মঙ্গলে নবান্ন অভিযান, কোন কোন রাস্তা এড়িয়ে যাবেন? দেখুন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক নির্দেশিকা

#কলকাতা: রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান৷ যারজেরে শহরের বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। সমস্ত রকম সমস্যা এড়াতে মঙ্গলবার শহরের একাধিক রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ জারি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক নির্দেশিকাও৷

অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, স্ট্র্যান্ড রোড, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধি রোডের মতো একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হতে পারে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে৷ বিকল্প রাস্তা হিসাবে কলকাতা যাতায়াতের জন্য বালি ব্রিজ ও নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে হবে।

বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নবান্ন অভিযানে জমায়েত নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, শুধু প্রাকৃতিক বাধা নয়৷ নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ বিজেপি-র অভিযোগ, পুলিশ অনেক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের কলকাতায় আসতে দিচ্ছে না৷ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাটের মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে ওঠার সময় বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷

আরও পড়ুন: ‘বিরোধীরা যাই বলুক, বুনিয়াদি শিক্ষায় সেরা বাংলাই’, মমতার মুখে সাফল্যের হিসেব

আরও পড়ুন: ‘আমি নিজেই ইনভেস্টিগেশন করি…’, ‘সত্যিই চাকরি রেডি তো?’ নথি ঘেঁটে উত্তর খুঁজলেন মমতা

খবর মিলেছে, নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি হাওড়া পুলিশ। বিজেপিকে চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে হাওড়া পুলিশের তরফ থেকে। ১৪৪ ধারা জারি থাকে নবান্ন সংলগ্ন এলাকায়। চারজনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া যায় না। হাওড়া ময়দান সংলগ্ন অঞ্চল খুব ঘিঞ্জি। মঙ্গলবার থাকায় ওই অঞ্চলের মঙ্গলা হাটও বসে। তাই প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ওখানে। সাঁতরাগাছি জাতীয় সড়কের উপরও চাপ পড়ে। আইন অনুযায়ী ওখানে জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে৷ পাশাপাশি বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়েছে। চারটি এফআইআর হয়েছে। তাই নবান্ন অভিযান আপনারা করবেন না, এমনই বলা হয়েছে চিঠিতে৷ মোট তিনটি কারণ উল্লেখ করে নবান্ন অভিযানে না পুলিশের৷