যানজটে বারাসাত

বারাসাতে নো এন্ট্রি! জানুন কীভাবে ভিড় এড়িয়ে দেখবেন ঠাকুর

উত্তর ২৪ পরগনা: আজ থেকেই বারাসতে শুরু হয়ে যাবে কালীপুজো। আর তাই তার আগে থেকেই বারাসতের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক-সহ পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি যানজট মুক্ত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।

একদিন আগের রাত থেকেই প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী ট্রাফিক-সহ রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। দেখা গেল জেলার ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকদেরও।

জাতীয় সড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় এদিন রীতিমতো ট্রাফিক ওসি-সহ জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাতে কোনওরকম যানজট সৃষ্টি না হয়, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

এখনও কালীপুজো উপলক্ষে রাস্তার দু’ধারে যেমন চলছে লাইটিং-সহ গার্ড ওয়াল দেওয়ার কাজ, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হলেও তা সুন্দরভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় জেলা প্রশাসনকে।

আরও পড়ুন- কল্যাণীতে রেলব্রিজের নীচে স্বামীর সামনেই মহিলাকে গণধর্ষণ! নৃশংস ঘটনায় গ্রেফতার ৮

দীর্ঘ যানজট এড়াতে আজ থেকেই তাই রাস্তায় মানুষ নামলে যাতে কোনওরকম হয়রানির শিকার না হতে হয় তার জন্যই আগাম পরিকল্পনা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে ট্রাফিক।

এদিন থেকেই নো এন্ট্রি চালু হয়ে যাচ্ছে বারাসত মধ্যমগ্রামে। বেলা একটার পর থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত কোনওরকম ভারী যানবাহন, পণ্যবাহী গাড়ির চলাচলের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কার্যকর থাকবে ৩ তারিখ বারোটা পর্যন্ত।

তার পর থেকে আবারও স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে সব কিছু। যাত্রীবাহী বাসের ক্ষেত্রে তিনটে পর্যন্ত চললেও তার পর এয়ারপোর্টের দিক থেকে আসা বাসগুলিকে বারাসতের আগেই রথতলায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে।

একইভাবে ব্যারাকপুর এর দিক থেকে আসা বাসগুলিকে সত্যভারতী স্কুলের সামনেই দাঁড়াতে হবে। টাকি রোড ধরে আসা বাসগুলিকে শতদল ক্লাবের সামনে দাঁড় করানো হবে এবং হাবরা থেকে যাওয়া বাসগুলিকে বামুনগাছির কাছেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্রে।

আরও পড়ুন- এবার আরামবাগ, দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ

এছাড়াও বিভিন্ন বাইপাস রাস্তা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখারও প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ট্রাফিক ও পুলিশ প্রশাসন। অপরদিকে, দূরপাল্লার যানবাহন, অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য মধ্যমগ্রাম চৌমাথা হয়ে সোদপুর রোড ধরে মুড়াগাছা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে জাগুলির দিকে পৌঁছে দেওয়া হবে।

পুজোগুলির উদ্বোধন হওয়ার পর মানুষ বারাসতের পূজো দেখতে রাস্তায় নামলেও তেমনভাবে যানজট সমস্যার সম্মুখীন হবে না বলেই আশা করা যাচ্ছে। এখন দেখার পুজোর বাকি ক’দিন লক্ষাদিক ভক্তসমাগমে যান নিয়ন্ত্রণ করায় কতটা স্বাভাবিক থাকে বারাসতের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

Rudra Narayan Roy