Tag Archives: Indian Air Force

Tripura flood situation: ত্রিপুরায় বন্যা নিয়ে বড় খবর! দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করল বায়ুসেনা

আগরতলা: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই গোটা বিষয়টির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট করেছেন। এর মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও কথা বলেছেন। বন্যায় বিপন্ন লোকজনকে উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেলিকপ্টার, বোট, এনডিআরএফের অতিরিক্ত বাহিনী ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সহ এনডিআরএফের টিম পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

উদ্বাস্তু শিবির ঘুরে দেখে সংবাদমাধ্যমকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। আমি সবাইকে বলব যাতে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। পুর নিগমের মেয়র কলকাতায় ছিলেন। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলায় তিনি দ্রুত এসে পড়েন। তিনি চলে আসায় কাজে আরো গতি আসবে। সব জায়গাতেই আমি যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের চাহিদা মতো সব কিছু পাঠিয়েছেন। আজ আবহাওয়া ভালো থাকলে হেলিকপ্টারে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে যাব”।

আরও পড়ুন: কেন দেরি হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে? কারণ জানলে বিস্মিত হবেন

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কী কী করছি আপনারা জানেন। কোন জায়গায় কী অসুবিধা সেটা দেখা হচ্ছে। আজ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আগামিকালের দিনটা গেলেই হয়তো পরিস্থিতি আরও ভাল হতে পারে”। মানিক সাহা জানান, ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকাতেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই সদর্থক হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা মতো সবকিছু পাঠিয়েছেন, আজও বিমান যোগে আরো বেশকিছু সাজসরঞ্জাম এসে পৌঁছুবে।

আরও পড়ুন: ৪০ জন ভারতীয় নিয়ে নেপালে পাহাড় থেকে নদীতে বাস! মৃত বহু, চারিদিকে হাহাকার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে দায়দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গোমতী জেলায় একজন ডিএমকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। যাতে ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। বিশেষ করে অমরপুর ও করবুক মহকুমায় দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন সেটা নজরে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

Kashmir Attack: কাশ্মীরে বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা! শহিদ জওয়ান, ভোটের মাঝেই ভয়ঙ্কর ঘটনা

কাশ্মীর: জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা। আর এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে শনিবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ভূস্বর্গে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এই হামলা চলে। এলাকার সুরানকোটের সানাইগ্রামে এই হামলা চলে বায়ুসেনার কনভয়ে। বায়ুসেনার গাড়িতে জঙ্গিরা গুলি করতেই তাদের পাল্টা গুলি করতে থাকেন বায়ুসেনার জওয়ানরাও।

বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, দুই পক্ষের গুলির লড়াইতে ১ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ জন। ওই ঘটনার পরেই গোটা এলাকায় সার্চ অপারেশন শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা, SSC নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্য বিজেপির! বেছে নেওয়া হল ৬ জনকে

সেনা সূত্রের খবর, পুঞ্চ জেলার সুরানকোট এলাকায় সানাই টপ-এর দিকে যাচ্ছিল বায়ুসেনার একটি কনভয়। সেই সময়েই হামলা চালায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, ওই জঙ্গি হামলায় এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। ১ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। আরও তিনজনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বায়ুসেনার কনভয় ঘিরে ধরে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা, এমনটাই অভিযোগ। এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকা জুড়ে জঙ্গিদের খোঁজ। রাতের অন্ধকারে এই অতর্কিত হামলায় মোট কতজন জঙ্গি সামিল ছিল, তার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। দেশে ভোটের মাঝে এই জঙ্গি হামলা নিঃসন্দেহে ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বায়ুসেনা জানিয়েছে, আহত হওয়ার পর ৫ বায়ুসেনা কর্মীকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

West Medinipur News: ব্যস্ত জাতীয় সড়কের উপর একাধিকবার চক্কর কাটল যুদ্ধবিমান, আচমকা কী ঘটল মেদিনীপুরে?

পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’দিকে বন্ধ ব্যস্ত জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের সামান্য উপর দিয়ে বেশ কয়েকবার চক্কর কাটল যুদ্ধবিমান। তা দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছিল জাতীয় সড়কের উপর। যদিও সফলভাবে জাতীয় সড়কের আপদকালীন রানওয়েতে বিমান ল্যান্ডিং করা সম্ভব হয়নি। সামান্য কিছুটা উপর দিয়েই চক্কর কেটে মহড়া শেষ করল যুদ্ধবিমান। তবে আপদকালীন ক্ষেত্রে যে কোনও সময়ে জাতীয় সড়কে উঠানামা করতে পারে যুদ্ধবিমান। একবার নয় এ নিয়ে দু’বার মহড়া করল ভারতীয় বায়ু সেনা।

খড়গপুর-বালেশ্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পোক্তাপুল থেকে শ্যামপুরা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের পথকে আপৎকালীন যুদ্ধবিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই রানওয়ে প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে যেকোনও সময়ে ওঠানামা করতে পারে বিমান। তবে রবিবার দুপুরে জাতীয় সড়ক থেকে সামান্য উচ্চতায় দুটি জেট প্লেন সহ মোট তিনটি বিমান চক্কর কাটে। সবকিছু ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও বেশ কিছু কারণে রানওয়েতে ল্যান্ডিং করানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন-   শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

এদিন দুপুর থেকেই ভারতীয় বায়ু সেনা জওয়ানেরা জাতীয় সড়কের উপর জাতীয় পতাকা হাতে মার্চ শুরু করে। কিছুটা সময় পর জাতীয় সড়ক বরাবর দীর্ঘ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘিরে ফেলে তারা। এরপর সমস্ত প্রস্তুতি নেয় ভারতীয় বায়ু সেনার আধিকারিকেরা। সূর্য সামান্য কিছুটা পশ্চিমে যেতেই আকাশের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে জাতীয় সড়ক বরাবর সামান্য উচ্চতায় চক্কর কাটে দুটি জেট ফাইটার প্লেন সহ মোট তিনটি যুদ্ধবিমান। প্রসঙ্গত দীর্ঘ এই পাঁচ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক পথকে আপৎকালীনভাবে যুদ্ধবিমান ওঠানামা জন্য রানওয়ে তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে। তবে জানা গিয়েছিল, রবিবার এই জাতীয় সড়কের রানওয়েতে ল্যান্ডিং করেনি যুদ্ধবিমানগুলি। সকাল থেকেই সমস্ত ব্যবস্থাপনা নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সবকিছু ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও কোনও কারণে ল্যান্ডিং করানো সম্ভব হয়নি।

এদিন জাতীয় সড়কে, ভারতীয় বায়ুসেনা বিমানের ল্যান্ডিং দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসুক জনতা। তাদের বক্তব্য আগামীতে যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন ক্ষেত্রে বিমান ওঠানামা করবে রানওয়েতে। স্বাভাবিকভাবে সামরিক শক্তিতে জোর কেন্দ্রের। আগামীতে যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেবে এই রানওয়ে।

রঞ্জন চন্দ

Afghanistan : দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! ভারতীয়দের নিয়ে হিন্দন এয়ারবেসে পৌঁছল বায়ুসেনার সি ১৭ বিমান…

#নয়াদিল্লি : ফুল, মিষ্টি ইত্যাদি নিয়ে আগে থেকেই হিন্দনে (Hindon Airport) পৌঁছন আইটিবিপি জওয়ান (ITBP Jawans) ও অন্যান্য কাবুল-ফেরত ভারতীয়দের পরিজনেরা। গত কয়েকদিন ধরে শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জওয়ানদের। আফগানিস্তানে (Afghanistan) পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছিলেন পরিজনেরা। অবশেষে উৎকণ্ঠার অবসান হল মঙ্গলবার।

এই বিমানেই ফিরলেন সাংবাদিক কণিকা গুপ্তা। দিল্লির নিকটবর্তী হিন্দন এয়ার বেসে অপেক্ষায় মুহূর্ত গুনছিলেন মা মধু গুপ্তা। গত কয়েকদিনের টেনশনের পর মেয়ের মুখ দেখলেন তিনিও। দেশের মাটিতে পা দিয়েই সংক্ষিপ্ত ট্যুইট-বার্তায় মনের আবেগ প্রকাশ করেন সাংবাদিক কণিকা। লেখেন, “অবশেষে আমি ঘরের মাটিতে!” গত পাঁচদিন ঘরবন্দি ছিলেন কণিকা গুপ্তা।

আফগানিস্তান থেকে ভারতীয় দূত এবং স্টাফসহ ১২০ জনকে নিয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান প্রথমে অবতরণ করে গুজরাতের জামনগর এয়ারবেসে। দিল্লির কাছে হিন্দন এয়ারবেসে যাওয়ার পথে সি -১ বিমানটি সকাল ১১.১৫ মিনিটে আইএএফ বিমানঘাঁটিতে নেমে আসে। জ্বালানি নেওয়ার পর বিকেল ৩টের কিছু পরে এটি হিন্দনে পৌঁছয় বিমানটি।

তালিবানদের দখল নেওয়ার পর আফগান রাজধানী কাবুলের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এরপরেই জরুরি ভিত্তিতে সেখানকার ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাবুল থেকে রওনা দেয়বায়ুসেনার সি ১৭ গ্লোব মাস্টার বিমান।

এদিন বিমানের যাত্রীরা অবতরণ করার পরপরই, টারম্যাকে উপস্থিত অপেক্ষারত পরিজনেরা ও বিমানকর্মীরা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। দেশের মাটিতে পা রাখার পর বাহিনীর জওয়ানদের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। ফুল ছড়িয়ে মিষ্টি মুখ করিয়ে তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। অনেককে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতেও দেখা যায়। অশ্রুসজল আনন্দে কাছের মানুষকে জড়িয়ে ধরেন পরিজন ও পরিবার।

গর্ভে সন্তান নিয়েও মাওবাদী অধ্যুষিত দন্তেওয়াড়ায় ডিউটি! মা হলেন সুনয়না

#ছত্তীশগঢ়: দেশের জন্য সেনার আত্মত্যাগ ঠিক কতটা হতে পারে? এই প্রশ্নে যেমন উঠে আসে অভিনন্দন বর্তমানদের নাম, তেমনই উঠে আসতে পারে সুনয়না প্যাটেলেরও নাম। গর্ভ সন্তান নিয়েও শত্রুর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়তে এতটুকুও পিছপা হননি তিনি। শনিবার সন্তানের জন্ম দিলেন সুনয়না। মা-সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন।

সকলেই জানেন, দন্তেওয়ারা অঞ্চলটি মাওবাদীদের ডেরা। গত কয়েক বছরে বারংবার অপারেশনের জন্য এই অঞ্চলকেই বেছে নিয়েছে মাওবাদীরা। পোড়খাওয়া সেনা অফিসাররাও যেখানে যেতে দু’বার ভাববেন, সেখানেই ‌দায়িত্ব নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি সুনয়নি। গর্ভের সন্তান যখন আট মাসের, তখনও দন্তেওয়াড়ার জঙ্গলে টহলদারি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে সে সময়ে তিনি জানান, “আমি যখন ২ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা তখন আমার ডাক পড়ে দন্তেওয়াড়ায়। কর্তব্যে ফাঁকি দেওয়ার কথা কখনও ভাবিনি। সততার সঙ্গে যতদিন পারব কাজ করে যাব।”

সুনয়না মা হওয়ায় খুশির হাওয়া পরিবারে। খুশি তাঁর সহকর্মীরাও। সন্তানের কোনও দায় দায়িত্ব পালন করতে ভুলবেন না সুনয়না। ঠিক তেমনই়, শিগগির ফিরবেন ঘন জঙ্গলে দেশকে রক্ষা করতে।