দু’দিনের অবিরামের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে খড়গপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দা নিউ টাউন এলাকা৷ আনন্দনগর এলাকায় স্থানীয় পুকুরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে রাস্তা৷ এর ফলে যে কোনও সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয়দের অভিযোগ কাউন্সিলরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Tripura flood situation: ত্রিপুরায় বন্যা নিয়ে বড় খবর! দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করল বায়ুসেনা

আগরতলা: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই গোটা বিষয়টির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট করেছেন। এর মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও কথা বলেছেন। বন্যায় বিপন্ন লোকজনকে উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেলিকপ্টার, বোট, এনডিআরএফের অতিরিক্ত বাহিনী ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সহ এনডিআরএফের টিম পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

উদ্বাস্তু শিবির ঘুরে দেখে সংবাদমাধ্যমকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। আমি সবাইকে বলব যাতে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। পুর নিগমের মেয়র কলকাতায় ছিলেন। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলায় তিনি দ্রুত এসে পড়েন। তিনি চলে আসায় কাজে আরো গতি আসবে। সব জায়গাতেই আমি যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের চাহিদা মতো সব কিছু পাঠিয়েছেন। আজ আবহাওয়া ভালো থাকলে হেলিকপ্টারে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে যাব”।

আরও পড়ুন: কেন দেরি হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে? কারণ জানলে বিস্মিত হবেন

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কী কী করছি আপনারা জানেন। কোন জায়গায় কী অসুবিধা সেটা দেখা হচ্ছে। আজ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আগামিকালের দিনটা গেলেই হয়তো পরিস্থিতি আরও ভাল হতে পারে”। মানিক সাহা জানান, ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকাতেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই সদর্থক হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা মতো সবকিছু পাঠিয়েছেন, আজও বিমান যোগে আরো বেশকিছু সাজসরঞ্জাম এসে পৌঁছুবে।

আরও পড়ুন: ৪০ জন ভারতীয় নিয়ে নেপালে পাহাড় থেকে নদীতে বাস! মৃত বহু, চারিদিকে হাহাকার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে দায়দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গোমতী জেলায় একজন ডিএমকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। যাতে ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। বিশেষ করে অমরপুর ও করবুক মহকুমায় দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন সেটা নজরে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।