Tag Archives: Bus service

Bus Service: এবার বাস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, নয়া ঘোষণা পরিবহন মন্ত্রীর 

হুগলি: ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এবার থেকে চলতে পারে বাস ! এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন রাজ্য পরিবহন দফতর। গণপরিবহণ যাতে বিঘ্নিত না হয় এবং স্বাস্থ্য ভাল থাকা বাসগুলি যাতে রাস্তায় চলতে পারে সেই দিকে নজর দিয়েছে পরিবহন দফতর। এমনই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।

মূলত গ্রীন ট্রাইবুনাল আইন অনুযায়ী প্রতি ১৫ বছর অন্তর বাসকে কাটাই করতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। তাতে অনেক বাস ভাল থাকলেও সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে সমস্যার সম্মুখীন হয় বাস মালিক সংগঠন। তার উপরে করোনার কারণে দুই বছর সেভাবে বাস চালাতে পারেননি বাস মালিকরা। তাই নিয়েই তারা দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবহন দফতরের কাছে।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন পরিবহন মন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, বাস মালিক সংগঠনরা অনুরোধ করেছেন অনেক বাস পনেরো বছর হলেও তাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সেক্ষেত্রে যদি কোনও ভাবে সেই বাসগুলিকে চালানো যায় তার জন্য আবেদন জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই পরিবহন দফতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন যাতে যে বাস গুলির স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে সেগুলিকে যাতে চালানো যায়।

আরও পড়ুন-  বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, গ্রিন ট্রাইবুনাল আইন অনুযায়ী প্রতি ১৫ বছর অন্তর বাস পরিবর্তন করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১৫ বছরের পরেও অনেক বাস একেবারে সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ যাতে না ঘটে সেই ধরনের বিশেষ কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাতে সেই বাস আবারও চালানো যায় তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

রাহী হালদার

Transport Service: চলবে মেট্রো! বনধে বাংলা জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় অতিরিক্ত বাস! স্বাভাবিক গণপরিবহন

কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জেরে আজ, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। চলবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। যদিও প্রতিবারের মতো এবারও নবান্নের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বনধের দিন জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখা হবে। নামানো হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস। সেইসঙ্গে চারটি কারণ ছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

আজ শুক্রবার বনধ ডাকা হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকবে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য কর্মদিবসে যেমন মেট্রো চালানো হয়, সেই সূচি মেনেই শুক্রবার পরিষেবা চালু রাখা হবে। যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়, সেজন্য ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া), গ্রিন লাইন (হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ), অরেঞ্জ লাইন (নিউ গড়িয়া থেকে রুবি) এবং পার্পল লাইনে (জোকা থেকে মাঝেরহাট), সেজন্য বাড়তি কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা…! শুক্র-শনি-রবি নামবে দুর্যোগ? ভাসবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস কলকাতায়? জানিয়ে দিল IMD

জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার ২২ শতাংশ অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। বেসরকারি বাস মালিকরাও পথে বাস নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেই দাবি পরিবহণ দফতরের। কলকাতা এবং শহরতলিতে সরকারি বাস পরিষেবার দায়িত্বে থাকে মূলত ডব্লিউবিটিসি। অন্যান্য দিন যেখানে তারা ৯০০ বাস চালায়, সেখানে বুধবার ১১৫০ টি বাস পথে নামানো হবে। কলকাতার মতোই জেলাতেও অতিরিক্ত বাস চালাবে সরকার। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ৬৯২ টি বাসের পরিবর্তে ৮২৬টি  বাস চালাবে।

উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে ৬৫৫টি বাস চালাবে। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন, বিমানবন্দরে যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখছে পরিবহণ দফতর। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও রাখছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।পরিবহণ দফতরের দাবি, আজ শুক্রবার রাজ্য জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেসরকারি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব এবং অটো মালিকদের সংগঠনগুলি। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করা কোনও গাড়ির যদি বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে তাদের জন্য ছ’ লক্ষ টাকার বিমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকেব।

Bus Service Stop: বৃষ্টির পর‌ই সপ্তাহব্যাপী বন্ধ বাস চলাচল, মাথায় হাত একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের

পূর্ব বর্ধমান: বৃষ্টিপাতের জেরে ভয়াবহ অবস্থা এই রাস্তার। চরম সমস্যায় একাধিক গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের। গত কয়েক দিনের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জল জমেছে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায়। তেমনই একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভারী বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মঙ্গলকোটের বনকাপাসী গ্রাম। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে এই গ্রামের মূল রাস্তার একাংশ।

গ্রামের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার জেরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে এই গ্রামের বাস চলাচল। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বনকাপাসী সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় অমিত কুমার পান নামের এক ব্যক্তি জানান, বৃষ্টির কারণে রাস্তার এই অবস্থা। আমাদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে আশ্বাস মিলেছে, আশা করছি সুরাহা মিলবে।

আর‌ও পড়ুন: প্রাণ হাতে নিয়ে চলা! এই ‘ভয়াবহ’ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে ভীত অভিভাবকরা

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বনকাপাসী গ্রাম দিয়ে প্রতিদিন কাটোয়া, বর্ধমানের মত জায়গায় যাতায়াত করেন আশপাশ গ্রামের বহু মানুষ। পার্শ্ববর্তী গ্রাম পঞ্চাননতলা হয়ে বনকাপাসীর ভিতর দিয়ে কাটোয়া-বর্ধমান রুটের বাস চলাচল করে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির কারণে একদিকে যেমন পঞ্চাননতলার ফোড়ে নদীর সেতু জলমগ্ন, অন্যদিকে তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত বনকাপাসীর রাস্তা।

বর্তমানে যার জেরে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই প্রসঙ্গে পার্শ্ববর্তী আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা টোটো চালক রামকৃষ্ণ ঘোষ জানান, কালভার্টগুলো যদি একটু বড় হত তাহলে হয়ত এই সমস্যা হত না। এই রাস্তায় ক’দিন তো যাতায়াত একদমই বন্ধ ছিল। দু’দিন হল টোটো যাতায়াত করছে। বাস যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। আমাদেরও চরম অসুবিধা হচ্ছে। তবে এই রাস্তার এমনিতেই কাজ চলছে। আশা করছি এটা তাড়াতাড়ি মেরামত হয়ে যাবে। কিন্তু পঞ্চানন তলায় ফোড়ে নদীর উপর যে সেতু রয়েছে সেটা এখনও জলমগ্ন। তার জন্যই আরও যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bus Service Stopped: পাকা রাস্তার উপর থেকে বাজার না সরানো পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বাস পরিষেবা

উত্তর ২৪ পরগনা: পাকা রাস্তার উপরে বসা হাট অন্যত্র না সরানো পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল বাস পরিষেবা। এর ফলের সমস্যায় পড়তে হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। বনগাঁর ঘটনা। বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে জানানো হলেও যতক্ষণ না এই সমস্যা সমাধান হচ্ছে ততদিন বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বনগাঁ থেকে বেড়িগোপালপুর ঘাট রুটের ৯৬-সি বাস মালিক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একাধিকবার রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে থাকার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে গাইঘাটা থানা এলাকার ঝাউডাঙায় সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার রাস্তা দখল করে চলে হাট-বাজার। রাস্তার দু’পাশে জলের পাইপ লাইনের কাজ হওয়ায় পাকা রাস্তা ছাড়া অন্যত্র নড়াচড়ার জায়গা থাকে না বলে জানা গিয়েছে। এই রাস্তা ব্যবহার করেই বাস থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহনকে চলাচল করতে হয়। সে ক্ষেত্রে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এই রাস্তায়। এদিন ওই হাটের যানজটের মধ্যে পড়লে বাসের কন্ট্রাকটর নেমে রাস্তার উপর থেকে মালপত্র সরিয়ে নিয়ে বাস যাওয়ার জায়গা করে দিতে বলেন। অভিযোগ এরপরই বাজারের মালিক সহ অন্যান্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই বাসের ড্রাইভার ও কন্ডাকটারকে বেধড়ক মারধর করে।

আর‌ও পড়ুন: সাত দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিধায়ক, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কঠোর অবস্থান

শুধু তাই নয়, পাশাপাশি বাসের এক যাত্রীকেও মারধর করা হয়। এদিন গাইঘাটা থানা এলাকার ঝাউডাঙায় ঘটা এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনগাঁ থেকে বেড়িগোপালপুর ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার ৯৬-সি বাস পরিষেবা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই রুটে বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। প্রশাসনকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানালেও পরবর্তী কোন‌ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে রাস্তার উপর থেকে এই বাজার না সরানো পর্যন্ত বাস চালানো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বাস ড্রাইভার ও কন্ডাকটার সংগঠনের তরফ থেকে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Bus Service: এক ধাক্কায় শহরে কমতে চলেছে ২৫০০ বেসরকারি বাস? ব্যাপক যাত্রী হয়রানির আশঙ্কা

কলকাতা: মহানগরে গণপরিবহনে বড় ধাক্কা। চলতি মাস থেকে পুজো অবধি, শহর কলকাতায় বসতে চলেছে প্রায় দু’হাজারের বেশি বাস। হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে চলাচল করে এমন একাধিক রুট কার্যত ধুঁকতে শুরু করেছে। বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, তাঁদের হাতে নতুন বাস নামানোর অর্থ নেই।

পুজোর আগে গণপরিবহণে ধাক্কা।  কলকাতা ও শহরতলিতে কমতে চলেছে বাস। ১৫ বছরের গেরোয় বসে যেতে চলেছে ২৫০০ বাস। শহরে প্রায় ৪ হাজার বেসরকারি বাস চলে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে আরও ২৫০০ বাস বসে গেলে গণপরিবহনে বাড়বে সমস্যা। নতুন বাস রাস্তায় নামাতে প্রস্তুত নয় বাস মালিকরা। কোভিডের কারণে দু’বছর রাস্তায় নামেনি সব বাস। এক্ষেত্রে বাস মালিকেরা চাইছেন সরকার ব্যবস্থা নিক। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা শহর বা কেএমডিএ এলাকায় চালানো যাবে না।

আদালতের রায়ে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ১৫ বছর বয়ঃসীমা পার হওয়া বাসগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতায় প্রতি দিন চার থেকে পাঁচ হাজার বেসরকারি বাস চলে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ কার্যকর হলে আর মাস ছয়েক পরে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন বেসরকারি বাস মালিকেরা। ২০০৯ সালে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত এক মামলায় হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ১৫ বছরের বেশি কোনও বাস কলকাতায় চলবে না।

ধাপে ধাপে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ২৫০০ বাস কলকাতার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে। ফলে শহরের একাধিক রুটে বাস চলাচল সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। মালিকদের দাবি, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে তাদের হাতে নতুন বাস নামানোর পয়সা নেই। এই অবস্থায় ভারত স্টেজ সিক্স বাসের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। এই বিপুল টাকা দিয়ে তাদের পক্ষে বাস নামানো সম্ভব নয়। তাই নতুন বাস এই শূন্যস্থান পূরণ করবে না। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা চাইছি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক। নাহলে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীদের একটা বড় অংশ।

Viral Video: এ কী কাণ্ড! বাসের ভিতরে হচ্ছেটা কী? ছাতা খুলে কেন বসছেন যাত্রীরা, জানলে চমকে যাবেন, ভাইরাল ভিডিও

মুর্শিদাবাদ: , Berhamporeসরকারি পরিবহণ দফতরের অধীনে NBSTC বাসের ভিতরে ছাতা মাথায় নিয়ে যাত্রা যাত্রীদের। এই ছবি ধর্মতলা থেকে বহরমপুর গামী NBSTC বাসের।

জানা যায়, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য পরিবহন দফতর নিল সাদা রঙের সরকারী বাসগুলোতে একাধিক রকম সুযোগ সুবিধা করলেও তা সঠিকভাবে পরিকাঠামোর অভাবেই কার্যত অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে রাজ্যর NBSTC বাস গুলো। বর্তমানে সেই ভাবে বর্ষা না শুরু হলেও এখন উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে সর্বত্রই বৃষ্টির ভ্রুকুটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

আর সেই বৃষ্টির মধ্যেই তিলোত্তমা শহর কলকাতা থেকে বহরমপুরে ফেরার পথে একটি বাসে দেখা গেল অন্য চিত্র। সরকারি বাসের ছাদ থেকে ও জানালা দিয়ে বাসের ভিতরে প্রবেশ করছে বৃষ্টির জল। আর তখন যাত্রীরা নিজেদের রক্ষা করতে কাছে রাখা ছাতা মাথায় দিয়েই রওনা দিতে হল বাড়ির উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

যাত্রীদের এও অভিযোগ, সরকারি বাসের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও তা অকেজো। লোকাল বাসের থেকে সরকারি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করে যাত্রীরা। তবে বর্ষার মরশুমে NBSTC বাসের অবস্থা এমন হওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। যদিও ভিডিও দেখে অতি সত্বর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পরিবহন দফতরের ডিরেক্টর তথা বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার।

কৌশিক অধিকারী