লাইফস্টাইল Summer Tips: তীব্র গরমেও কিনতে পারছেন না এসি-কুলার! এই উপায়ে ঘর হবে সহজেই ঠান্ডা Gallery May 3, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত বঙ্গবাসীর। চাতকের মত আকাশ পানে চেয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায়। পরিস্থিত এমন যে বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। যাদের এসি নেই তাদের অবস্থা তো আরও শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায় তার নানা উপায় অবলম্বন করছে দগ্ধ বঙ্গবাসী। এই প্রতিবেদনে ১০টি এমন উপায় তুলে ধরে হল যেগুিল মেনে চললে এই গরমে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটাই। ১. অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা। ২. দরজার পাশাপাশি ঘরের জানালা খেলা রাখুন। কিন্তু জানালের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখাই ভালো। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের দেয়ালে জানালা থাকলে অবশ্যই পর্দা টেনে রাখুন। আর পর্দা যদি একটু ভারী কাপড়ের হয় তাহলে আরও ভালো। পর্দা টেনে রাখলে একদিকে যেমন হাওয়া খেলবে অপরদিকে রোদের হিট ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না। ৩. গরমে সিন্থেটিক টাইপের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতা উচিত নয়। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি হিট হয়ে ওঠে ও সহজে ঠান্ডা হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর বিছালে বিছানা ঠাণ্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন। এতে শুধু ঠাণ্ডা নয়, মানসিকভাবেও ফ্রেশও লাগবে। ৪. ঘরে বিপরীত ভেন্টিলেশন রাখা উচিৎ। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ৫. রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায় রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে। তারউপর এই গরম। ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করুণ। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমে ব্যবহার করুণ এক্সহস্ট ফ্যান। ৬. রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে যেমনটা এই সময় রয়েছে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন। তাতে ঘরে হিট কম ঢুকবে। কিন্তু রাতের বেলায় কোনও সমস্যা না থাকলে জানালা খুলে ঘমান। তাতে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে। ৭. রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে হিট উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে। ৮. এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না জ্বালানোই ভালো। তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্র কম হয়। ৯. ঘরোয়া উপায়তে এসি বানাতে পারেন আপনি। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড়ও রাখতে পারেন। ১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।