বিপাকে অরিন্দম শীল।

Arindam Sil: টলি নায়িকাকে চুম্বন! উঠল যৌন হেনস্থার অভিযোগ! সাসপেন্ড হয়ে কী বলছেন অরিন্দম শীল?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ৷ দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে যখন হেমা কমিশনের সুবাদে নানা নামী ব্যক্তিত্বের মুখোশ খুলে গিয়েছে, ঠিক তখনই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিও তোলপাড়৷ পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে উঠল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অনির্দিষ্টকালের জন্য অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড করল ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। টলিউডের এক অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। সেই বয়ানের উপর ভিত্তি করেই ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপ।

দিন কয়েক আগে এক অভিনেত্রী অরিন্দমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুরু তুমুল বিতর্ক। পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। কেউ একবারও জানতেও চায়নি ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে৷ একটা লিখিত কাগজের উপর ভিত্তি করেই ওরা এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ মহিলা কমিশনে যে আলোচনা হয়েছে সেখানে বারবার করে বলা হয়েছে, আমি নাকি একটা শট বোঝাচ্ছিলাম এবং সেই শট বোঝাতে গিয়ে আমি আমার অভিনেত্রীকে চুমু খেয়েছি এবং আমি সেই বিষয়ে বলি, আমি নিজে যেহেতু একজন অভিনেতা, তাই পুরো বিষয়টা নিজেই কোরিওগ্রাফি করে দেখিয়ে দিই৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে৷ অভিনেত্রীও পুরো দৃশ্যটা দেখানোর কথা বলে৷ সেই মতো রোম্যান্টিক দৃশ্যটা দেখিয়ে দিই৷ তবে এটা করতে গিয়ে আমার মুখটা ওর গালের পাশে লেগে যায়, এবং তারপরই সেই অভিনেত্রী প্রোডিউসারকে জানায় যে, ওর অস্বস্তি হয়েছে৷ এটাকে ভিত্তি করেই মহিলা কমিশনে কমপ্লেন করে৷ সবথেকে মজার কথা হল, এই ঘটনার পর প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে শ্যুট করে এবং তিনি পুরোটাই স্বাভাবিক ভাবেই করে৷

আরও পড়ুন-     বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

অরিন্দম আরও বলেন, অভিনেত্রী তো আমাকে বলতেই পারত কোলের উপর বসে এই শটটা দিতে আমার অস্বস্তি হয়েছে৷ কিন্তু তিনি সেটা না বলে উল্টে বলেন, একজন পরিচালক হিসেবে আমি যেটা করতে বলেছি উনি সেটাই করেছেন৷ তো আমি তো কাউকে ঘাড়ে বন্দুক রেখে করিনি৷ এবং ইয়ার্কি করতে করতেই দৃশ্যটি করা হয় ৷ মহিলা কমিশনের সামনে আমি এটাই বারবার বলেছি, আমার অনিচ্ছাকৃত সত্ত্বেও যদি তিনি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি খুবই দুঃখিত৷ এবং চিঠিতেও সেটা জানিয়েছি৷ তারপরও আমাকে জানানো হয় অনিচ্ছাকৃত শব্দটা সরিয়ে নেওয়ার জন্য, কারণ অভিনেত্রী এটা চান না৷

আরও পড়ুন-      বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও আমাকে বলেছে, আপনি অনিচ্ছাকৃত বললেও অভিনেত্রী সেটা মানতে নারাজ৷ কারণ অভিনেত্রীর খারাপ লেগেছে৷ তখন লীনা দি বলেন ওর খারাপ লাগাটাকে আমি দুঃখিত বলে লিখুন৷ এবং যার কারণে আমি অন্তর থেকে ক্ষমা চেয়েছি৷ তবে এটাও ঠিক আমি আমার বিবেকের থেকে কোনও ভুল করিনি৷ আমার কস্টিউম সহকারী, আমার ক্যামেরাপার্সন ও প্রযোজনা সংস্থা তরফে একজন ছিলেন সেখানে। গোটা ঘটনার সাক্ষী রয়েছে৷ ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন কোনও যোগাযোগ করেনি এবং কেউ আমার ফোনও ধরেননি৷