এক বৃদ্ধ। হয়তো অবসরপ্রাপ্ত। সঙ্গী বাংলা সিরিয়াল। আচমকা একদিন ভুলবশত ফোন করে এক তরুণী। সেই ফোন আর কাটা হয় না কোনওদিন। তরুণীর মুখের সঙ্গে মিলে যায় তাঁর প্রিয় ধারাবাহিকের প্রিয় চরিত্রটির মুখ। বৃদ্ধ চুপচাপ শুনতে থাকে মেয়েটির যাপন। দুজনের একাকীত্ব মিলে যায় কোথাও। যেইএকাকীত্বে জড়িয়ে রয়েছে একজনের অপূর্ণ যৌনতা, আরেকজনের বিগত যৌবন। কিন্তু আসলে কি এসব ঘটছে? নাকি সবটাই…
জীবনানন্দ লিখেছিলেন, ‘আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে…’
এও বোধ হয় তেমনই এক ‘বোধ’। যে বোধ এড়াতে পারেন না সেই বৃদ্ধ। আর ছবির শেষদৃশ্যে বাস্তব, কল্পনা, ধোঁয়াশা সবটা মিলে যায়। ঘুম আসে বৃদ্ধের। আর ছবি জুড়ে তখন ‘উটের গ্রীবার মতো নিস্তব্ধতা।’ ক্লাইম্যাক্সে বাস্তব থেকে ‘বেলাইন’ হয়ে যায় দতর্শক। মনে হয় যা হল, তা কী আদৌ হল! পরমুহূর্তে মনে হয়, ‘ তাই সত্য যা রচিবে তুমি…’