ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

Tripura Flood Situation: বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে নেমে মৃত্যু চিরঞ্জিতের, পরিবারের পাশে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

আগরতলা: বন্যায় বিপর্যস্ত ত্রিপুরা। একাধিক মানুষের মৃত্যু। বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, এন ডি আর এফ৷ এমনই সময়ে, অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা সাহসী যুবক চিরঞ্জিতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

বন্যা পরিস্থিতির সময়ে এলাকার দুর্গত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বলিদান দেন সাহসী যুবক চিরঞ্জিত দে। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। রাজ্য সরকার তার পরিবারের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। আগরতলার ইন্দ্রনগরে প্রয়াত চিরঞ্জিত দের বাড়ি গিয়ে আত্মীয় পরিজনদের সমবেদনা জানিয়ে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমকে মানিক সাহা জানান, “পেশায় গাড়ি চালক চিরঞ্জিত দে গত ২৩ আগস্ট বন্যা পরিস্থিতিতে অন্যদের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন। খুবই দুঃখের ও পরিতাপের। যেভাবে তিনি সাহসের সঙ্গে মানুষকে উদ্ধার করছিলেন সেটা খুবই প্রেরণাদায়ক। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো তিনি যেখানেই থাকুন সুখে শান্তিতে ও ভালো থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়াত যুবকের তিন বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিও। মা বাবাও অসুস্থ। প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, আজ চিরঞ্জিত দের বাসভবনে গিয়ে তার স্মৃতির প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। এই অসহায় পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়তো এই অপুরনীয় ক্ষতির জন্য খুবই নগন্য। তবুও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার সহায়তা পরিবারের হাতে তুলে দিই। সেই সঙ্গে প্রয়াতের মা ও বাবা দুজনকেই সামাজিক ভাতার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং বসত ঘরটির মেরামতের জন্য জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করি। চিরঞ্জিতের পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকেই সে পরোপকারী। এলাকায় কারও সাহায্যের দরকার হলে সে সবার আগে ছুটে যেত। ফলে তার আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকাহত। সেবাব্রতি যুবাদের প্রেরণা শক্তি হয়ে চিরঞ্জিত বেঁচে থাকবে আমাদের হৃদয়ে।