বেনাচিতির পাঁচ মাথার মোড়ে প্রতিকী বিয়ে।

জামাইকে ভালবেসে দামি বাইক দিয়ে ফ্যাসাদে শ্বশুরমশাই! শেষ পর্যন্ত বিয়ে হল রাস্তায়

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : মেয়ের বিয়েতে জামাইকে ভালবেসে দামি বাইক উপহার দিয়েছিলেন শ্বশুরমশাই। কিন্তু যৌতুকে বাইক দিয়ে মহা ফ্যাসাদে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে শ্বশুরের। শেষ পর্যন্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে রাস্তার মোড়ে। কারণ বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন এক ট্রাফিক আধিকারিক। আর তার সৌজন্যেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী?

আসলে এই বিয়ে একেবারেই প্রতীকিভাবে। প্রতীকি বিয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতার বার্তা। দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে বিবাহের মতো কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ট্রাফিক সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম মূল বার্তা ছিল হেলমেটের সঠিক ব্যবহার। হেলমেট ব্যবহার যাতে পরবর্তী জেনারেশনের মধ্যেও পৌঁছে যায়, সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে অভিনব এই আয়োজন।

আরও পড়ুন- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাধিক পর্বত জয়, আবারও সেই নেশাতেই দিচ্ছেন পাড়ি!

এই বিয়ের মধ্যে ছিল একটি গল্প। যেখানে শ্বশুর মশাই জামাইকে দামি বাইক উপহার দিলেও কোনও হেলমেট দিতে চাননি। যা মস্ত বড় ভুল। বাইক চালানোর সময় সুরক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হেলমেট।

হেলমেট ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে জীবন সুরক্ষিত হবে। দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের প্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েকের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।

বেনাচিতির পাঁচমাথা মোড়ে হয়েছে এই প্রতীকি বিয়ে। প্রতীকি পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন এবং প্রতীকি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আর নবদম্পতি সেজে যেখানে হাজির হয়েছিলেন সাব ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।

আরও পড়ুন- কমল দিঘা বেড়ানোর খরচ! ৪৫ টাকায় কলকাতা থেকে সোজা দিঘা! সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন

নবম্পতিকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে হেলমেট। বোঝানো হয়েছে, মাথায় সোলার টোপরের থেকেও হেলমেট থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ বিশেষজ্ঞরা অভিনব কর্মসূচিকে সাধুবাদে দিয়েছেন।

নয়ন ঘোষ