গণপরিবহন স্বাভাবিক ছন্দে

Transport Service: চলবে মেট্রো! বনধে বাংলা জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় অতিরিক্ত বাস! স্বাভাবিক গণপরিবহন

কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জেরে আজ, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। চলবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। যদিও প্রতিবারের মতো এবারও নবান্নের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বনধের দিন জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখা হবে। নামানো হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস। সেইসঙ্গে চারটি কারণ ছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

আজ শুক্রবার বনধ ডাকা হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকবে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য কর্মদিবসে যেমন মেট্রো চালানো হয়, সেই সূচি মেনেই শুক্রবার পরিষেবা চালু রাখা হবে। যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়, সেজন্য ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া), গ্রিন লাইন (হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ), অরেঞ্জ লাইন (নিউ গড়িয়া থেকে রুবি) এবং পার্পল লাইনে (জোকা থেকে মাঝেরহাট), সেজন্য বাড়তি কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা…! শুক্র-শনি-রবি নামবে দুর্যোগ? ভাসবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস কলকাতায়? জানিয়ে দিল IMD

জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার ২২ শতাংশ অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বেসরকারি বাস মালিকরাও পথে বাস নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেই দাবি পরিবহণ দফতরের। কলকাতা এবং শহরতলিতে সরকারি বাস পরিষেবার দায়িত্বে থাকে মূলত ডব্লিউবিটিসি। অন্যান্য দিন যেখানে তারা ৯০০ বাস চালায়, সেখানে বুধবার ১১৫০ টি বাস পথে নামানো হবে। কলকাতার মতোই জেলাতেও অতিরিক্ত বাস চালাবে সরকার। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ৬৯২ টি বাসের পরিবর্তে ৮২৬টি  বাস চালাবে।

উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে ৬৫৫টি বাস চালাবে। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন, বিমানবন্দরে যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখছে পরিবহণ দফতর। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও রাখছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।পরিবহণ দফতরের দাবি, আজ শুক্রবার রাজ্য জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেসরকারি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব এবং অটো মালিকদের সংগঠনগুলি। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা কোনও গাড়ির যদি বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে তাদের জন্য ছ’ লক্ষ টাকার বিমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকেব।