কতজনকে ছুঁয়ে বা ধরে ফেলতে পারে তার উপরের নির্ভর করে খেলার জয়-পরাজয় হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা